ক্ষুদ্রাশ্রয়ী আয়ুধ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।
![]() |
ক্ষুদ্রাশ্রয়ী আয়ুধ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো। |
খাদ্যসংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তরযুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্যপ্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কাল মধ্যপ্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। এই সময় ব্যবহৃত পাথরের হাতিয়ারগুলির মাপ ক্ষুদ্র হওয়া একে 'ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ' বা 'ক্ষুদ্রাশ্রয়ী আয়ুধ' বলা হয়। ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগের সময়কাল খ্রিস্টপূর্বাব্দ ১৫,০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। ১০০০ অব্
ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগের মানুষ হাতিয়ার তৈরিতে আরও দক্ষতার পরিচয় দেয়। এ যুগের হাতিয়ারগুলি পূর্ববর্তী যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ক্ষুদ্র হয়। পাথর ছাড়াও জীবজন্তুর হাড়, দাঁত দিয়ে হাতিয়ার তৈরি এসময় আরও উন্নত হয়। এই যুগের মানুষের প্রধান অস্ত্র ছিল তির ধনুক, হারপুন, বঁড়শি প্রভৃতি হাতিয়ারের বিশেষত্ব ছিল ক্ষুদ্রাকৃতি।
ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশুশিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। বড়ো পশুশিকারের পাশাপাশি তারা লাল হরিণ, বনবিড়াল, নেউল প্রভৃতি পশুশিকার করত। যারা নদী ও সমুদ্রের উপকূলে বসবাস করত তারা সেখান থেকে মাছ ও শামুক সংগ্রহ করত। বরফের ওপর দিয়ে চলার জন্য মধ্যপ্রস্তর যুগের আদিম মানুষ স্লেজগাড়ির ব্যবহারও জানত। এই গাড়ি টানার জন্য তারা কুকুরকে কাজে লাগাত।
মধ্যপ্রস্তর যুগে মানুষ চিত্রকলায় কিছুটা অগ্রগতি ঘটিয়েছিল। নিত্যদিনের ব্যবহার্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন হাতিয়ার ছিল এযুগের চিত্রকলার বিষয়বস্তু। জ্যামিতিক আকারের ত্রিকোণ, চতুষ্কোণ, বৃত্তাকার চিত্র এসময় আঁকা হত। উত্তর ইউরোপের বিভিন্ন স্থান এবং ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে মধ্যপ্রস্তর যুগের বিভিন্ন পাথরের নিদর্শন পাওয়া গেছে