কৃষ্ণমৃত্যুর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ
খ্রিষ্ঠীয় চতুর্দশ শতকে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে যে প্লেগজনিত ভয়াবহ মহামারীর প্রকোপ দেখা গিয়েছিল যা ইউরোপের ইতিহাসে ব্লেক ডেথ বা কৃষ্ণ মোড়ক নামে পরিচিত ৷ ব্ল্যাক ডেথ কেই চতুর্দশ শতকে অর্থনৈতিক মামলা ও সংকটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ৷ বস্তুত প্লেগ জনিত মহামারীর ভয়াবহতা ছিল ব্যাপক ৷ ইউরোপের শহরগুলির জনসংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল ৷ ১৩৪৭ থেকে ৪৮ ইংল্যান্ডের প্রায় জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ অংশ হ্রাস পেয়েছিল ৷ এই প্লেগ ইউরোপের প্রায় ¼ মানুষকে আঘাত করেছিল ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
চতুর্দশ শতকের সংকটের জন্য তৎকালীন আর্থসামাজিক অবস্থাকে উল্লেখ করা একান্ত ভাবে প্রয়োজন বলে আর এইচ হেল্টন মনে করেন ৷ তার মতে," চতুর্দশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক মন্দা প্লেগ এর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ৷" আধুনিক বিশেষজ্ঞদের মতে একাদশ শতক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রম সমৃদ্ধির তরুন ইউরোপের শহর গুলিতে জনসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির জমি ও জনসংখ্যার অনুপাতিক হারের মধ্যে একটা বড় রকমের পার্থক্য এনে দেয় ৷ যার ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হতে থাকে ৷
তবে এই ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীকে আধুনিক গবেষকরা চতুর্দশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক মন্দার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেননি ৷ অনেকের মতোই চতুর্দশ শতকের মন্দার জন্য এই সময়ের আবহাওয়ার অবনতি ঘটে ৷ তেমনি শহরগুলিও শ্রীহীন হয়ে পড়ে এই মহামারী এবং চতুর্থ শতকের সংকটজনিত কারণে ইউরোপের বড় বড় শহরগুলি সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ৷ ল্যাম্বাডি, মধ্য ইতালি,স্পেন,ফ্রান্স সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় তাই বলা হয় ব্ল্যাক ডেথ বা কৃষ্ণ মোরগ ইউরোপের আর্থ ও রাষ্ট্রনৈতিক সামাজিক নৈতিক সর্বক্ষেত্রে বিপুল আঘাত আনে ৷ ইউরোপের জনতাকে করে তোলে নৈরাজ্যের নেই রাজ্যের বাসিন্দা ৷