নির্জোট আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখ

নির্জোট আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখ

নির্জোট আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখ

নির্জোট আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরশমাপ্তির পর এশিয়া ও আফ্রিকার সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলি পুঁজিবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক কোন শিবিরে যোগ না দিয়ে জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন ৷ ১৯৫৫ সালে এপ্রিল মাসে এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বান্দুনে ২৬ টি দেশের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্জোট আন্দোলনের সূচনা করেন ৷ জোট নিরপেক্ষ নীতি বলতে বোঝায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিদেশনীতি যে বিদেশ নীতির সঙ্গে পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক শিবিরের কোন আতাত নেই । বান্দুং সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত-মার্কিন ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা ৷

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু, মিশরের রাষ্ট্রপতি গামাল আব্দুল নাসের,যুগোশ্লাভিয়া রাষ্ট্রপ্রধান মার্শাল টিটো, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ, ঘানার রাষ্ট্রপতি নক্সুমা, শ্রীলংকার সিরিমাভো বন্দরনায়েক প্রমুখ নেতা নির্জন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৷ সম্মেলনের ২৬ টি সদস্য রাষ্ট্রের যোগ দেয় এতে পরিদর্শক হিসাবে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল বলিভিয়া ও ইকোয়েড়র যোগদান করেছিলেন ৷ এই সম্মেলনে উপস্থিত দেশগুলির মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির আধিক্য ছিল ৷


নির্জোট আন্দোলনের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে কতগুলি নীতি মেনে চলতে হয় 

  1. জাতিপুঞ্জের নীতি ও আদর্শ গুলির প্রতি শ্রদ্ধা
  2. ভূখণ্ডগত অক্ষন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন 
  3. কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকা 
  4. ন্যায় ও আন্তর্জাতিক বাধা বাধ্যতামতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন
  5. সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
  6. সদস্য রাষ্ট্রগুলির পুঁজিবাদী ও সমাজবাদী শিবির কর্তৃত্ব সৃষ্টি কোন সামরিক জোটে অংশগ্রহণ করবে না এবং নিজের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না ৷


সাম্প্রতিকালে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক ৷ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন এখন ও তার সদস্যদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং নয়া উপনিবেশিক শোষণ অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ নির্জোট আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখ এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟