ইনভেস্টিচার দ্বন্দ্ব কি
মধ্যযুগের ইউরোপে পোপ ও সম্রাটের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল তা ইনভেস্টিচার দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত ৷ যা পোপতন্তের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ৷ এই দ্বন্দের সূত্রপাত হয় চতুর্থ হেনরির সময়কালে ৷ এই সময় পোপ ও সম্রাটের মর্যাদার ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটতে থাকে ৷ তুলনায় পোপের মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ সপ্তম গ্রেগরি পোপ হিসাবে নির্বাচিত হলে পোপত্যন্ত ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে ৷ বিচক্ষণ কূটনীতিবিদ প্রখর বাস্তববাদী হিসেবে গ্যাগরী পোপতন্তকে খ্রিস্টান জগতে সর্বোচ্চ ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পরিণত করার জন্য প্রয়াসী হন ।
Related Posts
এর ফলে মধ্যযুগে ইউরোপীয় সমাজ রাষ্ট্র এবং চার্চের পারস্পরিক সম্পর্কের তীব্র বিরোধিতা আবহ তৈরি হয় । ধর্ম গুরু পোপ রাজ শক্তির লাগান ছাড়াই আস্ফালন সমগ্র খ্রিস্টান জগতকে এই নজিরবিহীন আলোড়ন সৃষ্টি করে এ থেকে ইনভেস্ট টিচার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় ৷ এই দ্বন্দ্ব সংঘটিত হয়েছিল সম্রাট চতুর্থ হেনরি ও পোপ সপ্তম গ্রেগরির মধ্যে ৷ গ্রেগরি চেয়েছিলেন চতুর্থ হেনরির উপর নিজের কর্তৃক প্রতিষ্ঠা করতে ৷ অন্যদিকে চতুর্থ হেনরি মানতে অস্বীকার করেছিলেন এবং তিনি পোপতন্তের উপর আধিপত্য স্থাপন করতে সচেষ্ট হন ।
চার্চ তথা পোপতন্তুকে সর্বপ্রকার লৌকিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে পোপ সপ্তম গ্রেগরি সমাজে আমূল পরিবর্তন, চার্চের বিশুদ্ধিকরণ,সর্বপ্রকার প্রথা দূরবীকরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন ৷ খ্রিস্টান জগতের সকল শাসকের নিয়ন্ত্রণ করার বৈধ অধিকার ভোগ করত বলে তিনি ঘোষণা করেন ৷ এছাড়া সম্রাট কে সিংহাসন চ্যুত করার বৈধ অধিকার পোপের আছে অন্যদিকে চতুর্থ হেনরি চার্চের বিশাল ভূসম্পত্তি ভোগ করে আসছিল যা ত্যাগ করা একপ্রকার অসম্ভব ছিল কিন্তু পোপের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়া সম্রাট এর পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ এর ফলে পোপ ও সম্রাটের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে উঠেছিল যা ইনভেস্টিচার দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত ৷