আটলান্টিক চার্টার সম্পর্কে আলোচনা করো।
![]() |
আটলান্টিক চার্টারঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ দ্বৎসলীলায় উদ্বিগ্ন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কজভেন্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁদের সমন্বিত প্রয়াসের ফল ছিল আটলান্টিক চাটার । ১৯৪১ খ্রিঃ ১ অগাস্ট মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেন্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর 'প্রিন্স অব ওয়েলস' ও 'আগাস্টা' নামে দুটি জাহাজে মিলিত হন । অনেক আলাপ আলোচনার পর ১৪ আগস্ট তাঁরা একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন, যা 'আটলান্টিক সনদ' নামে পরিচিত।
আটলান্টিক সনদের মূল নীতি বা বক্তব্যঃ
- বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রই ভবিষ্যতে তার নিজের সাম্রাজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে না।
- কোনো দেশের সীমানা নির্ধারণে জনগণের মতামত বিবেচনা করা উচিত ।
- বিশ্বের প্রতিটি দেশকে তার স্বাধীনতা এবং স্ব-শাসনের অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
- পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে, বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিক এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সচেষ্ট হবে।
- বিশ্বের সকল দেশই, সে ছোট-বড় যাই হোক সমান অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা পাবে।।
- বিশ্বের সকল রাষ্ট্রকে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে তাদের সৈন্যসংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ কমাতে হবে।
- সকল দেশ বৈদেশিক আক্রমণের ভয় ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত অভ্যন্তরীণ উন্নয়ণের কাজে যাতে আত্মনিয়োগ করতে পারে তার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
- সমুদ্রপথ সমভাবে বিশ্বের সকল দেশের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষর:
১৯৪২ সালের ১ জানুযারী ওয়াশিংটন সম্মেলনে আটলান্টিক সনদে বিশ্বের ২৬টি দেশ স্বাক্ষর করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠারয় অঙ্গীকার করে। আটলান্টিক সনদে জনগণের অধিকারকে মর্যাদা দিতে যুদ্ধোত্তর সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে আহ্বান জানানো হয়েছিল । এ খা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জনায় আবেদনা জানানো হয়েছিল। এভাবে এই সনদে জাতিসংঘের থেকে আরও অধিক মুক্তিশালী একটি বিশ্বশান্তি রক্ষাকারী আন্তজাচিনদে জাতিসংঘের ঘোনোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীকালে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্ভব ঘটেছিল ৷
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আটলান্টিক চার্টার সম্পর্কে আলোচনা করো। এই নোটটি পড়ার জন্য