নয়া সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো? ১৮৭০ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের যুগ বলে অভিহিত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত

নয়া সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো? ১৮৭০ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের যুগ বলে অভিহিত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত

 নয়া সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো? ১৮৭০ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের যুগ বলে অভিহিত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত ৷ বা,১৮৭১ থেকে ১৯১৪-এর মধ্যবর্তী সময়কালকে সাম্রাজ্যবাদের যুগ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়।

নয়া সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো? ১৮৭০ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের যুগ বলে অভিহিত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত

সাম্রাজ্যবাদের পরিচয় ইতিহাসের বিভিন্ন ধারার বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে ৷ আক্ষরিক অর্থে সাম্রাজ্যবাদ বলতে সাম্রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা এবং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা কে বোঝায় । প্রকৃতি বিচারে সাম্রাজ্যবাদ এক দেশ বা জনগণের উপর এক অন্য দেশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা বোঝায় ৷ তবে সাম্রাজ্যবাদ বলতে আমরা যদি বুঝি বহির বিশ্বে ইউরোপীয় শক্তির প্রসার ৷ তাহলে বলা যায় তার সূত্রপাত ঘটেছিল প্রায় পাঁচশত বছর আগে ৷ যখন আধুনিক যুগের গোড়াতে ইউরোপে মানুষ অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে সাগর পাড়ি দিয়েছিল ৷ আবিষ্কার করেছিল অনাআবিষ্কৃত দেশ ৷ কিন্তু তবুও সাম্রাজ্যবাদ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এই শব্দটি উনিশ শতকের আবিষ্কার এবং ১৮৭০ এর পরের প্রজন্ম বিশেষভাবে অর্থবহ ও আখ্যাতিকর অর্থে পরিচিত হয়েছে সাম্রাজ্যবাদ এর যুগ বলে ৷

বস্তুত পূর্বে সাম্রাজ্যবাদ বলতে ভৌসিক অধিকারকে বোঝাত ৷ সুতরাং ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম ইউরোপীয় শক্তি বর্গগুলোর প্রভুত্বের সম্প্রসারণ এর মধ্যে নতুনত্ব বলে কিছু ছিল না ৷ কিন্তু আধুনিক সাম্রাজ্যবাদ যাকে "New Imperialism" বা নয়া সাম্রাজ্যবাদ বলে অভিহিত করা হয় ৷ তার মূল উদ্দেশ্য ছিল অত্যন্ত জঘন্য ৷ এখানে ভৌমিক অধিকার স্থাপনের সঙ্গে অধীনস্থ দেশের সম্পদ অর্থনীতিকে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যবহার করা হয় ৷ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উপনিবেশগুলিকে সাম্রাজ্যবাদী দেশের শাসনাধীন এ রাখা হয় ৷ এইভাবে আধুনিক যুগের সাম্রাজ্যবাদ তরুণ গরুড়ের সর্বগ্রাশি খুদার ন্যায় উপনিবেশ গুলির রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনকে গ্রাস করে ফেলতে থাকে ।

উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মনোভাব পরিলক্ষিত হয় ৷ এর পূর্বে ফ্রান্স পাচ্য ও আমেরিকায় তার সব উপনিবেশ হারায় সেই সঙ্গে স্পেন ও হারায় তার বিশাল দক্ষিণ আমেরিকার সাম্রাজ্য ৷ অবাধ বাণিজ্য ও সব বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা অবসান চেয়েছিলেন করডেন ৷ ব্লাডস্টোন এর এই ধারণা জন্মেছিল যে,"শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভেঙে পড়বে ৷" আকস্মিকভাবে এই জনমত পাল্টে যায় ৷ শকুন যেরূপ মৃতদেহের উপর আকাশ থেকে আকাশ্মৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে তেমনি ইউরোপীয় জাতিগুলি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের পর এশিয়া ও আফ্রিকার দেশ গুলিতে উপনিবেশ বিস্তারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে ৷ এই ভাবেই সাম্রাজ্যবাদ দৈত্যের ন্যায় জেগে ওঠে ‌৷

যাইহোক ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের পর সাম্রাজ্যবাদের নব রূপে ও বিকাশ কেন ঘটেছিল এ বিষয়ে তীব্র মতভেদ আছে । ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে সাম্রাজ্যবাদের বিস্ফোরণ বা উপনিবেশ বিস্তারের পাশ্চাতে আর্থসামাজিক রাজনৈতিক মানসিক ইত্যাদি বহু উপাদান সক্রিয় ছিল ৷ বিভিন্ন দেশে এই সকল উপাদান বা প্রেরণার পরিমাণগত তারতম্য ও হয়তো ছিল ৷ কিন্তু প্রায় সকল ক্ষেত্রে উপনিবেশবাদের প্রসারে এই উপাদানগুলির কমবেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল ‌৷

জে.এ. হবসন তার সাম্রাজ্যবাদ গ্রন্থে সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷ তার মতে পুঁজিবাদ ও ধনাতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পুঁজিবাদীরা মুনাফা ভোগ করে বহু মূলধন সঞ্চয় করেন ৷ এই পুঞ্জিভূত মূলধন উপনিবেশে বিনিয়োগ করে আরো মুনাফা বাড়ানোর জন্য মূলধনীরা তাদের সরকারকে উপনিবেশ দখলে বাধ্য করেন ৷ অর্থাৎ বাড়তি মূলধনের কারণই হল সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভবের অন্যতম কারণ ৷ অর্থনৈতিক প্রধান মূলধন বলতে হবসন,"উদ্ধৃত মূলধনের বিনিয়োগের প্রায়সকেই বোঝাবার চেষ্টা করেছেন ৷"

লেনিন তার "Imperialism the highest state of capitalism" নামক গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদের জঠরেই সাম্রাজ্যবাদের জন্ম ৷ তার মতে উদ্ধিত মূলধনের বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাদীরা উপনিবেশিকতা কে সমর্থন করেন ৷ লেনিন আরও বলেছেন অধিক মুনাফার আশায় শিল্প মালিকরা দেশের জনসাধারণের চাহিদা অপেক্ষা বাড়তি উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয় ও কাঁচামাল সস্তায় পাওয়ার জন্য পুঁজিবাদী রাষ্ট্র উপনিবেশ স্থাপন করেন ৷ তার মতে সাধারণভাবে ধনতন্ত্রবাদের প্রত্যক্ষ ধারাবাহিকতা হলো সাম্রাজ্যবাদ ।

হবসন ও লেনিনের মত অনেক সমালোচনা করেছি করে বলেছেন যে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের পর হতে, ইংল্যান্ড ফ্রান্স প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী দেশের মূলধনের প্রধান আঁখালোগ্নী করা যায়, আমেরিকা ও রাশিয়ার কিন্তু এই বিনিয়োগের উপনিবেশ রাজ্য করেননি অথচ এদের কোন উপনিবেশ ছিল না।

সুতরাং বলা যায় যে নয়া সাম্রাজ্যবাদের পাশ্চাত্যে যে সমস্ত অর্থনৈতিক কারণ ছিল তার সঙ্গে সেগুলোর জনস্মৃতির সঙ্গে গুরুত্বের ব্যাপার হিসাবে ঊর্ধিত সুন্দরী নতুন নির্মম পথ খুঁজে বের করার প্রেরণা ছিল ৷

সাম্রাজ্যবাদ কে ব্যাখ্যা করার জন্য যে নতুন দিগুলি আবশ্যিক হয়ে পড়েছিল তার কারণ এর নাটকীয় তুর কবিরোধিতা নতুন সাম্রাজ্যবাদের বিস্ময়কর নতুনত্ব এই যে সাম্রাজ্যবাদ তীব্রভাবে পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকাতে যা সমগ্র স্থিতিশীল অতি দ্রুত ইউরোপীয় প্রভাব সম্প্রসারিত হয় ৷

রাজনৈতিক কারণঃ - ঐতিহাসিক ডেবিট টমসনের মতে সামগ্রিক বা মৌলিক কোন অর্থই সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা চলে না ৷ নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক মুক্ত হওয়ায় ফলে যে অধিস্তার উত্তর হয় ৷ তার মাধ্যমে নয়া সাম্রাজ্যবাদের প্রকৃত ব্যাখ্যা মেলে ৷ তিনি বলেছেন উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদের যুগ ৷ ঐক্যবদ্ধ হবার পর জার্মানি ওই তালে উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে ৷ নতুন নতুন ভূখণ্ডে উপনিবেশ স্থাপন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য এই দেশগুলি উন্মুক্ত হয়েছিল ৷

ইউরোপীয় শক্তিগুলি সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনে এই যুক্তির অবতারণা করেন যে রাজনৈতিক প্রতিপত্র ভিন্ন অগ্রসর দেশগুলি তে বাণিজ্যিক লগ্নী বা অর্থ বিনিয়োগ করা মোটেই নিরাপদ নয় ৷ ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে ইংল্যান্ড ছিল 'সাম্রাঞ্জী' ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত ব্রিটিশ শিল্পপতিরা ইউরোপের অনগ্রসর দেশগুলিতে এবং কলোনি গুলিতে জল ও বাজারের সন্ধান পায় ৷ কিন্তু ইতিমধ্যে ফ্রান্স জার্মানির প্রভৃতি ইউরোপীয় দেশ দেশগুলি দেশীয় বাজারের পণ্যের অভাব মিটিয়ে ফেলে এবং বিদেশি পণ্যের চড়া হারে শুল্কো চাপায় ৷ ফলে ব্রিটিশ পণ্যের উপরে চড়া হারে শুল্কো আরোপের ফলে ব্রিটিশরা পণ্যের একক প্রাধান্য মাধ্যমে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় ৷ তাই ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ড কে আফ্রিকায় ফ্রান্সে ও জার্মানির সঙ্গে বিরোধী সম্মুখীন হতে হয় ৷

এশিয়া ও আফ্রিকার ন্যায় অনুন্নত ও অনগ্রসর মহাদেশে অর্থ বিনিয়োগের অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা ছিল ৷ কিন্তু নিরাপত্তার জন্য এই দুই মহাদেশের রাজনৈতিক প্রতিপত্তা স্থাপন করা ছিল অপরিহার্য ৷ অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের সংযোজন প্রায় প্রতিটি ইউরোপীয় দেশগুলিকে সাম্রাজ্যবাদীতে পরিণত করে ৷

সামাজিক কারণঃ - এ কথা সত্য যে সাম্রাজ্যবাদের বিস্ফোরণের পাশ্চাত্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও সামাজিক কারণ ও দায়ী ছিল ৷ প্রত্যেক দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জীবিকা সংস্থান করা সম্ভাব্য ছিল না ৷ কমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সাম্রাজ্যবাদী নীতি অবলম্বনে প্রয়োজন ছিল ৷

ধর্মপ্রচারের ভূমিকাঃ ধর্ম প্রচারকগণ সাম্রাজ্যবাদের আদর্শ প্রচারের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ৷ বিশ্বের অনুন্নত জাতিসংঘের মধ্যে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও খ্রিস্ট ধর্মের প্রসার ঘটলে জনকল্যাণ সংঘটিত হাড় এরূপ মনোভাব নিয়ে ইউরোপীয় একাধিক রাষ্ট্র উপনিবেশিক স্থাপনে আগ্রহী হয় ৷ এই প্রসঙ্গে বলা যায় ফ্রান্স বিভিন্ন দেশে বহু মিশনারিদের পাঠিয়েছিল ৷ আফ্রিকাতে বাণিজ্যিক সূত্রে মিশনারীরা গিয়েছিলেন নাকি মিশনারিদের অনুসরণ করে বাণিজ্যকে বিষয়ে মতবাদ থাকতে পারে, কিন্তু একথা ঠিক যে অতিকৃত উপনিবেশ গুলিতে ধর্ম প্রচারের বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল ৷ ধর্মপ্রচারের অজুহাতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি নিজেদের প্রাধান্য স্থাপন করতে তৎপর ছিল ৷ প্রভূত ধর্ম প্রচার ব্যবসা ও সাম্রাজ্য স্থাপনের সবই সমান তলে চলছিল । লিভিংস্টোনের ভাষায়," Christianity commerce civil lization when hand in hand"

সামরিক কারণঃ সামরিক কারণে ইউরোপে দেশ গুলিতে উপনিবেশ সাম্রাজ্যের প্রয়োজন উপলব্ধি করে ৷সামরিক ঘাঁটি অধিকার করার জন্য উপনিবেশ দেশগুলির মধ্যে তাগিদ দেখা দেয় ৷ অন্যদিকে অনুন্নত দেশগুলির পক্ষে আধুনিক ইউরোপীয় দেশগুলির আক্রমণ আফ্রিকা ও এশিয়া জাতিগুলির অধিকাংশ আত্মরক্ষার সমর্থ হয়নি ৷ ফলে এই দুই মহাদেশে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সাম্রাজ্যভুক্ত হয়ে পড়ে ৷

এইভাবেই অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক,ধর্মীয় ও অন্যান্য স্বার্থ জড়িত হয় এবং শুরু হয় সাম্রাজ্যবাদের অদম্য ইচ্ছা ৷

উপনিবেশ বিস্তারের পরিণাম ও তার ফলাফল বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৷ এর ফলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো লাভবান হলেও উপনিবেশ গুলি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৷ তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছিল ৷ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির উপনিবেশ বিস্তারের মূলে ছিল শিল্প বিপ্লব । মাতৃভূমির অর্থনীতির ওপর দৃষ্টি রেখে উপনিবেশ গুলিকে শোষণ করা হয়েছিল ৷

ইউরোপের বাইরে উপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পরস্পরিক সংঘাত দেখা যায় ৷ মিশরও সুদানকে নিয়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷ মধ্য এশিয়ার ইঙ্গ-রুশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সুদৃঢ় পাচ্যে রাশিয়ায় অগ্রগতি শেষ পর্যন্ত রুশ জাপান যুদ্ধ পরিণত হয় এবং মরক্কার ব্যাপার নিয়ে জার্মান ও ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র বিবাদের সূত্রপাত হয় ৷ ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সকে একটা বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন করেছিল জার্মানি ৷

সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের উপনিবেশ স্থাপন করে ইউরোপীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটিয়েছিল ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা আমেরিকা সাইবেরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপিত হলে সেখানকার অনেককে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হয় এবং ইউরোপীয় ভাষা ও সংস্কৃতির আচার-আচরণ গ্রহণ করে ৷ আবার চীন ভারত মিশরের উন্নত সভ্যতা কে ধ্বংস করে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ যাইহোক পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার ফলে এইসব অবতলের সামাজিক আচার-আচরণ ও রাজনৈতিক আদর্শের পরিবর্তন ঘটে ৷ বিসমার্ক উপনিবেশ স্থাপনে আগ্রহী ছিলেন না,তিনি বলতেন, "আমার একদিকে রাশিয়া অন্যদিকে ফ্রান্স আমরা আছি মাঝখানে ৷ আমার কাছে এক হয় আফ্রিকার মানচিত্র ৷ কিন্তু বিসমার্কের সাধের "Real politic" নীতি কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়ামের হাতে "Well politic" নীতিতে পরিবর্তিত হওয়ায় জার্মানি ও উপনিবেশ রাষ্ট্রের রূপান্তরিত হয় ৷

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟