হিন্দু সম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থানের প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল অথবা, হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে আলোচনা কর
উনিশ শতকের শেষ দিকে এবং বিংশ শতকের সূচনা এই জাতীয় রাজনীতিতে চরমপন্থার ভাবগত উত্থানের পটভূমি রচনার ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদ বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল ৷ এই হিন্দুত্ববাদ আসলে হিন্দু ধর্মীয় ইতিহাসে কল্পকাহিনী এবং প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে ভারতীয় জাতিকে বুঝে নেওয়ার একটি প্রয়াস মাত্র ৷ এর মূলে ছিল হিন্দু সভ্যতার গৌরবময় অতীত সম্বন্ধে ধারণা এবং বিশ্বাস করা হতো যে সেই সভ্যতার অধঃপতন ঘটে ৷ মুসলমান শাসনের কারণে এবং ব্রিটিশ শাসনের ফলে সেই সভ্যতার অস্তিত্ব বিপন্ন হয় । পাশ্চাত্য সভ্যতা কিংবা ইসলামী ও সভ্যতার ঊর্ধ্বে ভারতীয় সভ্যতার মহিমা প্রকাশ করতে গিয়ে প্রায় হিন্দু প্রতিষ্ঠান আচার- আচরণকে এদেশীয় সাম্রাজ্যের উপযুক্ত ও গৌরবন্দিত বলে দেখানোর চেষ্টা চালানো হয় ৷ যার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক চেতনা ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে হিন্দু সম্প্রদায়িক মনোভাব আরো তীব্র হতে শুরু করেছিল ৷ ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠনের পরে ১৯০৭ সালে পাঞ্জাবের হিন্দু মহাসভা লালা রাজপথ রায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় ৷ ১৯০৯ সালে অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন "হিন্দুরা নিজেরাই একটি জাতি" অর্থাৎ বলা যায় যে শুধুমাত্র সৈয়দ আহমেদ দ্বিজাতি তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন তাই নয় হিন্দু নেতা লালা লাজপত রায়ের ভাষণেও তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল ৷ পাঞ্জাব হিন্দু সভার ন্যায় মদনমোহন মালব্য ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দেতে হরিদ্বারে সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভা স্থাপন করার উদ্দেশ্য," হিন্দুদের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা " যদিও প্রথমদিকে হিন্দু মহাসভা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ থেকে চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হিসাবে কাজ করেছিল ৷
১৯১৯ সালে পূর্বকাল অবধি হিন্দু মহাসভার মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন মন্ডলীর বিরোধিতা করেছিলেন এবং প্রশাসনিক ও আইনসভার সদস্য পদে আরো বেশি সংখ্যক হিন্দুদের যুক্ত করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন ৷ অসহযোগ আন্দোলনের সময় হিন্দু মহাসভার কার্যকলাপ অপ্রাসঙ্গিক হলেও খিলাফত ও অসহযোগ হবার পর থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যখন অবনতি ঘটে ৷ তখনই হিন্দু মহাসভার সাম্প্রদায়িক চরিত্র প্রকাশ পায় ৷ ১৯২২ সালে ডিসেম্বরে গোয়াতে হিন্দু মহাসভার অধিবেশনে প্রবল উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু প্রাণ কমিটি ও হিন্দু রক্ষা মন্ডল গঠন করা হয় । প্রশাসনিক পদে মুসলমানদের নিয়োগের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং হিন্দুরা বিপন্ন এই স্লোগান সদস্যের কন্ঠে ধ্বনিত হয় ৷
বর্তমান রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক পরিবার যে সমস্ত হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানাচ্ছে তার প্রাথমিক প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়েছিল ৷ বিংশ শতকের দ্বিতীয় শতক থেকে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন বিনায়ক দামোদর সভাকর । তার "Esstil of Hindutva (১৯২২)" গ্রন্থে তিনি লিখেছেন হাজার হাজার বছর ধরে বৈদিক সভ্যতার সময় থেকে হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান তার মতে নির্দিষ্ট হিন্দু সত্তা তিনটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিকতা , রক্ত এবং সংস্কৃতি ৷ সিন্ধু নদীর তীরে যে হিন্দু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সেটি হিন্দু তথা আর্য সভ্যতা আর্যরা যেই সভ্যতা আক্রমণ করেছিল সেই সত্য অস্বীকার করে তিনি বলেন ৪০০ বছর আগে বৈদিক আর্য জাতি গড়ে উঠেছিল ৷ তাই সাভার কার ইন্ডিয়া বা ভারতবর্ষ নামের পরিবর্তে হিন্দুস্তান নামকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন ৷ সাভার কারের গ্রন্থ অনৈতিহাসিক সন্দেহ নেই ৷ কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়িকতার বিকাশে তার গ্রন্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ৷ "The safforn wave" গ্রন্থে বলেছেন," সাভারকারে জাতীয়তাবাদ ছিল সাম্প্রদায়িক পুরুষতান্ত্রিক ও উৎকষ্ট রকমের মুসলমান বিরোধী ৷"
হিন্দু পুনর্জীবন বাদী তথা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে সূচনা হয় ৷ আর্য সমাজের শুদ্ধি আন্দোলন ও বিভিন্ন উগ্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সুমিত সরকার লিখেছেন মুসলমানদের তবলিক ও তনজিম ছিল আর্য সমাজীদের শুদ্ধি ও অন্যান্য সংগঠনের প্রদত্তর ৷ ১৯২৩ সালে হিন্দু মহাসভার অধিবেশনে শুদ্ধি ও সংগঠনকে সার্বিক হিন্দু কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । উদ্দেশ্য ছিল ধর্মান্তরিত হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হিন্দু মহাসভার প্রচার হিন্দু সত্তা ও হিন্দি ভাষার যোগসূত্রের উপর গুরুত্ব ও আরোপ করা হয় ৷ যদিও বাংলা প্রদেশ থেকে এই সম্মেলন ও সংগঠনের মাত্রা ৬.৬ শতাংশ প্রতিনিধির যোগদান করেছিল ৷ এই সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়িক রাজনীতিকে পূর্ণমাত্রায় দান করেছিল ৷ 1925 সালে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠা, যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাল কৃষ্ণ শিবরাম মুঞ্জের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কে.বি হেড ওয়ার ( কেশব বলরাম হেডওয়ার) ৷
সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উদ্ভভাবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুমিত সরকার, তানিশা সরকার, তপন বসু তাদের khaki shorts and saffron falgs" শীর্ষক পুস্তিকায় বলেছেন আরএসএস অগ্রাসি হিন্দু সম্প্রদায়িকতার মূল উৎস মুখ, সমাজ বিজ্ঞানী অচিন বোনাইক তার'The enamy within' প্রবন্ধে লিখেছেন হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণার মূল চালিকা শক্তি আরএসএস ৷ সুতরাং আরএসএস যে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে অগ্রাসে রূপ দিতে সাহায্য করেছিল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ৷ হেডওয়ার ইচ্ছাকৃতভাবে বিজয় দশমীর দিনকে উদ্ভাবনীয় দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করেছিলেন কারণ, এই দিনে শুভ শক্তির প্রতি রামচন্দ্র অশুভ শক্তি রাবণকে পরাস্ত করেছিলেন ৷ ১৯২৭ নাম করণ করা হয় যেটি ছিল রামনবমীর দিন এবং এই দিনে তারা চিহ্ন হিসাবে ভাগওয়ার ঝান্ডা ও গেরুয়া পতাকা গ্রহণ করেছিলেন ৷ সুতরাং জন্ম লগ্ন থেকে আরএসএস রামের কাহিনীকে নিজেদের মতাদর্শ ও নিজস্ব এক অদ্ভুত সংস্কৃতি ব্যাখ্যা করার কাজে লাগিয়েছিল প্রায় চার দশক পূর্বে আরএসএস এক মুখপত্র অর্গানাইজার লিখেছেন ৷ সমস্ত মুসলমান রামকে তাদের বীর নায়ক বলে মেনে নিক সমস্ত সাম্প্রদায়িক সমস্যা মিটে যাবে ৷
হেড গাওয়ার ও তার সহযোগীরা সাধারণ হিন্দুদের বুঝিয়েছিলেন যে বিদেশি মুসলমান শাসকদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ১০০ বছরব্যাপী সংগ্রামী ভারত ইতিহাসে মূল চালিকাশক্তি ৷ আরএসএসের শাখা গুলিতে এবং সদস্যদের শরীরচর্চা উল্লাহ ও লাঠি খেলা সঙ্গে সঙ্গে রানা প্রতাপ, শিবাজী প্রমুখ হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কাহিনী শোনানো হতো ৷ কিন্তু সমকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশিক শোষণ ও অত্যাচার নিয়ে তাদের কোন বিক্ষোভ ছিল না ৷ আরএসএস কর্মী বনাম ব্রিটিশ পুলিশ সংঘর্ষ সম্পর্কে মহাফেজ খানায় রক্ষিত নথি গুলি এ বিষয়ে নিরব ৷ ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ছাত্র যুবক যখন সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনের সামিল হয়েছিল সেক্ষেত্রে আরও শেষের কর্মীদের তরফ থেকে কোন সারা মেলেনি । অথচ এই সময়ে নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল ৷
স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই সামান্য ৷ 1929 সালে ডিসেম্বর লাহোর কংগ্রেসের পূর্ণের দাবি জাতীয় লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয় জহরলাল নেহেরু ৷ তার ভাষনে জাতীয় সংগ্রামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামকে যুক্ত করেন ৷ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি রেডিকেল মাত্রা যোগ করেন ৷ ১৯৩০ এ গান্ধীতার ঐতিহাসিক ডান্ডি যাত্রার মাধ্যমে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন কিন্তু আরএসএস এই সমস্ত ব্যাপারে চূড়ান্ত উদাসীন দেখিয়েছিলেন ৷ ১৯৩০ সালে ২৬ শে জানুয়ারি ভারতের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করার প্রস্তাব নিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস ৷ প্রধান হেড গভারের প্রসঙ্গে সার্কুলার জারি করে সপর্বে ঘোষণা করেন,"কংগ্রেস আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে আমরা জাতীয় পতাকা অর্থাৎ গেরুয়া ঝান্ডা পুজোর মাধ্যমে স্বাধীনতা পালন করব।" তারা তেরেঙ্গা কে সম্মান প্রদর্শনের কথা ভাবেননি ৷
ব্রিটিশ শাসনের শক্তিশালী করার ব্যাপারে মুসলিম লীগ যে ভূমিকা পালন করেছিল হিন্দু উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশ সেই কর্মকে আরও গতি দান করেন ৷ আরএসএস এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল ৷হিন- হিন্দি- হিন্দু এর সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি মদনমোহন মালব্য ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ৷ মালব্য থেকে বাংলায় শ্যামাপ্রসাদ সকলেই সংকটের সময় ব্রিটিশ রাজের পাশে ছিলেন এখানে উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকারের যখন ভারত ছাড়ো আন্দোলন দমন করার জন্য রক্তক্ষয়ী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছিল তখন হিন্দু মহাসভার নেতা শ্যামাপত্র মুখোপাধ্যায় যিনি পরবর্তীকালে জনসংখ্যা প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ বাংলায় মন্ত্রিপদে আসীন ছিলেন এবং ব্রিটিশ রাজকে সর্বত্রভাবে সাহায্য করেছিলেন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের পতনের ক্ষেত্রে ৷
কংগ্রেস নেতৃত্ব তত্ত্বের দিক থেকে ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে হিন্দু সম্প্রদায়িক বোধ করার বিষয়ে তারাও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি ৷ অসহযোগ প্রত্যাহারের পরেই কংগ্রেস পরিবর্তন বিরোধী পরিবর্তন পন্থী এই দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায় । পরিবর্তনপন্থী দুই বিশিষ্ট নেতা চিত্তরঞ্জন দাস ও মতিলাল নেহেরু নেতৃত্বে স্বরাজ্য দল গঠিত হয় ৷ ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদিত বাংলা চুক্তি বাংলার ক্ষেতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল ৷ এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে স্বরাজ্যের উপর বাংলায় প্রশাসনিক পদের ৫৫ শতাংশ মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, মসজিদে সামনে গান বাজনা বন্ধ রাখা হবে ৷
কিন্তু এসব সত্ত্বেও গান্ধী ও পুরুষোত্তম ট্যান্ডম এর মতে পরিবর্তন বিরোধী হিন্দু মহাসভার নেতা মদনমোহন মালব্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতেন মালব্য ও লালা লাজপতের যৌথ প্রয়াসের স্বাধীন কংগ্রেস দল গঠিত হয় ৷ এই দলটি হিন্দু মহাসভার বাহিক সংগঠনের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না । ১৯২৬ সালের মে মাসে এলাহাবাদের মুসলিমরা প্রস্তাব দিয়েছিল যে সন্ধ্যার নামাজের সময় যেন পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য গান বাজনা বন্ধ থাকে ৷ কিন্তু এই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয় । এমনকি 1926 সালের চিত্তরঞ্জন দাশের বেঙ্গল প্যাক্ট বাতিল করা হয় ৷ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এই চুক্তি বাতিল এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সোচ্চার হন, পরিনামে তাকে মেদিনীপুরে নির্বাচনে থাকতে হয় এমনকি মতিলাল নেহেরুর মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক শক্তির চাপের কাছে মাথা নত করেছিলেন ৷
১৯২৬ সালে নির্বাচনের আগে মতিলাল নেহেরুর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়েছিল ৷ তিনি মুসলমান ঘেসো এবং গোমাংস খান এই প্রচারের মিথ্যা তার প্রমাণ করার জন্য তিনি কিছু কিছু হিন্দু সভা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ 1926 সালের নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক বিভাজন স্পষ্ট রূপ নেয় । বিভিন্ন স্থান হিন্দু মহাসভা ও সংযোগী সহযোগী থাকবে আঁতাত জয় লাভ করেন ও ও সরাজিরা হেরে যান বাংলায় ৩৯ টি মুসলমান আসনের মধ্যে স্বরাজ্য দল মাত্র একটি আসন জেতে ৷ ১৯২৭ সালে ত্রিশে মার্চ মতিলাল নেহেরুর পুত্র জহরলাল নেহেরু কে লেখো একটি চিঠি আক্ষেপ করে বলেন সংক্ষেপে বলতে গেলে," ভারতে কখনো এত খারাপ আবহাওয়া অবস্থা হয়নি অসহযোগ আন্দোলন যে প্রতিক্রিয়া ১৯২২ থেকে ২৩ সালে শুরু হয় তা ধীরে ধীরে নিশ্চিত ভাবে জনগণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম নষ্ট করে দিচ্ছে জনসাধারণ কেবল এটাই শিক্ষা পাচ্ছেন তা হল সাম্প্রদায়িক ঘৃণা..."