ভিয়েনা সম্মেলনের কার্যাবলী আলোচনা কর

ভিয়েনা সম্মেলনের কার্যাবলী আলোচনা কর

 ভিয়েনা সম্মেলনের কার্যাবলী আলোচনা কর 

ভিয়েনা সম্মেলনের কার্যাবলী আলোচনা কর

নে পোলিয়ন বোনাপার্ট ইউরোপে ব্যাপকভাবে অগ্রসর নীতি গ্রহণ করলে প্রায় সমগ্র ইউরোপে নেপোলিয়ান বিরোধী জোট গঠন শুরু হয় । ওয়াটার যুদ্ধে নেপোলিয়নের চরম বিপর্যয়ের শেষে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ জুন ভিয়েনা সম্মেলনের কাজ শুরু হয় । কারণ ইতিমধ্যে লাইপজিগের যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ন এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হলে, ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে ফ্রান্স ও মিত্র পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্যারিসের প্রথম সন্ধি অনুসারে বিজয়ী রাষ্ট্র সমূহের প্রতিনিধিবর্গ নভেম্বর মাসে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনা নগরীতে সমবেত হয় এবং আন্তর্জাতিক ভিয়েনা সম্মেলন শুরু হয় ৷ নেপোলিয়ান এলবা থেকে ফিরে একশত দিবসের শাসনের ফলে তা বাধা পায় ৷ তাই ওয়াটারলুর পরে নেপোলিয়ানকে সেন্ট হেলেনায় চরম নির্বাসন দিয়ে ভিয়েনা সম্মেলনের কাজ শুরু হয় ৷


আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

এই সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার চ্যালেঞ্জার প্রিন্স মেটারনিক অতিথি পরায়ণ গৃহকর্তার ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ৷ তিনি অতিথিদের আদর আপ্যায়নের কোন ত্রুটি রাখেন নি ৷ সংক্ষেপে পুর্বাতন ব্যবস্থা সগৌরবে পুনর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এই ধারণাটি সৃষ্টির জন্য যা যা কিছু করার প্রয়োজন মেটারনিক সবই করেছিলেন ৷ এছাড়া এই সম্মেলনের অন্যান্য নেত্রী বর্গের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ভিলেচালা নীলকোট পরিহিত অস্ট্রিয়ার সম্রাট প্রথম ফ্রান্সিস, মাও প্রহতির,ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যাসেলরি, ওয়েলিংটন,'প্রক্যাল মাদুরের ন্যায় পিচ্ছিল' ফরাসি মন্ত্রী ট্যালির্যাট /ত্যালিরা ,পার্শিয়ার প্রতিনিধি তৃতীয় ফেডারিক উইলিয়াম ৷ সম্মেলনে বৃহৎ চ্যুত শক্তি ছিল -- অস্ট্রিয়া,পার্শিয়া, রাশিয়া,ইংল্যান্ড ‌ ৷


নেপোলিয়নের সাফল্যমন্ডিত অভিযানগুলি ইউরোপের মানচিত্রে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়েছিল ৷ একদিকে ফ্রান্সের রাজা হ্রাস অপরদিকে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ যাবত ইউরোপের রাজনীতির ক্ষেত্রে এক গভীর সমস্যা সৃষ্টি করে ৷ সুতরাং ভিয়েনা সম্মেলনের এই সমস্ত সমস্যাগুলি সমাধানের প্রয়োজন অনুভূতি হয় । সেই সংস্থাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পরাজিত ফ্রান্সের সম্পর্ক উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন এবং ইউরোপের যাতে তার বিপ্লবী ভাবধারা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় তার ব্যবস্থা করা । (২) . ফরাসি বিপ্লব প্রস্তুত নানা যুদ্ধ ও নেপোলিয়নের সাম্রাজ্য গঠনের ফলে ইউরোপের রাজনৈতিক কাঠামোর যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছিল তার পুনরুদ্ধার এবং এর মধ্যে প্রধান ছিল জার্মানি ইতালি পোল্যান্ড ম্যাকসিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ৷ (৩).বিজয়ী দেশগুলির মধ্যে ক্ষমতা দিত চুক্তি গুলির যথাসম্ভব সামঞ্জস্য বিধান করে নিজেদের ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা ইউরোপের শান্তি ও সীমিত বজায় রাখা ইত্যাদি (৪).ফ্রান্সে যাতে পুনরায় শক্তি সমবায় ইউরোপের শান্তি বিভিন্ন না করতে পারে তার ব্যবস্থা করা ৷ ঐতিহাসিক রাইভার মন্তব্য করেছেন যে, "ভিয়েনা সম্মেলন কখনই কোন সম্মেলন ছিল না আসলে এটি ছিল বৃহৎ শক্তি বর্গের বিংশ শত মন্ত্রীদেরের সম্মেলন ৷"


নেপোলিয়নের ইউরোপের রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন ব্যাপারে ভিয়েনা নেত্রী বর্গ প্রধান তিনটি গণনীতির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল । (১) ন্যায্য অধিকার বা বৈধ স্বত্বাধিকার নীতি (২) শক্তিসাম্য (৩). ক্ষতিপূরণ নীতি ৷ এছাড়াও ছিল স্থিতিবস্তা অর্থাৎ বিপ্লব পূর্ব অবস্থা ফিরিয়ে আনার নীতি ৷


ন্যায্য অধিকারঃ - ভিয়েনা সম্মেলনে অনুষ্ঠিত ন্যায্য অধিকারের নীতির দ্বারা সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ নেপোলিয়ান্তার ইউরোপের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তন অস্বীকার করে ৷ প্রাগ বিপ্লবী রাজনৈতিক অবস্থা যথাসম্ভব পুনর প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন ৷ ন্যায্য অধিকার নীতি অনুযায়ী ফ্রান্স,স্পেন নেপলস ও সিসিলিতে পূর্ব রাজবংশ,হল্যান্ডের অরেঞ্জ রাজবংশ এবং পিডমন্ড ও সার্ডিনিয়ার স্যাভয় রাজবংশ পুনর প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ ইতালিতে তার রাজা ফিরে পান জেনোয়া কিংবা ভেনিসের প্রজাতন্ত্রের পুনর প্রতিষ্ঠা হয়নি । সুইজারল্যান্ডের এক শিথিল কনফিডারেশন গঠন করে তাকে চিরকালের জন্য নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয় ‌৷ বেলজিয়ামকে জোর করে হল্যান্ডের সঙ্গে এবং নরওয়েকে ডেনমার্কের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে সুইডেনের সঙ্গে যোগ করা হয় ।


শক্তি সাম্যঃ - ভিয়েনা নেতৃবৃন্দের সন্দেহ বিদ্বেষ এবং সরকারবিরোধী স্বার্থবোধ এবং ভবিষ্যতে ফ্রান্সের আক্রমণ হতে ইউরোপকে রক্ষা করার জন্য শক্তি সাম্য নীতির প্রয়োগের প্রয়োজন দেখা যায় । এই নীতির দোহাই দিয়ে ফ্রান্সের শক্তি যথাসম্ভব খর্ব করা হয় ৷ শক্তি সাম্য নীতির প্রয়োগের দ্বারা বেলজিয়ামকে হল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করে ফ্রান্সের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় । ফ্রান্সের পূর্ব সীমানা রেনিস প্রদেশ বা রাইন জেলাগুলিকে প্রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়, পিডমন্ড ও সাথিয়ানকে জেনুয়া দান করে ফ্রান্সের দক্ষিনে অপর একটি নিরাপত্তা বলায় গঠন করা হয় ৷


ক্ষতিপূরণ নীতিঃ - নেপোলিয়নীয় যুদ্ধে ইউরোপের বহু রাষ্ট্র বিশেষ করে ইংল্যান্ড,রাশিয়া অস্ট্রেলিয়া সুইডেন প্রাশিয়া বহুবিধ ক্ষতিকার করেছিলেন ৷ সুতরাং বিজয়ী শক্তিবর্গ পরিশ্রমিক হিসাবে ইউরোপের ভূখণ্ড নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল ক্ষতিপূরণ নীতি অস্ট্রিয়ার মাধ্যমে প্রাশিয়া লাভ করেন ৷ প্রায় অর্ধেক অংশ অলেন্ডার নিয়ে অংশ ডানদিক পশ্চিম দোর সারণি ওয়ারন ভূমির তীরবর্তী কয়েকটি প্রদেশ অস্ট্রিয়া লাভ করেন লাম্বার্ডি, বউনিশিয়া টাইরন সাইরবাগ প্রভৃতি লাভ করেন ৷ রাশিয়া লাভ করেন ফিনল্যান্ড বেসারবিয়া ও পোল্যান্ড এর কিছু অংশ, ইংল্যান্ড তার উপনিবেশিক স্বার্থে হোলিগোল এন্ড মালট্রা ও আহত নিয়া দ্বীপপুঞ্জ, মরিশাস হলিপোল্যান্ড প্রভৃতি অঞ্চল লাভ করেন ৷ তাছাড়া ডেনমার্কের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার সুইডেন কে প্রদান করা হয় ৷


আধুনিক ইউরোপ কূটনৈতিক ইতিহাস ভিয়েনা সম্মেলন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ ৷ এই সম্মেলনের প্রশংসা ও সমালোচনার দুইই করা হয়েছে ইউরোপকে যুদ্ধের হাত থেকে দীর্ঘদিন রক্ষা করেছিলেন বলে সম্মেলন কাজের প্রশংসা করেছিলেন ৷ আবার অনেকে বলেছেন যে সম্মেলনের প্রাক্কালে সম্মেলনের নেতারা ইউরোপের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্জীবন সমাজ ব্যবস্থার ন্যায় ও সভ্যতা ভিত্তিতে ইউরোপের পুনর্গঠন প্রভৃতি উচ্চ আদর্শের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে ফরাসি বিপ্লব প্রস্তুত নবজাতক ভাবধারা জাতীয়তাবাদ,উদারতন্ত্র ও গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে ৷ ইউরোপের পুরাতনতন্ত্র পুনর প্রতিষ্ঠা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য | ভিয়েনা সম্মেলনের সম্পাদক জেনৎদ বলেন যে,"আমার মতে উপরিয়ক্ত উচ্চ আদর্শ গুলি জনসাধারণের কে ভাওতা দেবার জন্য উচ্চারিত হয়েছিল আসলে এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিজয়ী শক্তিগুলির বিজিত শক্তির রাজ্য গ্রাস ৷"


ভিয়েনা সন্ধির প্রধান দুর্বলতা ছিল পুরাতন রাজবংশ গুলির প্রতি অন্ধ আনুগত্য ৷ দুষ্টু ঘোড়া যেমন সবারকে তার পিঠ থেকে ফেলে দেয় সেই রূপ প্রজাপুঞ্জ নেপোলিয়নের সময় এই অত্যাচারী রাজ কথাগুলোকে বরখাস্ত করেছিলেন ৷ কিন্তু ন্যায্য অধিকার প্রভৃতি ইতিহাস বা তিল হওয়ার নীতি প্রয়োগ করে সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ স্বৈরশাসন হতে মুক্তি ৷ আমি প্রজাদের ঘাড়ে এই রাজবংশগুলো স্বৈরাশাসন পুনরায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন আসলে তারা যুব ধর্মকে বিশেষত ফরাসি বিপ্লবের আদর্শকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছিল । ঐতিহাসিক কেল্ট্রি বলেছেন,"They ignaned the challange of the french revolution" আর তাদের এই কাজটিকে বলা হয়,"And grate dceeption and betragal" যদিও মন্তব্যটি খুবই তর্ক সাপেক্ষে কারণ ভিয়েনার নেতৃবৃন্দ অনেকে ব্যতীত করা অপেক্ষার নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ৷ তাছাড়া দেখা যায় দরকার উদারনীতি সভ্যতায় যুগ তথ্যের পরিণত হয়েছিল কিনা এবং জনগণ সত্যই তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল কিনা ৷


১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে উদারনীতি ছিল অবাধ গ্রস্ত প্রবণতা ৷ অধ্যাপক ফ্রেশী বলেছেন উদারনীতি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম তত্ত্ব বলা যায় ৷ ফরাসি নেত্রী বর্গ অবহেলা দখল জাতীয়তাবাদের উপেক্ষা করে বিপ্লব বস্তুত গণতন্ত্রের জাতীয়তাবাদের প্রতি ভিয়েনা সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ হল্যান্ডের সঙ্গে বেলজিয়ামকে এবং নরওয়ের সঙ্গে সুইডেন কে যুক্ত করেছিলেন ৷ তাছাড়া জার্মানিকে খন্ডিত করার ঐক্য সাধনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেন বিপ্লব পূর্ব ভেনিসে প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান ছিল তাই ভেনিস ন্যায্য অধিকার অনুসারে প্রজাতন্ত্র দাবি করলে তাকে বলা হয় প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে অচল হয়ে গিয়েছে ৷ তাই ডেবিট টার্মসন বলেছেন," The chife defect was that it underestimed the daynaysm of nationalism"


পুনর্বন্ঠনের নামে প্রতিনিধিগণ পররাজ্য গ্রাস করে নিজ স্বার্থ প্রথার পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ উপরন্ত বলা যায় যে এই চুক্তিতে যেভাবে রাজ্যকে বন্টন হয়েছিল তাও যথাযথ হয়নি ৷ তাই বলা যায় এই সময়ে রাজ্যকে বন্ঠনের মধ্যে সামান্য স্থায়ী হয়েছিলেন এবং বেশির ভাগের ছিল সামরিক তাছাড়াও এই সন্ধির আরেকটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি ছিল অস্থায়িত্ব ৷


প্রথমতঃ ভিয়েনা ব্যবস্থার বহুবিধ ত্রুটি থাকা সত্বেও এর কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ৷ স্বার্থপরতা ও সংকীর্ণতা দোষে দুষ্ট হলেও এই ব্যবস্থা প্রায় 40 বছর ইউরোপের শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল ৷

দ্বিতীয়তঃ ভিয়েনা কংগ্রেস জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিকতাবাদের সূত্রপাত করেছিল ৷ ইতিহাস সে ভিয়েনা কংগ্রেসই ছিল আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রথম সোপান ৷ পরবর্তীকালে লীগ অব নেপালস এবং U.N.O তারই পাশ্চাত অনুসরণ বলা যেতে পারে ৷

তৃতীয়তঃ শান্তিপূর্ণ বৎসর গুলোতে ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বহু উন্নতি সাধিত হয় ৷

চতুর্থতঃ যদিও ভিয়েনা সন্ধির দ্বারা নবজাতক ভাবধারাকে অপেক্ষা করা যায় ৷ তথাপি এ কথা সত্য যে এই নবজাতক ভাবধারাকে তখন গ্রহণ করলেও সমগ্র ইউরোপের বিপ্লব ও অশান্তি দেখা দিত ৷ ঐতিহাসিক সিমান বলেছেন ভিয়েনা সন্ধির কোন শর্তের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল না যা ভার্সাই সন্ধির মধ্যে ছিল ৷ ঐতিহাসিক ডেবিট টার্মসান এই চুক্তির স্বপক্ষে বলেছেন,"মোটামুটি ভাবে ভিয়েনা সন্ধি ছিল একটি যুক্তিযুক্ত রাষ্ট্রনীতি মূলক চুক্তি ৷"


ভিয়েনা শর্তাবলী প্রতিক্রিয়াশীল হওয়া সত্বেও এর অনেক গুলির মধ্যে ভবিষ্যতে সম্ভাবনার ইঙ্গিত ছিল প্রথমত এই সন্ধির দ্বারা পার্শিয়াকে জার্মানির অন্যতম শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে গণ্য করা হয় ৷ দ্বিতীয়তঃ জার্মানিতে গুপ্ত বা স্থিতিল যুক্তরাষ্ট্র স্থাপন করে ভবিষ্যতে জার্মানির ঐক্যের ইঙ্গিত দেওয়া হয় ৷


পরিশেষে একথা বলা যায় ভিয়েনা ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ টা একটু যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ তাদের পক্ষে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের অর্থ পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব ছিল না ৷ তবুও এ কথা বললে হয়তো অযুক্তি হবে না যে,"নেপোলিয়ন স্বৈরাচারকে বিলুপ্ত ঘটিয়ে ইউরোপে শান্তি ও সুস্থ স্মৃতি বজায় রাখতে ভিয়েনা ব্যবস্থার স্রষ্ঠারা তাদের সাধ্যমত বক্তব্য সম্পাদন করেছিলেন ৷"

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনা সম্মেলনের কার্যাবলী আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟