সামন্ততন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

সামন্ততন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

 সামন্ততন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

স্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে। তবে এই সামন্ততন্ত্রের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়:---

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন


 সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শক্তির অস্তিত্ব থাকে না। এর ফলে সামন্তপ্রভুরাই হয়ে ওঠে দেশের সকল শক্তির আধার। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শাসকও আঞ্চলিক সামন্তপ্রভুদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।


 প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মরিস ডবের মতে, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় কৃষি প্রযুক্তি, শ্রম বিভাজন প্রভৃতি সবই ছিল নিম্নমানের। তাছাড়া সামন্ত প্রভুরাও উন্নতমানের কৃষি প্রযুক্তিতে উৎসাহী ছিলেন না। ফলে উৎপাদনও কম হত। 


 ম্যানর ব্যবস্থা হল সামন্ততন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। সামন্ততন্তে উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবে গ্রামগুলিকে কেন্দ্র করে ম্যানর ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। এই ব্যবস্থা সামন্তপ্রভু তার ম্যানরের অন্তর্গত সকল ভূমিদাস, কৃষকের উপর শাসন ও বিচার সংক্রান্ত যাবতীয় অধিকার ভোগ করতেন। এর বিনিময়ে ভুমিদাসরা বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে আত্মরক্ষা ও জীবনধারনের অধিকার লাভ করত। শুধু তাই নয় সামন্তপ্রভু তার ম্যানর হাউসকে কেন্দ্র করে ভূমিদাস ও মুক্ত কৃষকদের নিয়ে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন।


রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ফলে সামন্তযুগে নাইট নামে পরিচিত যোদ্ধা শ্রেণীর অস্তিত্ব অনিবার্য হয়ে পড়ে। সুশিক্ষিত যোদ্ধারা শিভালরির বীরত্বের আদর্শ মেনে চলত। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে প্রাণপাত করাই ছিল এই বীরত্বের আদর্শের মূলকথা।


এছাড়াও অধীনস্থ কৃষক শ্রেণীর অস্তিত্ব, শোষনমূলক কর ব্যবস্থা ইত্যাদি ইউরোপের সামন্তকে পূর্ণমাত্রায় বিকশিত করতে সহায়তা করেছিল।






আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ সামন্ততন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ? এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟