ইবাদত খানা সম্পর্কে আলোচনা কর

ইবাদত খানা সম্পর্কে আলোচনা কর

ইবাদত খানা সম্পর্কে আলোচনা কর

ইবাদত খানা সম্পর্কে আলোচনা কর
মুঘল সম্রাট আকবর ছিলেন উদার ধর্মীয় প্রকৃতির সম্রাট ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বজনীন ভালোবাসা ও সংহতি বিকাশের উদ্দেশ্যে সম্রাট আকবর জাতি ধর্ম বা সংস্কৃতি জাতক ভেদাভেদ নির্মূল করতে উদ্যোগী হন। ইসলাম ধর্মের মৌলিক রহস্য জানার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে ওঠেন এবং জানতে চান স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সম্পর্ক। আকবর তার এই ভাবাবেগ ও উপলব্ধি থেকে নানা প্রশ্ন তার মধ্যে জাগে ৷

এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য আকবর ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ফতেপুর স্বীকৃতিতে ইবাদত খানা নামক ধর্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন এই ধর্মগৃহে প্রথমে কেবলমাত্র মুসলমান ধর্ম জ্ঞানীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এখানে সমবেত হতেন মুসলমান পন্ডিতেরা আলোচনার মাঝে মাঝে চলত শুক্রবার পর্যন্ত শেখ সৈয়দ উলামা এবং অভিজাত এই চার শ্রেণীর মুসলিম প্রতিনিধিরা এখানে ধর্মমত ব্যাখ্যা করতেন এবং সম্রাটের প্রশ্নের জবাব দিতেন কিন্তু গোড়া সুন্নি পন্থী নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা পরিবর্তে শিয়া ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোরভাবে আক্রমণ করতেন ফলে ইবাদত খানার মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।

সাময়িক বান ভাবে ইবাদত খানা বন্ধক রাখার উপর ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দে আকবর পুনরায় ইবাদত খানা ধর্মীয় আলোচনা শুরু করেন এবং বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের কাছে উন্মুক্ত করেন ইবাদত খানা ধর্মগৃহের পরিবর্তে ধর্ম সংসদে পরিণত হয় সম্রাটের উদ্দেশ্য ছিল এখানে বিভিন্ন ধরনের রহস্য জানার মাধ্যমে আকবর অনুভব করতে সক্ষম যে সমস্ত ধর্মের মূল কথা এক সম্রাটের মনে এই বিশ্বাস জন্মায় যে বিভিন্ন ধর্মের তথ্য ও আচরণের প্রভেদ থাকলেও পরোক্ষ অবদানের ক্ষেত্রে সকল ধর্মের লক্ষ্য এক ও অনন্য ধর্ম আলোচনার মধ্যে দিয়ে আকবর শেষ পর্যন্ত ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইলাহী নামক এক সমন্বয় ধর্মমতের প্রতিষ্ঠা করেন ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ইবাদত খানা সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟