ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

 ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালের ২২ জুন হিটলারের সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ এবং ৭ ডিসেম্বর জাপানের মার্কিন নৌঘাঁটি পার্লহারবারে বোমাবর্ষণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে অভূতপূর্ব মৈত্রী বন্ধনের সৃষ্টি করে। তারা জার্মানি-ইতালি-জাপান এই অক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ায়। ফলে যুদ্ধের গতি পরিবর্তিত হয়। এই যুদ্ধকালীন মিত্রশক্তিবর্গের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে বিভিন্ন সম্মেলনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল। রণকৌশল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং যুদ্ধোত্তর বিশ্বের পুনর্গঠন সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণ এ সকল সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল। এই সম্মেলনগুলোর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যুদ্ধোত্তর বিশ্বে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিভিন্ন শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। মিত্রশক্তির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকগুলো সম্মেলন হয়েছিল। এগুলো হলো আটলান্টিক সম্মেলন (১৯৪১ ও ৪২), মস্কো সম্মেলন (১৯৪২), কাসাব্লাংকা সম্মেলন (১৯৪৩), তেহরান সম্মেলন (১৯৪৩), ইয়াল্টা সম্মেলন (১৯৪৫), পটসডাম সম্মেলন (১৯৪৫) ইত্যাদি। 


বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম প্রজাতন্ত্র এবং বর্তমান ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনের স্বাস্থ্য নিবাস হচ্ছে ইয়াল্টা । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এখানে তিন প্রধান (The Big Three) অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট, সোভিয়েত ইউনিয়নের ই. স্ট্যালিন এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এর মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধকালীন সম্মেলনগুলোর মধ্যে ইয়াল্টা সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এখানে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা পরবর্তীকালের ইতিহাসকে প্রভাবিত করেছিল। এখানেই যুদ্ধোত্তর পৃথিবীর রূপরেখা প্রণয়ন এবং নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয় 


ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও


ইয়াল্টা আলোচ্য বিষয় গুলি হল


  • জার্মানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা।
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইউরোপের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন করা।
  • বিশ্বে আন্তর্জাতিক শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এক আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি করা।
  • রাশিয়ার দাবিমতো নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা।
  • দূরপ্রাচ্যের যুদ্ধে রাশিয়ার যোগদানের গুরুত্ব পর্যালোচনা করা।
  • পোল্যান্ডের সীমানা ও ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের প্রশ্নের সমাধান করা। 


ইয়াল্টা গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলি হল


জার্মানি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত


মিত্রশক্তি জার্মানির প্রতি কী ধরনের নীতি অনুসরণ করবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সমালোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাস্তব সুবিধার জন্যে রাজনৈতিক নীতিকে অর্থনৈতিক নীতি থেকে পৃথকভাবে বিবেচনা করা হয়। মিত্রশক্তি কীভাবে জার্মানি দখল করবে তার একটি রাজনৈতিক নির্দেশাবলী ইউরোপীয় উপদেষ্টা কমিশন তৈরি করে এবং এ বিষয়ে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হয়। জার্মানি দখলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়-


  • জার্মানির সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ ও অসামরিকীকরণ এবং সামরিক উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন সব কলকারখানার অপসারণ বা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
  • জার্মানির জনগণকে জানিয়ে দেওয়া যে, তারা একটি চরম সামরিক পরাজয় বরণ করেছে এবং তারা যা করেছে তার দায়িত্ব তারা এড়াতে পারে না।
  • নাৎসি দল এবং এর সহযোগী সংগঠন ও সংস্থাকে ধ্বংস করা। সকল নাৎসি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেওয়া যাতে কোনো সময় এগুলো আর পুনরুজ্জীবিত না হয়। জার্মানির সামরিক কার্যকলাপ এবং প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হবে।
  • গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে জার্মানির রাজনৈতিক জীবন পুনর্গঠিত করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জার্মানিকে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।



 রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি


  • রাষ্ট্রসংঘের সংবিধান রচনার জন্য আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো শহরে মিত্রপক্ষের সকল দেশ এপ্রিল মাসে মিলিত হবে।
  • রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলি ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা পাবে।
  • নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ অছি পরিষদের রাষ্ট্রগুলির ব্যাপারে আলোচনা করতে পারবে।


পোল্যান্ড নীতি

  • ঠিক হয় দু-টুকরো পোল্যান্ডকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
  • পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সীমানা অক্ষুন্ন রাখার জন্য জার্মানির উত্তর- পশ্চিম দিকের ভূখণ্ড পাবে পোল্যান্ড।


রাশিয়ার প্রাপ্তি


  • দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়ার রেলপথ ব্যবহারের অধিকার।
  • কিউরাইল দ্বীপপুঞ্জ, শাখালিনের দক্ষিণাংশ এবং তার নিকটবর্তী উপদ্বীপ।
  • দাইরেনের বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সেখানে রাশিয়াকে বিশেষ সুযোগসুবিধা ও অধিকার প্রদান করা হয়।
  • পোর্ট আর্থারকে নৌ-ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ৯১ বছরের লিজের অধিকার প্রদান করা হয়।


পটসডাম সম্মেলন সম্পর্কে আলোচনা কর


ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও



 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে যেসব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পটসডাম সম্মেলন। জার্মানির রাজধানী বার্লিনের পাশে পটসড্রাম শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী চলা এই এক সম্মেলনে মিলিত হন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস. ট্রুম্যান, সোভিয়েত রাষ্ট্রনায়ক ই. স্টালিন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল 



পটসডাম সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়


  • জার্মানির কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়।
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জার্মানির সমাজব্যবস্থার পুনর্গঠন।
  • ইয়াল্টা সম্মেলনের ঘোষণাপত্রগুলির মূল্যায়ন।
  • পোল্যান্ডের পশ্চিম সীমান্ত নির্ধারণ।



পটসডাম সম্মেলনের গহীত সিদ্ধান্ত


  • ব্রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। এই কাউন্সিল জার্মানি, ইতালি, বুমানিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরি করবে।
  • জার্মানিকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয় যে, জার্মান জাতির স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে। এর পাশাপাশি জার্মানিতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা, রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্ব রক্ষা, নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে।
  • জার্মানির সমরবাদ ও নাৎসিবাদের সম্পূর্ণরূপে অবসান ঘটানো হবে এবং সামরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও নাৎসি প্রতিষ্ঠানগুলির অস্তিত্ব বিলোপ করা হবে।
  • জার্মানিতে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি হয় এমন কারখানাগুলি মিত্রপক্ষ নিজেদের অধিকারে নিয়ে আসবে।
  • আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে জার্মানির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে।
  • পূর্ব প্রাশিয়াকে ভেঙে এর পশ্চিমাঞ্চল পোল্যান্ডকে দেওয়া হবে। আর অবশিষ্ট অংশ সোভিয়েত রাশিয়া পাবে।।
  • জার্মানির নৌবহরগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত রাশিয়া ও ব্রিটেন নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে।
  • জার্মানির কাছ থেকে যুদ্ধের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করবে মিত্রপক্ষ নিযুক্ত কমিশন।



পটসডাম সম্মেলনে মিত্রশক্তি জার্মানির অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপারে একমতে পৌঁছান যে, জার্মানির অর্থনৈতিক ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এতে জার্মানির যুদ্ধ করার ক্ষমতা দুর্বল হবে। আরো বলা হয় যে, মিত্র শক্তির দখলে থাকাকালীন জার্মানিকে একটি অখণ্ড একক হিসেবে গণ্য করা হবে। ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ক্ষতিপুরণ এমনভাবে আদায় করা হবে যাতে, বিদেশি সাহায্য ছাড়া জামান জনগণের জীবিকা নির্বাহের সম্পদ অবিশিষ্ট থাকে। আরো বলা হল যে, জার্মানির জনগণের জীবনযাত্রার মান যেন ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের জনগণের জীবনযাত্রার মানকে অতিক্রম না করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। জার্মানির কাছ থেকে আঞ্চলিক ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছিল।


(খ) অন্যান্য সিদ্ধান্ত


  • অস্ট্রিয়াকে জার্মানি থেকে বিচ্ছিন্ন করে চারটি সামরিক অধিকৃত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত। 
  • পোল্যান্ডের সীমানা ক্ষুদ্র ইউরোপীয় শক্তির সাথে শান্তি চুক্তির খসড়া সম্পাদনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।


পটসডাম সম্মেলনে জার্মানি সম্পর্কে যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাতে কোনো বাদানুবাদ হয়নি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য প্রশ্নে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির তীব্র বাদানুবাদ হয়। পটসডাম সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ইউরোপীয় বিষয়াবলীর সমাধানের ব্যাপারে এসব সিদ্ধান্ত দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারেনি। এ সিদ্ধান্তগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল জার্মানিতে এবং ইউরোপের অন্যত্র জঙ্গি মতবাদ দ্বারা পরিচালিত সরকারের অবসান করে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করা। কিন্তু যুদ্ধোত্তর যুগে এই গণতন্ত্রের রূপরেখা গণতান্ত্রিক না সমাজতান্ত্রিক ধাঁচে সংগঠিত হবে সে বিষয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতবিরোধ দেখা দেয়। আর এভাবেই সূচনা হয় প্রায় যুদ্ধের। 

ইয়াল্টা ও পটসডাম সম্মেলন সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্ন গুলিঃ

পটসডাম সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

পটসডাম সম্মেলন ১৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট, ১৯৪৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

পটসডাম সম্মেলন কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

পটসডাম সম্মেলন ১৯৪৫ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে জার্মানির পটসডাম শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

পটসডাম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দুজন রাষ্ট্র নেতার নাম উল্লেখ করো।

উইনস্টন চার্চিল (বা ক্লেমেন্ট অ্যাটলি), হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং যোসেফ স্টালিন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ছিলেন।

পটসডাম সম্মেলন কেন হয়েছিল?

পটসডাম সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের পর ইউরোপে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জার্মানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা।

পটসডাম ঘোষণা কি?

পটসডাম ঘোষণা ছিল জাপানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান, যা ২৬ জুলাই ১৯৪৫-এ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন কর্তৃক দেওয়া হয়।

ইয়াল্টা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

ইয়াল্টা সম্মেলন ৪ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

ইয়াল্টা কোথায় অবস্থিত?

ইয়াল্টা ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত একটি উপকূলীয় শহর।

ইয়াল্টা সম্মেলন কেন ডাকা হয়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও যুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপ পুনর্গঠনের জন্য ইয়াল্টা সম্মেলন ডাকা হয়।

ইয়াল্টা সম্মেলন কি?

ইয়াল্টা সম্মেলন ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে প্রধান মিত্র শক্তির নেতারা যুদ্ধোত্তর ইউরোপের ভাগ্য নির্ধারণে একমত হন।

ইয়াল্টা কনফারেন্স এর লক্ষ্য কী ছিল?

লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ শেষে জার্মানি বিভক্ত করা, জাতিসংঘ গঠন নিশ্চিত করা, ও পূর্ব ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ।

ইয়াল্টা সম্মেলন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতির নতুন দিক উন্মোচিত হয়, যেমন ঠান্ডা যুদ্ধের সূচনা ও জাতিসংঘের পরিকল্পনা।

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ইয়াল্টা সম্মেলন ও পটসডাম সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟