ব্রাহ্ম সমাজের সঙ্গে প্রার্থনা সমাজের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর

ব্রাহ্ম সমাজের সঙ্গে প্রার্থনা সমাজের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর

ব্রাহ্ম সমাজের সঙ্গে প্রার্থনা সমাজের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর

ব্রাহ্ম সমাজের সঙ্গে প্রার্থনা সমাজের সাদৃশ্য             ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর

ব্রহ্ম সমাজ আন্দোলন বাংলাদেশের শুরু হলেও বাংলার সাথে সাথে ভারতের অনেক প্রান্তে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ কিন্তু ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে কেশব চন্দ্র সেন মহারাষ্ট্রে যে প্রার্থনা সমাজের জন্ম দেয় তা মহারাষ্ট্রের বাইরে খুব বেশি বিকশিত হতে পারেনি ৷ ব্রাহ্মসমাজ একটা নতুন ধর্ম ভাবনার জন্ম দিয়েছিল ৷ কিন্তু প্রার্থনা সমাজের সদস্যরা নিজেদের নতুন ধর্মের প্রচারক বলে মনে করতেন না ৷ প্রার্থনা সমাজ মূলত হিন্দু সমাজের অন্তর্ভুক্ত এক সংস্কারমুখী সম্প্রদায় হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন ৷ প্রার্থনা সমাজ অদ্বৈতবাদ এর বিশ্বাসী ছিলেন এবং নামদেব তুকারাম, রামদাস প্রমুখ মহারাষ্ট্রীয় ধর্মাচার্য মূল নীতিগুলোকে অনুসরণ করত ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

সামাজিক উন্নয়ন ও নারী কল্যাণের ব্যাপারে অবশ্য প্রার্থনা সমাজ ব্রাহ্মসমাজের কর্মসূচিকে অনুসরণ করেছিল ৷ অসমন বিবাহ,বিধবা বিবাহ,অস্পৃশ্যতা বর্জন সমাজের উন্নয়ন প্রভৃতি প্রার্থনা সমাজের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেছিল  ৷ প্রার্থনা সমাজের প্রচেষ্টায় বহু শিশু সদন,অনাথ আশ্রম ,চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্য রানাডে মহারাষ্ট্রে পুনে শহরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ৷ ব্রাহ্মসমাজের ন্যায় প্রার্থনা সমাজ পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্য গঠন করেন 'ডেকান এডুকেশন সোসাইটি' ৷ রানাডের উদ্যোগে কারভূষণ কলেজও প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ ব্রাহ্ম সমাজের ন্যায় প্রার্থনা সমাজের কুপথা কিংবা প্রগতি বিরোধী উপাদানগুলিকে সহ করতে রাজি ছিল না ৷

ব্রাহ্মসমাজ ও প্রার্থনা সমাজ উভয়ই পাশ্চাত্য আদর্শ ও ভাবধারার প্রভাবে প্রভাবিত হয় । সমাজ সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী ভারত প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রার্থনা সমাজের ব্যক্তিত্ব ভীষণ আন্তরিক ছিলেন ৷ এরা রাজনৈতিক সংগঠনগুলির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারের কাজও অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন ৷ ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের রানাডে 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্কুল কনফারেন্স' গঠন করেন ৷ সংস্কারক রূপে রানাডের চারিত্রিক বিরতা ও আন্তরিকতার ক্ষুন্ন হয়ে স্যার এনড্রুজ তাকে রামমোহন রায় ও স্যার সৈয়দ আহমেদ থেকে অগ্রণী সমন্বয়বাদী ব্যক্তিত্ব বলে মত প্রকাশ করেন ৷ অবশেষে বলা যায় ব্রাহ্মসমাজ প্রার্থনা সমাজে কাঠামোগত কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও ভারতের শিক্ষা চেতনা পাশ্চাত্যের চুক্তি ইত্যাদির প্রসারের ক্ষেত্রে উভয়ই সংগঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায় ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟