ইয়ম-কিপুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ইয়ম-কিপুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ইয়ম-কিপুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ইয়ম-কিপুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো। 

 ইয়ম-কিপুর যুদ্ধ বা চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ



তিন-তিনটি আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ সংঘটিত হওয়া সত্ত্বেও এই দুই প্রতিপক্ষের মায়া জম্মের অবসানের পরিবর্তে এই যন্ত আরও বহুগুন বৃদ্ধি পায় । মধ্যপ্রাচ্যে এর ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নি। তৃতীয় আয়ব ইজরায়েল যুদ্ধে আরবদের শোচনীয় পরাজয় যেমন প্রমিায়েদের উচ্চতাকে বহুগুন বৃদ্ধি করেছিল, তেমনি আরব রাষ্ট্রগুলিও এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ছিল।

চতুর্থ আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পটভূমি বা কারণঃ


১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব-ইজরায়েল যুদ্ধে আরবদের শোচনীয় পরাজয় তাদেরকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে । আরবীয়রা ইজরায়েলকে শান্তি দিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে বিভিন্ন সাহায্য গ্রহণ করতে থাকে।

ইজরায়েল চরম ঔদ্ধত্যের প্রকাশ ঘটিয়ে যেমন অধিকৃত আরব ভূ-খন্ড ফিরিয়ে দেয় নি, তেমনি আগ্রাসী মনোভাব গ্রহণ করতে থাকে। ১৯৬৮ সালে ইজরায়েলের বোমারু বিমান মিশরের রাজধানী কায়রোয় বোমাবর্ষণ করে। পরে ইরাক ও জর্ডনের ওপর বোমাবর্ষন করে। নিরাপত্তা পরিষদ এই আগ্রাসী নীতির তীব্র সমালোচনা করলেও ইজরায়েল তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি।

প্রতিবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া যথাক্রমে ইজরায়েল ও আরব দেশগুলিকে সহযোগিতা ও প্ররোচনা দিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টিতে সাহায্য করেছিল।

 ইহুদিদের হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্যালেস্টাইনের সন্ত্রাস মূলক কার্যকলাপ দিনের পর দিন তীব্র রূপ নিতে থাকে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন নামক সন্ত্রাসবাদি সংগঠনটি খুন জখম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নাকোজ কথা মূলক কাজ শুরু করেন । ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ১১জন ইজরায়েলী ক্রীড়াবিদ-কে তারা হত্যা করে। ইজরায়েলও এই ঘটনার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে যুদ্ধে অবতীর্ন হয় ।

ইয়ান কিপুর এর অর্থ হল ইহুদিদের প্রায়শ্চিত্তের দিন ৷  এই দিনটিতে ইহুদিরা উপবাস ও প্রার্থনার মাধ্যমে শান্তি কামনা করে ৷ এই দিনটিতে অর্থাৎ ৬ই অক্টোবর ইহুদীরা বার্ষিক উৎসব পালন করে কিন্তু ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে এই বিশেষ দিনটিতে মিশর ও সিরিয়ায় মিলিত বাহিনী ইজরাইল অধিকৃত সিনাই উপত্যকা অঞ্চলের উপর সামরিক অভিযান শুরু করেন ৷ ইসরাইলের সৈন্যরা এই সামরিক অভিযানের প্রতিরোধ করতে গেলে শুরু হয় চতুর্থ আরব- ইজরায়েল যুদ্ধ যা ইয়ম-কিপুর নামে পরিচিত (৬-২৫ অক্টোবর,১৯৭৩ খ্রিঃ) ৷

ইয়ম কিপুর উৎসবের দিনে যুদ্ধের সূচনা ঘটে অবশেষে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মধ্যে সত্তা এবং আমেরিকা ও সোভিয়েত উদ্যোগ যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয় । এই যুদ্ধের ফলে,
প্যালেস্টাইনে অধিকৃত অঞ্চল গুলি ইসরাইল নিজের দখলে রাখে জাতিপুঞ্জের প্রচেষ্টায় ইসরাইল সুয়েজ খাল সংলগ্ন অঞ্চল থেকে নিজের সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিলে মেসর সুয়েজ খালের উপর নিজের কর্তৃত্ব ফিরে পায় সুয়েজ খাল ধরে জাতিপুঞ্জের সেনাবাহিনীর মোতায়ন রাখা হয় ৷ রাষ্ট্রপতি জিমি কাটারের উদ্যোগে মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান আনোয়ার এল সাদাত ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াজক রবীন এর মধ্যে আরব ইসরাইল শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৷

এই চতুর্থ আরব-ইজরায়েল যুদ্ধে আরব জোট প্রাথমিক সাফল্য লাভ করলেও শেষ পর্যন্ত তারা কোলঠাসা হয়ে পড়ে। অবশেষে জাতিপুঞ্জের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে জেনেভায় এক শান্তি সম্মেলন উদ্ভুত হয়। এই সম্মেলনে দুই পক্ষের মধো আপাত শান্তি স্থাপিত হলেও আজও আরব- ইজরায়েল দ্বন্দ্ব এক জ্বলন্ত সমস্যা । 

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟