ম্যাকমোহন লাইন।
বর্তমান বিশ্বে চীন ও ভারত প্রভাবশালী শক্তি রূপে পরিচিত। ম্যাকমোহন লাইন হল ভারত ও চীনের সক্রিয় সীমানা। ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার ও তিব্বতের মধ্যে 'সিমলা রেকর্ড' নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ম্যাকমোহন লাইনের জন্ম হয়। এই চুক্তিতে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারত ও তিব্বতের মধ্যে সীমারেখা বা বর্ডার হল ম্যাকমোহন লাইন। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য, ম্যাকমোহন লাইন নামাঙ্কিত হয়েছিল ব্রিটিশ বিদেশ সচিব হেনরী ম্যাকমোহনের নাম অনুসারে। ম্যাকমোহন লাইনটি ভুটানের পশ্চিমদিক থেকে পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর ম্যাকমোহন লাইনকে ভারত-চীন সীমানা হিসাবে গণ্য করা হতে থাকে। কিন্তু চীন কখনোই ম্যাকমোহন লাইনকে স্বীকার করেনি। বরং চীনের বক্তব্য ছিল ম্যাকমোহন লাইন একটি 'অসাম্য চুক্তি'। ভারত তিলংতের কিছু অংশ এই চুক্তির মাধ্যমে অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে। তিব্বত হল চীনের অন্তর্ভুক্ত একটি অঞ্চল। ফলে ম্যাকমোহন লাইনকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় যা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়। ১৯৬২ সালে চীন মাকমোহন লাইন অতিক্রম করে ভারত আক্রমণ করে এবং ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়। আন্তজাতিক চাপে চীন শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু আজও ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল চীনের দখলে রয়েছে। ম্যাকমোহন লাইনকে কেন্দ্রে করে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ আজও অব্যাহত।