মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব লেখো।

মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব লেখো।

মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব লেখো।

মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব লেখো। 


 মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব 


১৯৩৩ খ্রিঃ চৌধুরী রহমত আলি নামে কেমব্রিজ বিশ্ববিদালয়ের জনৈক ছাত্র 'Now and Bever' নামে একটি ছোট্ট পুস্তিকায় ভারতের রাজনৈতিক জটিলতর সমাধানের উপায় হিসাবে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দাবি করেন । তিনি পাঞ্জাব, আফগান প্রদেশ, কাশ্মীর, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তান নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন । ১৯৫০ সালে মুসলীম লীগ কর্তৃক পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয় । ইহা ভারতের রাজনীতিও সমাজে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল ।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

ভারতীয় রাজনীতিতে পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণের প্রভাবঃ


 ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনে মুমিন ই পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব গ্রহন করেছিল । এই প্রস্তাব গ্রহন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক। এই সময় ১৯৪২-এর ভরত-হাড়ো অন্দোলন সারা ভারতে উদ্দোর সৃষ্টি করেছিল । শেষ পর্যন্ত ১৯৪২ এর আন্দোলন বার্থ হয় এবং ব্রিটিশ সরকার ভারতে ক্রিপস মিশন পাঠান । অনিশ্চতায় ভরা এই মিশন ব্যর্থ হয় । ইতিমধ্যে মুসলিম লীগ-এর অগ্রগতি অব্যাহত ছিল ।

 ১৯৪৩ সালে সংখ্যালঘু মুসলিম লীগের নেতৃত্বে অসম, সিন্ধু-প্রদেশ, বাংলাদেশ, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে মন্ত্রীসভা গঠন করা হয় । এই সময় কংগ্রেস বে-আইনি বলে ঘোষিত হয়। জিন্নাহ দাবি করেন যে, মুসলিম লীগকে হিন্দু কংগ্রেসের সাথে সমান মর্যাদা দিতে হবে । ইতিমধ্যে 'পাকিস্তান' শ্লোগান জনপ্রিয়তা লাভ করে ।
 ১৯৪৫ সালে জুন মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চাটিল গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়াভেলকে ভারতীয় নেতাদের সাথে আলোচনা শুরু করতে নির্দেশ দেন । ঠিক হয়, সিমলা অঞ্চল নিয়ে আলোচনা হবে । এদিকে ব্রিটেনে শ্রমিক দল ক্ষমতায় এলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হন ক্লিমেন্ট এটলী । তিনি ভারতীয়দের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকায় সিমলা আলোচনা ব্যর্থ হয়।

 ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটনী, লেখিকা লরেন্স স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস এবং এ ভি আলেকজান্ডার -এই তিন জনের একটি ক্যাবিনেট দল ভারতে পাঠান । তাদের প্রধান প্রস্তাব ছিল বিভিন্ন ভাবে ভারতের প্রাদেশিক রাজ্য গঠন করা । কিন্তু কোনো যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলেন নি । ১৯৪৬ সালে নির্বচন অনুষ্ঠিত হলে মুসলিম লীগ মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলের ৮৬% ভোট পায় । এই নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল সাম্প্রদায়িক ভোট ।


ইতিমধ্যে কলকাতা, বোম্বাই, করাচী প্রভৃতি বৃহৎ শহরে ব্রিটিশ বিরোধী ঐক্যের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয় নি। এদিকে ১৯৪৬-৪৭ এর মধ্যে কলকাতা, নোয়াখালি, বিহার ও পাঞ্জাবে ব্যাপক হিন্দু- মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দেয়। জহরলাল নেহরু মন্তব্য করেছিলেন যে, জনগণ পাগল হয়ে গেছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। কংগ্রেস-মুসলিম লীগের যৌথ সরকার ব্যর্থ হয় । এর একমাত্র সমাধান ছিল ভারত বিভাজন । অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট মধ্যরাতে ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে । স্বাধীনতা লাভ করে একদিকে স্বাধীন ভারত, অপরদিকে স্বাধীন পাকিস্তান তৈরী হয় । সার্থকরূপে দেখা দেয় পাকিস্তান প্রস্তাব ।



তোমাকে অনেক ধন্যবাদ মুসলীম লীগের লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব লেখো। এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟