গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো

গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো

গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো 

গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো

গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো


Table of Contents

গুপ্ত মন্দির স্থাপত্য গুলিতে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য দেখা যায় সেটি হল সর্বপ্রথম ইট পাথরের মত তাই উপাদানের ব্যবহারের প্রচলন সমসাময়িক লেখমালাতে গুপ্ত যুগের নির্মিত বহু মন্দির সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় গুপ্ত মন্দির গুলির ভগ্নাংশের বেশ কিছু পাওয়া গেছে এগুলির স্থাপত্যশৈলী ও পরিকল্পনার দিকে লক্ষ্য রেখে গুপ্ত আমলে নির্মিত মন্দিরগুলিকে কয়েকটি নির্দিষ্ট শ্রেণীতে ভাগ করা হয়



(১) প্রথম শ্রেণীর মন্দির :

          

                              গুপ্তযুগের প্রথম বা প্রাচীনতম মন্দিরগুলি স্থাপত্য শৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য হল বর্গাকৃতি মন্দির এবং মন্দিরের সামনে একটি খোলা বারান্দা হলো এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ।

 

      এই ধরনের মন্দিরের মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত মন্দিরটি হলো সাঁচিতে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে নির্মিত ১৭ নম্বর মন্দিরটি ৷ এছাড়া জব্বলপুরের এগরায় বিষ্ণুপুর এবং এরানের বিষ্ণু মন্দির।


(২) দ্বিতীয় শ্রেণীর মন্দির:


                           গুপ্ত যুগের দ্বিতীয় শ্রেণীর মন্দির গুলির স্থাপত্য শৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য হল বর্গাকৃত মন্দির ,ছাদ শিখরবিহীন, গর্ভগৃহের চারিদিকে ঢাকা প্রদক্ষিণ পদ ও সামনের মন্ডপ যা কখনো দ্বিতল যুক্ত দেখা গেছে ৷ মন্দিরের প্রবেশদ্বারের গোড়াতেই সিঁড়ি ও এই সিঁড়ি দিয়ে একেবারে মন্ডপে আসা যায় ৷ প্রদক্ষিণ পথের বাইরের দিকে দেওয়ালে মাঝখানে প্রবেশ পথ ছাড়া অন্য তিন দিকে থেকে ভেতরে আলো প্রবেশ করার জন্য ঘর গবাক্ষের (ventilator আমি নিচে এর ছবি দিয়ে দেব) প্রচলন ছিল ৷


                     এই শ্রেণীর মন্দির গুলির অন্তর্ভুক্ত ছিল জব্বলপুর এর কাছে ভীমরাওর কাছে নাচনার পার্বতীর মন্দির,আই হোলের শিব মন্দির এবং দুর্গা মন্দির গুপ্তযুগের এই মন্দিরগুলি পঞ্চম ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্মিত হয় বলে অনুমান করা হয়।



(৩) তৃতীয় শ্রেণীর মন্দির :--


                                 গুপ্তযুগের তৃতীয় শ্রেণীর  মন্দিরগুলিতে মূলত দেখা যেত নিচু শিখর বা চূড়ার আবির্ভাব একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখিত হয় ৷ কেউ কেউ মনে করেন মন্দিরের ভেতরের গর্ব গৃহে বা দেবতার স্থানটিকে চিহ্নিত করার জন্য এই শিখর স্থাপত্যের উদ্ভব ৷ তবে সাধারণভাবে মনে হয় উপাসক কর্তৃত্ব অবাক্ষ দেবতার অধিকার প্রতিষ্ঠানটিকে মহিমা মন্দির শিখরে সংযোজন করা হয়েছিল ৷ তাই প্রথমদিকে শিখর মন্দির গুলির মধ্যে দেহগর্ভের দশাবতার মন্দির ও কানপুরের ভিতরেগাও এর ইটের তৈরি মন্দির উল্লেখযোগ্য এছাড়া বুধ গয়ার মহা বৈদ্য মন্দির এই শ্রেণীভুক্ত ৷



(৪) চতুর্থ শ্রেণীর মন্দির :--


                                গুপ্ত যুগের চতুর্থ শ্রেণীর মন্দির গুলির আয়তাকার মন্দিরের পেছনে অর্ধবৃত্তাকার এবং শিক্ষনের চুরাকৃত যুক্তি ও এই ধরনের অন্যান্য স্থাপত্য কীর্তির সল্পুর শহরের কাছে  তের  নামক স্থানে  

ত্রি বিক্রম মন্দির,আইহোলের দুর্গা মন্দির বিখ্যাত ৷




(৫ )পঞ্চম শ্রেণীর মন্দির :--


                         গুপ্ত যুগে বৌদ্ধ স্তুপ এর পরিকল্পনা নির্মিত গোলাকার মন্দিরের প্রচলন ছিল রাজগীরের মনিয়ার মঠ নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত ইটের তৈরি গোলাকার মন্দির আছে ৷

গুপ্তযুগের স্থাপত্য গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয় অথবা গুপ্ত যুগের স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে কি জানো


About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟