১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট সম্পর্কে আলোচনা কর

১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট সম্পর্কে আলোচনা কর

১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট সম্পর্কে আলোচনা কর

ভারতের কোম্পানি বাণিজ্য বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব সম্প্রসারিত হয় দেওয়ালি লাভের পর থেকে ৷ যার ফলে ইংল্যান্ডের জনমতে প্রশ্ন ওঠে যে একটি বণিক সংগঠনকে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া উচিত কিনা? পার্লামেন্টের রাজনীতিবিদগণ কোম্পানির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি তোলেন এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ সালে রেগুলেটিং অ্যাক্ট এবং ১৭৮৪ সালে পিটস ইন্ডিয়া অ্যাক্ট পাস করেন ৷ কিন্তু কোম্পানির কার্যকলাপ অব্যাহত থাকলে পুনরায় ১৭৯৩ সালে চার্টার আইন পাস করে গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় ৷ বস্তুতো ভারত শাসন সংক্রান্ত কোনো মৌলিক পরিবর্তন স্বাধীন হয়নি উক্ত আইন সমূহের মাধ্যমে ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

১৮১৩ সালে চাটার অ্যাক্টের প্রকালে কোম্পানি ব্রিটিশ সরকারের কাছে মোটা ঋণের জন্য আবেদন করেন ৷ ওয়েলেসলির বেহেসারি রাজ্য জয় ও যুদ্ধনীতির জন্য কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বেহাল হয় ৷ যার ফলে সরকারের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া গতান্তর ছিল না ৷ আবার কিছু প্রতিপক্ষ বণিক সংঘ ও শিল্পপতিরা ঋণ মঞ্জুরের পূর্বে ভারতের কোম্পানির কাজ কর্মের অনুসন্ধানের দাবি তোলেন ৷ আবার এই সময়েই ইউরোপে নেপোলিয়ন মহাদেশীয় প্রথা চালু করলে ইংল্যান্ডের অন্যান্য বণিক গোষ্ঠীও কোম্পানি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার লোপ করার দাবি করলেন পাশাপাশি খ্রিস্টান মিশনারিরা ও ভারতে গিয়ে স্বাধীনভাবে ধর্মপ্রচার ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন ৷ এইরকম প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানির ক্ষমতা হাস করার উদ্দেশ্যে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট পাস করেন ৷

১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট অনুযায়ীঃ

  1. ভারতের কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার লোপ করা হয় ৷ 
  2. অন্যান্য বণিক ও কোম্পানি ভারতে বাণিজ্য করার অধিকার পান ৷ 
  3. কোম্পানির অংশীদারীদের লগ্ন করা অর্থের উপর 10.5% হারে লাভভ্যাংশ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৷ 
  4. ভারতের কোম্পানি রাজস্ব আই ও বাণিজ্য জনিত আয় সংক্রান্ত হিসাব পৃথক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
  5. কোম্পানির রাজস্ব থেকে বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিবাসীদের সাহিত্য ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
  6. কোম্পানির সামরিক ও বেসামরিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাক্রমে এডিস কোর্স ও হেলদি বেরি কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয় ।

আপাত বিচারে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রচলিত চার্টার অ্যাক্ট পূর্বে প্রচলিত আইনের বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটায় নি ৷ কিন্তু এই আইনের মাধ্যমে কোম্পানির এদেশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক সংস্থার উন্নতির হাতে বদ্ধপরিকর তার আভাস লক্ষ্য করা যায় ৷ আবার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার স্থিতির করে অবাধ বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেন ব্রিটিশ সরকার কার্যত ও ভারতের সম্পদ প্রশাসনের উপর ব্রিটিশ জাতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সূচনা করেছিলেন ৷ লর্ড বেনক্লিপ এর মতে কিছু ইংরেজি কোম্পানির পরিবর্তে ভারতের ব্রিটিশ রাজের যে দাবি তুলেছিলেন এই আইনের তার পরোক্ষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। "

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চ্যার্টার অ্যাক্ট সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟