চর্তুদশ শতকের মহামারী ও শহরের অবক্ষয় সম্পর্কে আলোচনা কর Discuss the plagues and urban decay of the fourteenth century.

চর্তুদশ শতকের মহামারী ও শহরের অবক্ষয় সম্পর্কে আলোচনা কর

চর্তুদশ শতকের মহামারী ও শহরের অবক্ষয় সম্পর্কে আলোচনা কর

'Affalication come not not alone also battletion' - চতুদশ শতকের সংকট কোনো একটি কারণে সংগঠিত হয়নি, আসলে চর্তুদশ শতকের গতিহীন বদ্ধ অবস্থার জন্য দায়ী ছিল অভ্যন্তরীন এবং বাহ্যিক একাধিক ঘটনা, শুধু এই নয় প্রকৃতিও হয়েছিল রুষ্ট, চর্তুদশ শতাব্দীতে ভূমি সংস্কারের সমস্যা, উৎপাদন বৃদ্ধির সমস্যা, আর্থিক অবস্থাকে করে তুলেছিল সঙ্কটাপন্ন, প্লেগ জনিত মহামারী তৎজনিত অবক্ষয় মানব সম্পর্কের অপর ইউরোপকে করে তোলে গতিহীন, কৃষিকার্যের বিস্তৃতির জন্য প্রান্তিক ভূমি, পশুচারণযোগ্য জমি ও জঙল ধ্বংসের মত্ততায় প্রকৃতি সে কেবল বিরূপ য়ে উঠেছিল তাই নয়, প্রকল্পেও জমির উর্বরতা হ্রাস, বানিজ্যিক সংকট ক্রুসেডের যুদ্ধ একাধিক বহিরঙ্গন ইউরোপীয় সভ্যতাকে সংকটাপন্ন করে তোলে || তgবে চর্তুদশ শতকে মহামারী শহরের অবক্ষয় ইউরোপীয় সভ্যতার বিকাশকে স্তব্ধ করে তোলে ।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

খ্রিষ্টীয় চতুদশ শতকের ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে প্লেগজনিত মহামারী দেখা দিয়েছিল, ইতিহাসে যা Black Death বা কৃষ্ণ মড়ক নামে পরিচিত ৷ ১৩৪৭ থেকে - ১৩৫০, এই মহামারী চতুদশ শতকে অর্থনৈতিক মন্দা বা সংকটের মূল কারন হিসাবে হিতবত হয়েছে ৷ এই প্লেগ মহামারীর ভয়াবহ ছিল ব্যাপক, এই মহামারী ভূষিত কারণে ইউরোপের কতকগুলি অঞ্চলের জনসংখ্যা অর্ধেকের বেশী হ্রাস পেয়েছিল ৷ ১৩৪৭ - ১৩৪৮- ইংল্যান্ডের প্রায় ৭০ লক্ষ্য জনগনের ঐ অংশ হ্রাস পেয়েছিল, ১৩৩০ খ্রীষ্টাব্দে মহামান্দায় মৃতুর হার ছিল ইংল্যান্ডের মতোই সমানুপাতিক, এই প্লেগ সময় ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৪ অংশকে আঘাত করে ৷

চতুদশ শতকে সংকটের বিষয়টি আলোচনা করতে নিয়ে R.H. Hilton তাঁর 'Aerie is of Feaudalism' গ্রন্থে বলেছেন তৎকালীন আর্থসামাজিক অবক্ষয় ছিল এই মহামারীর মূল কারণ, আধুনিক বিশেষজ্ঞরা বলেন একাদশ শতঙ্ক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রমসমৃদ্ধির দরুণ ইউরোপের শহরগুলিতে জনসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির জমি ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের মধ্যে একটা বড় ধরনের পার্থক্য এনে দেয়, ফলস্বরূপ পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হতে থাকে ৷ ঐতিহাসিক লিটন পরিবেশগত এই সমস্যাকে মহামারী এবং চতুদশ শতকের সামগ্রীক সংকটের মূল কারন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন ৷

ঐতিহাসিক হেনরি পীরেন বলেন, Black Death-এর পূর্বেই সভাবিত এক দুর্ভিক্ষ সমাজের সে নতুন ধারা জন্ম দিয়েছিল, Black Death তাকে আরও ভীন্নতর করে তুলেছিল, কৃষক সমাজের মৃত্যুর হার এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল যে ভূমিকর প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ আধুনিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই Black Death ইউরোপের অর্থনীতির পক্ষে ক্ষতিকারক হয়েছিল, নগরগুলিতে লোকসংখ্যা হ্রাসের দরুন শিল্প উৎপাদন প্রচন্ডভাবে মার খায় । এই ভাবস্থা থেকে পূর্বেকার অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া ছিল সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, অর্থাৎ এককথায় Black Death ইউরোপী আসসামাজিক ব্যবস্থার উপর এক ক্ষতিকারক ছাপ ফেলেছিল সেকথা নিঃসন্দেহে বলা যায় ৷

তবে এই Black Death প্রসঙ্গে কিছু আধুনিক গবেষক অন্য মত বক্ত করেছেন, তারা বলেন অর্থনৈতিক মান্দা নয় আসলে চতুদশ শতকে আবহাওয়ায পরিবর্তন ছিল এই মহামারীর জন্য দায়ী । কেউ কেউ আবার নতুন অধ্যাপ ধরণের কৃষি কাঠামোকে বিশেষভাবে দায়ী করেছেন, ঐতিহাসিক ব্রদেল চতুর্দশ শতকের সংকটের প্লেগ মহামারীকে একমাত্র কারন না বলে একটি কারণ হিসাবে দেখেছেন, গবেষক অ্যাবেল মনে করেন জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্যের স্বল্প জোগান এবং অভাবজানীত কারণ, প্লেগের পাদুভাবকে চতুদশ শতকের মন্দার তাৎক্ষনিক কারন বলা যায় । আরার এই মহামারীকে কিছুটা ইতিবাচক দিক থেকে ব্যাখ্যা করে বলেন প্লেগ জনিত মহামারির ফলে ইউরোপের জনসংখ্যার ⅓(২৫ মিলিয়ন) অংশের মৃত্যু ঘটে, ফালে জমির উপর চাপ কমে যায়, প্রচলিত উৎপাদন ব্যবস্থায় কৃষকদের মজুরী সংক্রান্ত দরদামের সুযোগ তৈরী হয় এবং অল্পলোকের খাদ্য জোগান দেওয়া সম্ভবন হয় ৷

চতুদশ শতকের সংকট ও মহামারীর প্রকট সামগ্রিকভাবে ইউরোপের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল, তবে ইউরোপীয় শহর এবং নগরগুলি ক্রমশ অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যায় । প্লেগ জনিত মৃত্যু শহরের মানুষকে শঙ্কিত করে তোলে, ইউরোপের ভিয়েনা, পিসা, আ নাবোর্ন, ইগেমোর্ড, প্রভৃতি শহরের মানুষ তাদের বাসস্থান ছেড়ে অন্যতে পালিয়ে যায় ৷ শহরগুলির উৎপাদন ব্যবস্থা যেমন ভেঙে পড়ে তেমনী শহরগুনি শ্রীহীন হয়ে ওঠে, এই মহামারী এবং চতুদশ শতকের সংকট জনিত কারণে ইউরোপের কাস্তিল, আরাগন, শহরগুলি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ৷ মধ্য ইটালির শহরগুলির ক্রমে দুই তৃতীয়াংশ লোক এই রোগের স্বীকার হয়, লম্বাডি, স্পেন, ফ্রান্স প্রভৃতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟