উনিশ শতকের প্রথমার্থে চিত্রকলা,সংগীত, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা কর
সাহিত্য ও চিত্রকলা
বিজ্ঞানে রোমান্টিকতাঃ
![]() |
জন উইলিয়াম ওয়াটারহাউস , দ্য লেডি অফ শ্যালট , ১৮৮৮, টেনিসনের একটি কবিতার পর |
উনিশ শতকের বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়, চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ এর তথ্য এক গভীর চিন্তার প্রকাশ ৷ তিনি প্রচার করেন যে জগতের প্রত্যক্ষ স্থানের প্রানী বা উদ্ভিদ অভিযোজনের ফলে স্থান উপযোগী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় । অভিযোজন ক্ষমতার গুণ বা দোষের উপর কোন প্রজাতির অস্তিত্ব বা বিলুপ্তি নির্ভর করে ৷
জার্মান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন আপেক্ষিক বস্তুবাদ তত্ত্বের দ্বারা পদার্থবিজ্ঞানী বৈপ্লবিক ঘটিয়েছিলেন ৷ এই তথ্যের মূল কথা হলো প্রকৃতিতে যা নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয় বলে মনে হয় তা বাস্তবে নাও হতে পারে ৷ যে যেটিকে যেমনভাবে দেখে তার উপর নির্ভর করে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট রূপ ৷
অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড বলেছেন মানুষের মনে তিনটি স্তর আছে যথা সংজ্ঞান,অন্ত জ্ঞান,মীর জ্ঞান ৷ আমাদের অতিরিক্ত কামনা-বাসনের স্বপ্নের মধ্যে পরিতৃপ্ত লাভের চেষ্টা করে ৷ তিনি স্বপ্নকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন শিশুদের স্বপ্ন এবং পরিণত ব্যক্তির স্বপ্ন ৷
সংগীতে রোমান্টিকতাঃ
![]() |
লুডভিগ ভ্যান বিথোভেন , ১৮২০ |
সংগীতেও রোমান্টিকতার প্রভাব লক্ষ্য করা ৷
জার্মান সঙ্গীতজ্ঞ ও সূরোশ্রষটার লুডউইক বিথোপেন পুরানো ক্লাসিক সংগীতের বাঁধন ছেড়ে আবেগ অনুভূতির দ্বারা অনুরঞ্জিত নতুন ধারার সংগীত প্রবর্তন করেন ৷ বিথোভেন সাতটি সিম্ফনি রচনা করেন ৷ সংগীতের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত ভাবাবেগ কিভাবে প্রকাশ করা যায় বিথোভেন তা সুরের মাধ্যমে দেখিয়েছেন ।
জার্মান রোমান্টিক সঙ্গীতজ্ঞ সুবাট সংগীতকে মনের নানা ভাব প্রকাশের একটি বিশেষ ভাষা বলে মনে করেন ৷ তার সিম্ফনি ও কোয়াট্রের্ড গুলি সবই গীতিকাব্যের ধর্মী সুর সৃষ্টি ছাড়া কাব্যময় সংগীত রচনাতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত ৷ জার্মান রোমান্টিক সংগীত ভাগনার সংগীতে সিন্থেনিসের অবতারণা করেন ৷ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের পটভূমিতে রচিত তার অবরোধ ভূমি উপস্থাপনা ছিলেন অনবদ্য । ভাগনারের সঙ্গীতে একধারে কল্পনা হাওয়ারে দার্শনিকতা মেলোডির ঝংকার প্রভৃতি উপলব্ধি লাভ স্তোত্র ঘটে ৷
স্থাপত্য রোমান্টিকতাঃ
![]() |
চার্লস গার্নিয়ার (১৮৬১-১৮৭৫) -এর প্যারিস অপেরার গ্র্যান্ড সিঁড়ি |
ঊনবিংশ শতকে ইংল্যান্ডের স্থাপত্য করার ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত বাধা বর্জন করে চৌনিক ও তথাকথিত গঠিত শিল্পশৈলীর গ্রহণের চেষ্টা হয় । হোরেস ওয়ালপোল তার,"কাসল অব ওট্রানাটায়" সর্বপ্রথম গথিত স্থাপত্যের প্রতি আগ্রহ দেখান ৷ ইংল্যান্ডের ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ পার্লামেন্ট ভবনের নির্মাণের রোমান্টিক শৈলী ও গথিত শৈলির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ৷ ফ্রান্সের ভয়োলেট লে-ডাক গথিত রীতিতে বিখ্যাত নটরডাম গির্জার পুনঃনির্মাণ করে ৷
রোমান্টিকতার যুগে ইউরোপের ভাস্কর্যের ও বিকাশ ঘটেছিল ৷ এই যুগের প্রখ্যাত ভাস্কর্যদের মধ্যে একটি মানসিক পরিবর্তন ঘটেছিল ৷ সুন্দরী নগ্ন রমনী দেহের মডেল মন্ডিত ভাস্কর্যকে ক্লাসিক ধর্মী বলে এরা পরিত্যাগ করেন ৷ তার জায়গায় দরিদ্র শ্রমজীবীর জীবন যাপন,গৃহহীন কোয়সারদের বাসস্থানকে এরা ভাস্কর্যের বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেন ৷
মৌলিক প্রতিভার উপর গুরুত্ব আরোপ করে রোমান্টিকতা বাদ সমাজ অপেক্ষা মানুষের ব্যক্তিত্বকে শ্রেষ্ঠ আসন দেয় ৷ মানুষের স্বাধীন চিন্তা ধারার ওপর বিধি-নিষেধ রোম্যান্টিক কতাবাদের নিন্দিত হয়েছিল ৷ প্রকৃতপক্ষে রোমান্টিক আন্দোলনের মূলে এই গ্রিকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদান ছিল অনস্বীকার্য ৷
ছবির সূত্রঃ- উইকিপিডিয়া
ইতিহাসের কন্ঠস্বর /itihasherkonthoshor