বঙ্গীয় শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনা কর

 বঙ্গীয় শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনা কর

বঙ্গীয় শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনা কর

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পর দরবারি শিল্পরীতি প্রায় অবলুপ্ত হয় ৷ আকবর,জাহাঙ্গীর,শাহজাহানের সময় যে স্থাপত্যচিত্ত করা ব্যাপক বিস্তারিত লক্ষ্য করা যায় ঔরঙ্গজেবের আমলে তা পূর্ব গৌরব অনেকাংশে ম্লান হয়ে যায় । যদিও এই সুকুমারী কলার প্রতি উদাসীনতার পাশ্চাতে মুঘল অর্থনৈতিক সংকট দায়ী ছিল ৷ সাম্রাজ্যের জাত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দরবারী শিল্পীদের আরো পৃষ্ঠপোষকতা করা সম্ভব হচ্ছিল না ৷ ফলে অনেক বিখ্যাত শিল্পীরা পরবর্তীকালে বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজ্য ও শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা অর্জনের সচেষ্ট হন ৷ যার ফলস্বরূপ আঞ্চলিক শিল্পীর সঙ্গে মুঘল দরবারের শরীরের সমন্বয়ে ঘটে এবং এক এক স্বতন্ত্র শৈলীর বিকশিত হয় ৷ এমনই এক ঘটনা হলো বঙ্গীয় শিল্পীর শৈলী কলা ৷

বঙ্গীয় শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনা কর
ভারত মাতা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( ১৮৭১-১৯৫১) কৃত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্র, এবং ভারতীয় শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ



ব্রিটিশ শাসনের পুরো সময় ধরে ইউরোপীয় ঘটনা বাংলার বিকশিত হয় ৷ যেখানে প্রচলিত বঙ্গীয় কলার সাথে ইউরোপীয় কলার সংমিশ্রণ ঘটে প্রচলিত বাংলার শিল্পরীতি সঙ্গে ইংরেজ শাসক শ্রেণীর মনোভাব ও রুচির ব্যাপক প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে ৷ উপনিবেশিক বাংলার চিত্রকলা ও স্থাপত্যের যদি এই শিল্পীর একাধিক ধারা কে চিহ্নিত করা যায় ৷
 

ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায় ইংল্যান্ড ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বহু শিল্পী ভারতে আসে । সমকালীন সুত্রে প্রায় ৬০ জন শিল্পীদের উল্লেখ পাওয়া যায়। তারা প্রধানত তিনটি প্রযোজ্য রীতির কাজ শুরু করেন সেগুলি হল (১) ক্যানভাসে তেল রং গজ দন্তের উপর ক্ষুদ্র চিত্রকলা কাগজে জলরং এবং তা থেকে ইনগারপিন পদ্ধতিতে মুদ্রণ

তেল রংয়ের চিত্রশিল্পীদের বিশিষ্ট শিল্পীরা হলেন টেলিকেটাল,জন জোফানি আর ফর ডেভিজ টমাস হিকি ফ্রান্সিসকো রলেন্ডি রবার্ট হোম এবং অন্যদিকে অজিস হামপে ও স্যার চার্লস উইলি প্রমুখরা ছিলেন গর্জদন্ত্রের উপর ক্ষুদ্র চিত্রকলার বিশিষ্ট শিল্পী আবার তৃতীয় ধারা শিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন উইলিয়াম হচ্ছে


১৮ শতকের শুরুর দিকে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসানের পর মুঘল রাজ দরবারের শিল্পীরা অযোধ্যা পাটনা মুর্শিদাবাদের মতো প্রাদেশিক রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিতে শুরু করে এসব রাজ্যের শাসনকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা তাদের সনাতন ঐতিহ্য অনুযায়ী চিত্তকর্মে নিয়োজিত থাকেন তাদের এই চিত্রকর্মের ফসল গুলিতে প্রাদেশিক মুঘল শিল্পকর্ম বলা হয়ে থাকে মুর্শিদাবাদের পতন ও উপনিবেশিক  শাসকের কেন্দ্র হিসাবে কলকাতায় উত্থানের পর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা জীবন জীবিকার সন্ধানে কলকাতা এসে সমবেতন হয়। কোম্পানি বহু পক্ষ কম করে এসব শিল্পীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নকশা ও চিত্রাংকনের কাজে লাগায় প্রাদেশিক এই শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যগত শৈলীর সঙ্গে নতুন কৌশল ও পদ্ধতির সমন্বয়ে এক নতুন ধরনের শিল্পকলা ও শিল্পনীতির গড়ে তোলে যাকে কোম্পানি শিল্পকলা বলে আখ্যায়িত করা হয় এক্ষেত্রে পীরবক্স শেখ জৈনুদ্দিন ও আর আরো হাতেগোনা কয়েকজন অত্যন্ত চমৎকার পারদর্শিতিকতার পরিচয় দেন চিত্রকলার এই শৈলী স্পর্শ সেরা শিল্পী ছিলেন শেখ মোহাম্মদ আমির তার আঁকা জীবজন্তুর চিত্রকলা যে কোন ইউরোপীয় শিল্পীদের অঙ্কনের সমতুল্য ছিল।


তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বঙ্গীয় শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟