পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সি আসলে কী
পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সি আসলে কী
ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগরকে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভূগোলে ইরিথ্রিয়ান সাগর বলা হত। সেই ইরিথ্রিয়ান সাগরে যাতায়াত ও বাণিজ্য বিষয়ে একটি প্রশ্ন লেখা হয়েছিল। প্রশ্নটির নাম 'পেরিপ্লাস অব্ দ্য ইরিথ্রিয়ান সী।' পেরিপ্লাস কথাটি দুটো অর্থে ব্যবহূত হয়, জলযানে করে ঘুরে বেড়ানো, আবার জলপথে যাতায়াতের বর্ণনা। অর্থাৎ, গ্রন্থটির বাংলা তর্জমা হল ইরিথ্রিয়ান সাগরে ভ্রমণ। প্রশ্নটির লেখকের নাম জানা যায়নি। গ্রন্থটি গ্রিক ভাষায় লেখা। গ্রন্থটির লেখক একজন গ্রিক, যিনি মিশরে বসবাস করতেন।
গ্রন্থটির লেখক নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছিলেন। তাই গ্রন্থটিতে ইরিথ্রিয়ান সাগরের বন্দর ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নানা বিষয়ে খুঁটিনাটি বর্ণনা রয়েছে। বণিকদের সুবিধার জন্য গ্রন্থটি লেখা হয়েছিল। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের মাঝামাঝি সময়ে গ্রন্থটি লেখা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
গ্রন্থটিতে রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন, সমাজ, গাছপালা, পশুপাখি বিষয়েও নানা কথা। এই গ্রন্থটি খ্রিস্টীয় প্রথম শতক নাগাদ অর্থনীতির ইতিহাস জানার প্রয়োজনীয় সাহিত্যিক উপাদান। খ্রিস্টপূর্বাব্দ প্রথম শতকের শেষদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বিষয়ে আরো বেশি ধারণা তৈরি হয়। ওই বায়ুর সাহায্যে ইরিথ্রিয়ান সাগরে যাতায়াত ও বাণিজ্য সহজ হয়েছিল। প্রশ্নটির অপরিসীম গুরুত্বের জন্য ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন যে,-"প্রন্থটিকে সোনা দিয়ে ওজন করা যায়।"
এই গ্রন্থটি থেকে একাধিক বন্দর এবং সমুদ্রপথের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল তলেমাইস, আদুলিস, আবালিতেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবালিভেস থেকে আয় ৮০০ স্তাদিয়া ভেসে গেলে এর থেকে ভালো আর একটি বাণিজ্যিক শহরের নাম জানা যায় সেটি হল মালাও। এই গ্রন্থ থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ যে বন্দরটির কথা জানা যায় সেটি হল বাবুগাজা। বন্দরের পাশাপাশি একাধিক যাণিজ্যিক শহরের বর্ণনা এই প্রশ্নে
উপস্থাপিত হয়েছে । যার মধ্যে অন্যতম হল সাউয়া, সাফার, মিন্নকার ও ব্রোচ অন্যতম।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সি আসলে কী এই নোটটি পড়ার জন্য