ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলন একটি রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ তুমি কি এলটনের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত

ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলন একটি রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ তুমি কি এলটনের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত

 ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলন একটি রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ তুমি কি এলটনের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত

ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলন একটি রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ তুমি কি এলটনের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত

ঞ্চদশ শতকে ইউরোপের নবজাগরণের অন্যতম ফল ছিল ষোড়শ সপ্তদশ শতকের ধর্ম সংস্কার আন্দোলন ৷ জার্মানিতে শুরু হয়ে অল্পকালের মধ্যেই ধর্ম সংস্কারের আন্দোলন পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ তবে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের গতি প্রকৃতি সর্বত্রই এক রূপ ছিল না ৷ বিশেষত ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারের তাৎক্ষণিক কারণ ও পরিচালকদের সাথে অবশিষ্ট ইউরোপের আন্দোলনের কিছু প্রভেদ লক্ষণীয় ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারের কর্মসূচি রূপায়ণের প্রধান ছিলেন রাজা অষ্টম হেনরি । ও তার চ্যালেন্স্যার টমাস ক্রমওয়েল ৷ অন্যদিকে অবশিষ্ট ইউরোপের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোক্তা ছিলেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববান বিশেষত মানবতাবাদী সংস্কারগন এই কারণে জিওফ্রি এলট্রন ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারকে "একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ" বলে অভিহিত করেন ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একাধিক ধর্ম বিষয়ক আইনজারীর মাধ্যমে ৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্টকে রিফরমেশন পার্লামেন্ট বলা হয় ৷ নির্দেশে চ্যালেন্স্যার টমাস ক্রমওয়েল ১৫৩২ থেকে ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করেন ৷ অষ্টম হেনরির চার্জ বিরোধী এই উদ্যোগের পাশ্চাতপটে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল তার বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গটি ৷

রাজা অষ্টম হেনরির কোন পুত্র সন্তান ছিল না ৷ তাই তিনি স্ত্রী ক্যাথারিনের এর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন অ্যানবোলেন নামক মহিলাকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেন । এলটন বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন (১). ইংল্যান্ডের সিংহাসনে উত্তরাধিকার হিসাবে পুত্রের প্রয়োজন (২). অ্যানবোলেন এর প্রতি রাজার আসক্তি (৩). অগ্রজ আর্থারের প্রাক্তন স্ত্রী কে বিবাহ করার কারণে নৈতিক অস্বস্তি এমন বিবাহ বিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহের জন্য পোপের অনুমোদন আবশ্যিক ছিল ৷ কিন্তু পোপ নানা কারণে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপ করতে থাকেন ৷ রাজা ধৈর্যচ্যুতি হয়ে চ্যালেন্স্যার কার্ডিনাল ওলসিকে পদচ্যুত করে টমাস ক্রমওয়েলকে নতুন চ্যালেন্স্যার নিয়োগ করেন ৷

ক্রমওয়েলের উদ্যোগে পার্লামেন্ট বিভিন্ন আইন জারি করে চার্জের ক্ষমতা সংকোচিত করে এবং চার্জের উপর রাজার কর্তৃত্ব বৌধ করা হয় ৷ "Act of supremacy" নামক আইন রাজাকে ইংল্যান্ডে চার্চে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বৈধতা দেয় ৷ "Ten Aeticles" প্রবর্তন করে খ্রিস্টীয় ধর্মচরণের সংস্করণ হয় । "Comman prayer book" সংশোধনে অধিকার পার্লামেন্টের হাতে অর্পিত হয় এইভাবে ইংল্যান্ডের চার্জে জাতীয়করণ হয় এবং অষ্টম হেনরি একাধারে রাজা, পোপ ও সম্রাটের মর্যাদা লাভ করেন ৷

অষ্টম হেনরির মৃত্যুর পর রাজা ষষ্ঠ এডওয়ার্ড এর আমলে "English prayer book এবং Fourty two Aeticles দ্বারা ধর্ম সংস্কারের কাজ আরো কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । এর পরবর্তী শাসিকা ক্যাথারারিনের কন্যা মেরি ছিলেন গোড়া রোমান ক্যাথলিকদের সমর্থক ৷ তার আমলে ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারের বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ৷ তার মৃত্যুর পর অ্যানাবোলিনের এর কন্যা রানী এলিজাবেথের আমলের সংস্কারগুলির পুনর প্রতিষ্ঠা ঘটে ৷ তবে এলিজাবেথ কঠোরভাবে লুথার পন্থি যেমন ছিল তেমনি ক্যাথলিক ধর্ম সমর্থক ছিলেন না ৷ এই সকল কারণে এনটন ইংল্যান্ডের ধর্ম সংগঠনকে একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বলে মনে করেন ৷

ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে জনমত উপরে উঠেছিল এই সময় কয়েকজন মানবতাবাদী লেখক ধর্ম সংস্কারের একটা ভিত্তি তৈরি করেছিলেন ৷ এই ভিত্তির ওপর অষ্টম হেনরি ও অন্যান্য ইংরেজ শাসকেরা ধর্ম সংস্কারের বিদ্যমান গড়ে তুলেছিলেন সে ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নটি অনুঘটকের কাজ করেছিল বলা যায় ৷ ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারের তাৎক্ষণিক অবদান ছিল রাষ্ট্রের ৷ তবে আনুসঙ্গিক আর্থসামাজিক পরিবর্তনের এই কাজে সাফল্য আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল ৷ তবে এই কথা ঠিক ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে রাষ্ট্রের সমর্থক ভূমিকা ছিল ৷ তাই জিইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনকে একান্ত একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন ৷

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟