মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর
জাপানে শিক্ষা



মেইজি নেতারা বুঝেছিলেন যে সামরিক অর্থনৈতিক শক্তির উৎস হলো সর্বজনীন শিক্ষা তাই ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে জাপানের শিক্ষা বিভাগ স্থাপন করা হয় ৷
শিক্ষার ব্যাপারে মেইজি পুনরুদ্ধারের যুগে জাপানের জাতীয় জীবনে এই নতুন মনোভাব সর্বাপেক্ষা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় । ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে জাপান বাধ্যতামূলকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে এবং সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অনেক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ৷ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি বিদ্যালয় ও স্থাপিত হতে শুরু করে ৷ প্রয়োজন অনুসারে বিদেশি শিক্ষকদের এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত করা হয় ।

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর

মেজি যুগে খ্রিস্টান মিশনারিরা জাপানে প্রবেশ করলে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ করে নারী শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা হয়েছিল ৷ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয় এবং ইংরেজি ভাষাকে জাতীয় ভাষা রূপে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব করা হয় ৷ নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থার বৈদ্যশ্রী প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় । ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা সম্পর্কিত ঘোষণা ইতিহাস তিন ধরনের শিক্ষায়তনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল প্রাথমিক মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আমেরিকার শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করে জাপানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা গঠন করা হয় ৷ ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ এই জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয় এবং জার্মানির বৃত্তিমূলক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় ৷ 

মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর
1988 সাল থেকে জাপানি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার।

১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ৩০ শে অক্টোবর সম্রাটের আদেশে বলা হয় শিক্ষার উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য উপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তি গড়ে তোলা ৷ নতুন শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী ছেলে-মেয়ে উভয়ই দু বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হতে এবং প্রথমদিকে চার বছর এবং পরে 6 বছর সকলের স্কুলে পড়াশোনা করতে বাধ্য ছিল ৷ স্কুলে তারা প্রাথমিক পাট গ্রহণের সাথে সাথে  উন্নত চরিত্র গঠন করা এবং আধুনিক মনোভাব সম্পন্ন হয়ে ওঠার জন্য বিশেষভাবে তালিম গ্রহণ করার সুযোগ পেত ৷ এই শিক্ষার লক্ষ্য হলো জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা, দেশ-জাতি ও সম্রাটের প্রতি অবিচল আনুগত্য গড়ে তোলার দিকে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি দান করে ৷


পরবর্তীকালে প্রাথমিক শিক্ষা স্তর চার বছরের দুটি পর্বের বিভক্ত করে আট বছরে পরিণত করা হয় । উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করবে না তাদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় ৷ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বহু সংখ্যক শিক্ষকের প্রয়োজন দেখা দেয় এবং সেই জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা হয় পরবর্তীকালে বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় ৷


তেরকোয়া , এডো সময়ের একটি বেসরকারি স্কুল


মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে ছেলেদের শিক্ষা ব্যবস্থার বিশেষ কোন পার্থক্য ছিল না । তবে গার্হস্থ জীবন সম্পর্কে তাদের বিশেষভাবে গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয় ৷ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশাধিকার  লাভ না করলেও মেয়েদের স্কুল কলেজে প্রবেশ লাভ এর সুযোগ পরিবর্তিত চিন্তাধারার সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে ৷


টোকুগাওয়া যুগে মানুষের জিজ্ঞাসা মন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু মেইজিদের হাত ধরে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে জাপান উন্নতমানের আইন অজ্ঞ চিকিৎসক ইঞ্জিনিয়ার কৃষিবিদ প্রভৃতি লাভ করেছিল ঠিকই মুক্ত বিজ্ঞান চর্চার একটি ক্ষেত্রে এসে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল ৷ ফেয়ার ব্যাঙ্ক মেজি জাপানের শিক্ষা সংস্কারের প্রশংসা করেছেন ৷


নতুন যুগের প্রারম্ভে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন জাপানের ইতিহাস এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ৷ পাশ্চাত্যের অনুকরণে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপের ফলে পাশ্চাত্যে রীতিনীতি ধ্যান ধারণা জাপানের উপর গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং জাপানের অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় । কিন্তু পাশ্চাত্যের ভাবধারার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করে পাশ্চাত্য রীতিনীতি অন্ধভাবে অনুকরণের ফলে নানা প্রকার অসুবিধা দেখা দেয় ৷ তবে এই শিক্ষা ব্যবস্থা নানা ত্রুটি থাকলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন এর ফলে জাপানের উন্নতি ও আধুনিকরণের পথ উন্মুক্ত হয় । তাই শেষে বলা যায় এই শিক্ষা বস্তুগত দিক থেকে উন্নতির চরম শিখরে উন্নত হলেও বৈদিক মনুষত্বিক হৃদয় ভিত্তিক মানের মুক্তি দিতে সম্পূর্ণ সফল হয়নি ৷
 

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ মেইজি জাপানের শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟