কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনের (১৯২৯) গুরুত্ব লেখো।
কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনের (১৯২৯) গুরুত্বঃ
১৯২৮ সালের কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেস ঘোষণা। করে যদি এক বছরের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার নেহরু রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতকে ডোমিনিয়ন স্টেটাসের মর্যাদা দেয়, তবে কংগ্রেস তাহা গ্রহণ করবে, নতুবা পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কংগ্রেসের পরবর্তী বার্ষিক অধিবেশনে অর্থাৎ লাহোর অধিবেশনে (১৯২৯) জাতীয় কাংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি গ্রহণ করে।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
লাহোর অধিবেশনঃ
কংগ্রেসের তরুণ নেতা পন্ডিত জওহর লাল নেহরুর সভাপতিত্বে লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি গৃহীত হয়। এর সাথে ওই অধিবেশনের সমাপ্তি দিবেসে ২১ ডিসেম্বর রাত্রি ১২টার সময় লাহোরের রাভি নদীর তীরে কংগ্রেসের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার সংকল্প গ্রহণ করা হয়।
লাহোর অধিবেশনের দুদিন পরে ১৯৩০ সালের ২জানুয়ারী কংগ্রেসের কার্যনির্বাহক সমিতির বৈঠকে সারা দেশে স্বাধীনতার আদর্শের কথা প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে এই বৈঠকে প্রতি বছর ২৬জানুয়ারী স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয় এবং ওই দিন গান্ধিজি রচিত একটি শপথনামা পাঠ করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শপথনামায় বলা হয় যে, স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার এবং যদি কোনো সরকার এই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করতে চায় এবং অত্যাচার করে, তাহলে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করার অধিকার ভারতবাসীর আছে।
লাহোর কংগ্রেসের গুরুত্বঃ
কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশন জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়-
- এই অধিবেশনেই সর্বপ্রথম জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ বা স্বাধীনতার দাবি জানায়।
- এই অধিবেশনের মাধ্যমে কংগ্রেসের মধ্যে বামপন্থীদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
- এই অধিবেশনে 'নেহরু রিপোর্ট'-কে বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়।
- এই অধিবেশনে কংগ্রেস আসন্ন গোলটেবিল বৈঠক বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- এই অধিবেশন মহাত্মা গান্ধিকে পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার দায়িত্ব অর্পন করে।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনের (১৯২৯) গুরুত্ব লেখো। অথবা, Write the importance of Lahore Session of Congress (1929). এই নোটটি পড়ার জন্য