জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

 জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর


জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য

সমগ্র মুঘল যুগ ধরে নির্ধারিত ভূমি রাজস্ব বা জমা এবং আদায়কৃত জমির রাজস্ব আল-ই হাসিল অংকের একটা ফারাক দেখা যেত ৷ এর অন্যতম কারণ ছিল কোন মহলের জমার হিসাব করার সময় মহলের অন্তর্গত সমস্ত কৃষিযোগ্য খালিসা জমির সম্ভাব্য আয়ের কথা বিবেচনা করা হতো। কিন্তু মুঘল যুগে কৃষকের তুলনায় জমির পরিমাণ ছিল বেশি এই কারণেই বহু জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকত ৷ এর ফলে অর্থব্যবস্থার মধ্যে একটা বিপত্তি মাথা ছড়া দিত ৷ এ কথা মনে রাখা অসঙ্গত হবে না যে জমা ও হাসিলের এই ফারাককে ভিত্তি করে রাজত্বের ওপর জায়গীরদার,জমিদার ,আমিন, ইজারাদার প্রমুখের শোষণ ও অত্যাচার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷



মুঘল আমলে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার নৈতিক ও বস্তুগত ভিত্তি ছিল পরিষ্কার এবং ব্রিটিশ আমলে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা থেকে স্বতন্ত্র ৷ ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ভারতের অন্তর্গত ইউরোপীয় পর্যটকরা প্রায়ই সবাই মুঘল সম্রাটকে জমির মালিক বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব ,সৈয়দ নুরুল হাসান, শিরিন মুসভি প্রমুখ দেখিয়েছেন সেকালে জমির মালিকানা তথ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্য জটিলতা ছিল ৷



সর্বশেষে বলা যায় মূল ভারতে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে ব্রিটিশ রাজ্যের ভূমি ব্যবস্থার সহধর্মী বলে উল্লেখ করেছেন ৷এই ই ধারণা সঠিক নয়, আবুল ফজল লিখেছেন," সম্রাট উৎপন্ন ফসলের একাংশ প্রভূক্তের পরিশ্রমিক হিসাবে নিতেন ।" ইরফান হাবিব বলেছেন যে ,"মুঘলদের ভূমি রাজস্বের ওপর কোনো কর বা খাজনা নয় এটি ছিল শুধুমাত্র উৎপাদিত ফসলের উপর ধার্য রাজস্ব ,অর্থাৎ মুঘলদের ভূমি রাজস্ব হল মাল বা খারাজ যা জমির উৎপাদনের উপর নির্দিষ্ট হতো এবং রাজকীয় নিরাপত্তা লাভের বিনিময়ে কৃষক তার রাজকোষে জমা দিত ৷"


তোমাকে অনেক ধন্যবাদ জমা ও হাসির এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟