জাপানে টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস বিশ্লেষণ করো। || অথবা, টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা,প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস

জাপানে টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস বিশ্লেষণ করো। || অথবা, টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস ।

জাপানে টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস বিশ্লেষণ করো। || অথবা, টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা,প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস

টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা,প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস

টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা, প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস


টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের সময় জাপানের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল সে ব্যাপারে জানতে গেলে মনে রাখতে হবে সে এই বিষয়ে ঐতিহাসিক তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে  । তবে প্রাক মেইজি যুগে জাপানের সামাজিক স্তর বিন্যাস সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের বিশেষভাবে নির্ভর করতে হয় রুশ ক্যাপ্টেন ভ্যাসিলি গ্যালোওনিন-এর স্মৃতিকথায় । চিনের মতো জাপান ও বিদেশীদের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ছিল না, কিন্তু রাশিয়া আগ্রহী ছিল । ১৮০৬-৭ সালে নিকোলাই রেজানত নামে এরা রুম সামরিক অসিসার জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয় । কিন্তু জাপান রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থানের প্রয়োজন বোধ করেনি ।

টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা,প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস

বল প্রয়োগের মাধ্যমে রেজানভ জাপানে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন । জাপানিরা এই প্রয়াসকে বাঁধা দিয়েছিল এবং রুশ জাহাজের ক্যাপ্টেন ভ্যাসিলি গ্যালিনিনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন । বন্দি হয়ে গ্যালিনিন ৩ বছর জাপানে ছিলেন । বন্দি জীবনের কথাকে তিনি "cremories of captivity in Japan' গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন । তার এই স্মৃতিকথা থেকে তৎকালীন জাপানের সমাজ জীবনের একটি চিত্র পাওয়া যায় । তিনি জাপানের সমাজ জীবনের ৮টি শ্রেনীয় কথা বলেছেন । সেগুলি হল- ডাইমো, অভিজাত শ্রেণী, পুরোহিত শ্রেনী, সৈন্য, বনিক, মিস্ত্রি, কৃষক ও শ্রমিক, কৃতদাস ৷


এই বিবরণ ও অন্যান্য তথ্যের ওপর নির্ভর করে আধুনিক ঐতিহাসিকেরা মনে করেন টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের শাসনে জাপানের সমাজ চিনের মতো দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল । সমাজের শীর্ষে ছিল সামুরাই বা যোদ্ধা শ্রেনী, তারপর ছিল কৃষক, কারিগর ও শিল্পী এবং বনিক শ্রেনী । এই শ্রেনী বিভাজনের বাইরে ও আরও অনেক শ্রেণী ছিল যেমন পুরোহিত, অভিজাত প্রমুখ । এদের কোনো শ্রেণীর অন্তগত করা যায় না । জাপানের সমাজের ক্রীতদাস প্রথার অস্তিত্ব ছিল কিনা তা ও জানা যায় না । তবে সমাজে মাঝে মাঝে শিশু চুড়ি হত । এই অপহৃত শিশুদের ক্ষেত খামারের কাজে ব্যবহার করা হত । হইত গ্যালিনিন এই শিশুদের ক্রীতদাস বলে মনে করেছিলেন ৷


টোকুগাওয়া জাপানের সামাজিক ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে ছিলেন ডাইমো শ্রেণি । জাপানি সমাজে যোদ্ধা শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । যোদ্ধাদের শীর্ষে ছিলেন ডাইমোরা, এরা ছিলেন বৃহৎ ভূস্বামী ও নিষ্কর জমির মালিক । তবে সব ডাইমো সমান ভাবে সম্পদশালী ছিলেন না । বড়ো ডাইমোদের জমি-সম্প্রতি অনেক ছিল । এই ডাইমোরা নিজেদের এলাকায় স্বায়ত্তশাসন বেশকিছু অধিকার ভোগ করতেন, তারা স্ব- এলাকায় স্বাধীন ভাবে থাকতেন, কর আদায় করতেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেন, অপরাধের বিচার করতেন । এইসব অধিকার ভোগ করার বিনিময়ে তাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হত । তারা নিজেদের এলাকায় সৈন্য রাখতেন এবং শোগুনদের প্রভুত্বকে স্বীকার করেছিলেন । শোগুন শাসনকার্য পরিচালনার এরা বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন ৷ শোগুনকে প্রয়োজনে সৈনা দিয়ে সাহায্য, দাবি মত অর্থ ও নজরাণা প্রদান এবং রাজধানী ইয়োডোতে বাসস্থান নির্মাণ করতে হত।

টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের যুগে জাপানের সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস । অথবা,প্রাক মেইজি যুগের জাপানের সামাজিক স্তর-বিন্যাস

জাপানের সমাজে পেশাদার যোদ্ধা শ্রেণিকে বলা হত 'সামুরাই' । সামাজিক কাঠামোয় সামুরাইদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। দেশের মোট জনসংখ্যার ১/৬% এই শ্রেণির অর্ন্তগত ছিল । তরবারি ছিল এই শ্রেনীর প্রতীক । দ্বাদশ শতকে যখন মিনাদোটো ও তামরা গোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন এই শ্রেণীর উদ্ভন হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন । প্রথম দিকে এই শ্রেনী যুদ্ধ ছাড়া ও কৃষি কাজ করত । যুদ্ধের সময় তারা যুদ্ধ করত এবং যখন যুদ্ধ করত না তখন তারা কৃষিকাজ করত । কিন্তু সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বাড়ল । পরিণতিতে সামুরাই শ্রেণি কৃষিকাজ ছেড়ে যুদ্ধকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিল । তাছাড়া ডাইয়োদের জমিদারি এলাকায় শান্তি রক্ষার দায়িত্ব তাদের ওপর ছিল এর পারিশ্রমিবা হিসাবে তারা পেত অর্থ ও দ্রব্য । কেউ গ্রামীণ শাসনের সঙ্গে, কেউ আর্থিক ব্যবস্থায়, কেউ সংবাদ সরবরাহ, কেউ বা দুর্গ রক্ষা করতেন । সামুরাই- রা ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান। তাদের সংহতির নীতি মেনে চলতে হত, যা 'বুশিডো' নামে পরিচিত ‌৷



সামুরাই শ্রেণীর মধ্যে ও স্তর-বিন্যাস ছিল। স্তর অনুযায়ী তাদের কাজ বারতে হত। উচ্চ পর্যায় ভুক্ত সামুরাই শ্রেনী গ্রামীণ শাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এবং তারা গ্রামীন অর্থনৈতিক ব্যবসাকে ও নিয়ন্ত্রণ করত। কিছু কিছু সামুরাই সংবাদ আদান প্রদান, দুর্গ রক্ষা ইত্যাদি করত । এই শ্রেণী ছিল সমাজের বীরত্বের প্রতীক । জাপানি সমাজে এই শ্রেণীর মর্যাদা ছিল অনেক বেশি । টোকুগাওয়া যুগে জাপানে যে বৃত্তিকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হত তা হল সামরিক বৃত্তি । এদের কাছে সম্মান ছিল জীবনের চেয়ে ও মূল্যবান । আত্মমর্যাদাহীন ও বিড়ম্বিত জীবনের চেয়ে তারা মৃত্যুকে হাসি মুখে বড়ন করত । তবে টোকুগাওয়া শোগুন তন্ত্রের যুগে জাপানের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল । ফালে সামুরাই শ্রেণীর প্রকৃত যে কাজ অর্থাৎ যুদ্ধ করা তার তেমন প্রয়োজন হয়নি । পেশাদার যৌদ্ধা হিসাবে এই শ্রেনীর অস্তিত্ব তখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল ।



কর্মহীন সামুরাই, শ্রেণীকে বিভিন্ন শাসনতান্ত্রিক কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল । অনেক সামুরাই যুদ্ধ ছেড়ে বুদ্ধিজীবী, শিল্প মালিক ও বনিকে পরিণত হয়েছিল । অনেক- এ আবার বিদ্যাচর্চায় মন দিয়েছিল । তারা জাপানের প্রাচীন ইতিহাসকে পুনরায় সংকলিত করেন । এর ফলে জাপানে রেনেসাঁ বা নবজাগরণ এসেছিল । সামুরাই শ্রেনি দেখিয়েছিলেন সে, প্রাচীনকালে জাপানের প্রকৃত শাসক ছিল স্বয়ং সম্রাট শোগুন নয়। তাদের এই বক্তব্য সাধারণ মানুষের মনে সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধাকে বাড়িয়েছিল  এবং শোগুনের প্রতি তাদের মনে বিদ্বেষ জন্মেছিল। অর্থাৎ, শোগুন তন্ত্রের পতনে এবং মেইজি প্রতিষ্ঠার পশ্চাতে সামুরাই শ্রেনীর ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায় না ।



টোকুগাওয়া শোওনতন্ত্রের শাসনে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি ছিল কৃষক সম্প্রদায় । মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮২% ছিল কৃষক শ্রেণি । জাপান ছিল কৃষি নির্ভর দেশ । স্বাভাবিক কারণে সমাজে কৃষকদের গুরুত্ব ছিল বেশি । তাদের শ্রমের ওপর দাঁড়িয়েছিল কৃষি কাঠামো । সাধারণত জাপানে আবাদি জমির আয়তন ছিল অর্ধেক 'চো', যা আড়াই একর জমির সমান । জাপানে কৃষিযোগ্য জমি গুলি ছিল ছোট ছোট । কৃষকরা যেসব ফসল উৎপাদন করত তার মধ্যে প্রধান ছিল ধান । এছাড়া ও তারা যব, গম, তৈল বীজ, শাক-সবজি, চা উৎপাদন বারত । ধান ছিল বিনিময়ের প্রথম দিকে মাধ্যম । কৃষকদেরকে চালের মাধ্যমে সরকারকে  খাজনা দিতে হত । সপ্তাদশ শতকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে মুদ্রা প্রচলিত হলে কৃষকদেরকে চালের পরিবর্তে মুদ্রার মাধ্যমে খাজনা মেটাতে বাধ্য করা হয়েছিল । কিন্তু কৃষকদের কাছে সবসময় মুদ্রা থাবাত না । তাদের চাল বিক্রি করে মুদ্রা সংগ্রহ করতেন । পরিণামে কৃষক দের মধ্যে চালের সংকট সৃষ্টি হয়েছিল । অনেক সময় চালের জন্য দাওঙ্গা হত । কৃষকরা মহাজনের কাছ থেকে ঋন নিত  জমি বন্ধক দিয়ে । পরিণামে বহু কৃষক ভূমিহীন কৃষকে পরিণত হয়েছিল । 



বলা যায় জাপানি কৃষকের অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। কৃষক আবার দুধরনের ছিল-- ক) হাইয়াকুশো বা জমির মালিক ও খ) গোনিন বা ভূমিহীন কৃষক, এদের অবস্থা ছিল শোচনীয়। রবীন্দ্রনাথ জাপানি কৃষক সম্পর্কে বলেছেন, 'স্ফীতকায় অপমান অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষি করিতেছে পান, লক্ষ মুখ দিয়া বেদনারে করিতেছে পরিহাস স্বার্থেদ্ধত অবিচার।' অনাহারের জন্য কৃষক তাঁদের সন্তানকে হত্যা করছে এমন দৃশ্যও দেখা গেছে । বহু কৃষবা শহরে গিয়েছিল, এবং তারা মজুরের কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল ৷




জাপানের সমাজে কারিগর বা শিল্পিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । সমাজের জনসংখ্যার মাত্র ২% ছিল এই শ্রেণির অন্তগত । সমাজের নিত্য প্রয়োজনীয় ভ্রব্য উৎপাদনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । সামাজিক মর্যাদায় তাদের স্থান ছিল কৃষকদের পরে । এই শ্রেনির অন্তর্গত ছিল নানা পেশায় নিমুক্ত মিস্ত্রি, ছুতোর, তাঁতি ইত্যাদি । গ্রামে রেশম, নীল, তুলো ইত্যাদি কৃষিজ পণ্য নিয়ে শিল্প গড়ে উঠেছিল । কৃষকরা অনেক সময় কৃষিকাজ করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময় কারিগরের কাজে নিযুক্ত থাকতেন ৷ কারিগরদের মধ্যে যারা তরবারি তৈরী করতেন তাদের আলাদা মর্যাদা ছিল । তবে রাজমিস্ত্রি ও চর্মকারদের সামাজিক মর্যাদা ভাল ছিল না । কারিগর শিল্পিদের পেশা ছিল বংশানুক্রমিক । কিন্তু শিল্পি দেন অর্থনৈতিক অবসা যে ভাল ছিল তা বলা যাবে না ৷ দরিদ্রতা ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী ৷



জাপানের সমাজে একেবারে নীচে স্থান ছিল বণিকদেন । কনফুসীয় দর্শন অনুসারে বণিকদের হীন চোখে দেখা হত । জাপানি বনিকেরা কর ভারে জর্জরিত কৃষকদের চরা সুদে ঋণ দিত । স্বাভাবিক কারণেই জাপানের সমাজে বণিকদের অবসান এবং তাদের আচরণ ছিল নিন্দনীয় । জাপানের মোট জনসংখ্যার ৩% ছিল বনিক শ্রেনী  । এই বণিক শ্রেণির মধ্যে ফেরিওয়ালা থেকে শুরু বারে চালের দালাল ও ব্যাঙ্কার সবাই ছিলা ৷ পরবর্তীকালে বানিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বনিকদের সমাজিক মর্যাদা বেড়েছিল । তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল ৷



তবে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে আর্থিক নীতির পরিবর্তন বণিক শ্রেণিকে গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণিতে পরিণত করেছিল। বাণিজ্যের প্রসারে বণিকরাও কারিগরদের মত কতকগুলি গিল্ড গঠন করেন । এই গিন্ডগুলি পরিচিত ছিল 'টোকুমিদোন্যা' নামে। তাছাড়া বণিকদের উদ্যোগে বণিকসভা বা 'কাবুনাকামা' গড়ে উঠেছিল। ইয়েডো ও ওসাকা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। এসবের ফলে বণিক শ্রেণির মর্যাদা অনেকটা বৃদ্ধি পায় ৷ ক্ষুদ্র হস্তশিল্পকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গিশুগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, উৎপাদন ব্যবস্থায় উন্নতি, শিল্পজাত পণ্য বিক্রি করার যাবতীয় দায়িত্ব গিল্ডগুলি গ্রহণ করত।



টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের আমলে দেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিবস্থা বজায় থাকলেও  সামাজিক অগ্রগতি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । জাপানের সমাজব্যবসা ক্রমিক মর্যাদা অনুসারে সামন্তজমিদার (ডাইমিয়ো), সামুরাই, কৃষক, শিল্পি ও বণিক শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল । সমাজে বণিকদের কোনো মর্যাদা ছিল না । কিন্তু পরবর্তীকালে বনিকোরা মর্যাদা পেয়েছিল । এসবের পরিণতিতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে শোগুনতন্ত্রের ভীত আলগা হয়ে গিয়েছিল । 


About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟