শিল্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের আধুনিকরণের প্রক্রিয়া চিহ্নিত কর
![]() |
শিল্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের আধুনিকরণের প্রক্রিয়া চিহ্নিত কর
টমাস স্মিথ জানিয়েছেন যে টোকুগাওয়াযুগে মেইজি জাপানের অর্থনৈতিক উন্নতির ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ৷ মেইজী যুগের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল আধুনিক রাষ্ট্রপযোগী অর্থনৈতিক ভিত্তি স্থাপন করা ৷ মেইজি সরকার শিল্প ভিত্তিক আধুনিক পদ্ধতিতে জাপানের অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সেই পরিকল্পনাকে দ্রুত সার্থকভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন ৷ মেইজি সরকার শিল্পাশ্রয়ী পাশ্চাত্য দেশগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শিল্প গঠনে মনোনিবেশ করেন ৷
![]() |
শিল্পায়ন মানে কৃষির মতো ঐতিহ্যগতভাবে ম্যানুয়াল অর্থনৈতিক খাতের যান্ত্রিকীকরণ। |
জাপানি শিল্প বিপ্লবের পটভূ ভূমিকায় ছিল ধনী কৃষক সম্প্রদায়ের উদ্ভব কৃষির বাণিজ্যিকরণ গ্রামীণ শিল্পের উন্নতি এবং মেইজিং নেতাদের কেন্দ্রিকরণ নীতি এবং উপযোগী দৃষ্টিভঙ্গি ৷ বিত্তশালী বণিক শ্রেণীর আর্থিক সাহায্যে মেইজি সরকার শিল্পবিস্তারে অগ্রসর হন প্রথম দিকে মেইজে সরকার বিভিন্ন শিল্পের উপর প্রখ্যাত নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে কিন্তু পরে কোন শিল্প পুঁজিপতি পরিবার গোষ্ঠীকে গড়ে তোলার অনুমতি দেয় । এইসব পুঁজি প্রতি পরিবার গুলি দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভূত আধিপত্য স্থাপন করে এবং যাই বাৎস নামে পরিচিত হয় পরিবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মৃত্যুই মৃত্যু মৃত্যু প্রভৃতি ৷
![]() |
কারখানা, শোধনাগার, খনি এবং কৃষি ব্যবসা সবই শিল্পায়নের উপাদান। |
মেইজি সরকার ভারী ও হালকা এই উভয় প্রকাশ শিল্পে গড়ে তুলতে অগ্রসর হার শোগুনদের শাসনকালে ডাইমো গনের অনেক অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণের কারখানা স্থাপন করে সাতশমা ডাইমগণ কপশ্চিমাতে একটি জাহান নির্মাণের কারখানা তৈরি করেছিলেন নাগাসাকিতে সুগন্ধের তত্ত্বাবধানে লৌহ ঢালাই এর কারখানা গড়ে উঠেছিল এইসব শিল্পী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল
![]() |
রবার্ট কোহেলারের 1886 সালের একটি প্রতিকৃতি যেখানে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা একটি কারখানার মালিককে ধর্মঘটের মুখোমুখি হতে দেখায় |
ভারী শিল্পের মত মেজে যুগে হালকা শিল্পের অগ্রগতিতে ও বিশেষভাবে লক্ষণীয় ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে সরকার সমশিল্প বিভাগ গঠন করে ৷ ইতো হিরোবুমি এই বিভাগের মন্ত্রী নিযুক্ত হন তার মন্ত্রিত্ব কালে হালকা ও বেসামরিক শিল্পের প্রভূত উন্নতি ঘটে নানারূপ যন্ত্রপাতি নির্মাণের কারখানা সিমেন্টের কারখানা সাদা ইটের কারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে এই সময় সোডিয়াম সালফেট এবং ব্লিচিং পাউডারেরও কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় কার্পাস বস্ত্র,রেশম বস্ত্র পশম বস্ত্র, দেশলাই, কাগজ, সিমেন্ট ,কাচ প্রভৃতি সংক্রান্ত শিল্পের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে । ১৮৭৮ থেকে ৮২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জাপানি রপ্তানি পণ্যের ৪৩.২০ শতাংশ ছিল কাচা রেশম ৷
![]() |
2006 সেক্টর এবং শ্রমশক্তি দ্বারা জিডিপি দেশের রংগুলির সবুজ, লাল এবং নীল উপাদানগুলির সাথে দখল করে যথাক্রমে কৃষি, শিল্প এবং পরিষেবা খাতের শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে |
উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ৷ মেইজি সরকার দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের চেষ্টা করেন,দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতের ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মোটরযান ও রেল গাড়ির প্রচলন শুরু করেন ৷ ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জাপানে মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য দাড়ায় ৩৪০০ মাইল । মেইজি যুগে সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টার ফলে ১৮৮০ দশকে জাপানের ভারী ও হালকা শিল্পের দ্রুত উন্নতি ঘটে, ১৮৭৬ থেকে ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তা ৭০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় ৷ কিন্তু ১৮৯০ দশকের প্রথম দিকে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে জাপানের শিল্পের উন্নতি যথেষ্ট পরিমাণে ব্যাহত হয় ৷ তবে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী কয়েক বছরে পুনরায় শিল্পের উন্নতি ঘটে আধুনিকরণের ফলে রুশ জার্মান যুদ্ধের পর জাপানের শিল্পের অগ্রগতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় ৷
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ শিল্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের আধুনিকরণের প্রক্রিয়া চিহ্নিত কর এই নোটটি পড়ার জন্য