টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব আলোচনা কর

টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব আলোচনা কর

 টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব ও শর্তাবলী আলোচনা কর

টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব আলোচনা কর

তিয়েনসিমের সন্ধি

সন্ধি দ্বাক্ষর: দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধে চিন হেরে যায়। ইঙ্গ-ফরাসি যৌথ বাহিনী ক্যান্টন দখল করে নেয় (২৮ ডিসেম্বর, ১৮৫৭ খ্রি.)। পরাজিত চিন ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা ও রাশিয়ার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে চারটি সন্ধি স্বাক্ষর করে। এই সন্দ্বিগুলি তিয়েনসিনের সন্ধি (Treaty of Tientsin) নামে পরিচিত।


শর্তাবলি: এই সন্ধির অন্যতম কয়েকটি শর্ত ছিল-

  1. আগের সন্ধিগুলিতে প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ বহাল থাকবে। 
  2.  পাশ্চাত্য দেশগুদি শুশ বাণিজ্যের জন্য আরও ১১টি নতুন বন্দর খুলে দেওয়া হবে। এ হতে বন্দরগুলি হল-চিনকিয়াং, চেফু, হ্যানকাও, কিউকিয়াং কিউংখাও একশ নিউচিয়াং, সোওয়াটাও, ওয়েনচাও, নানকিং, তেংচাও ও তামসূই জানায় 
  3.  ইয়ংসি থেকে হ্যানকাও পর্যন্ত নদীপথ বিদেশি বশিকরা বাণিজ্যিক শ্রীশ কাজে ব্যবহার করতে পারবে। 
  4.  বিদেশি বণিক কোম্পানিগুলি তাদের। এনি কনসাল অনুমোদিত এবং চিনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতিস্বাক্ষরিত পাসপো জারি নিয়ে চিনের ভিতরে যে-কোনো জায়গায় যেতে পারবে। বন্দর থেকে উ এব। তেত্রিশ মাইল দূরত্ব পর্যন্ত যেতে হলে কোনো অনুমতিপত্র লাগবে না। জিয়া 
  5. ক্যাথোলিক ও প্রোটেস্টান্ট মিশনারিরা চিনের ভিতরে অবায়ে ধর্মপ্রচারের অধিকার পাবে। 
  6. পণ্যসামগ্রীর আড়াই শতাংশের অধিক এতে অভ্যন্তরীণ শৃদ্ধ ধার্য করা চলবে না। 
  7. যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে মি মা ব্রিটেনকে ৪ মিলিয়ন টেইল এবং ফ্রান্সকে ২ মিলিয়ন টেইল দিতে বায় শা থাকবে।
  8. পাশ্চাত্য দেশগুলি সমমর্যাদার ভিত্তিতে পিকিং-এ দূতাবস চিল স্থাপন করবে এবং তারা সেখানে স্থায়ী দূত রাখতে পারবে।


তিয়েনসিন চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তির শর্তগুলি কার্যকর করার জন চুক্তিবদ্ধ দেশগুলির বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ পিকিং-এ উপস্থিত হন। পিকিং কনভেনশন নামে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয় চিনের রাজধানী পিকিংব ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের স্থায়ী আবাস তৈরি হবে। চিন ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে যুদ্ধ জনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ আট মিলিয়ন টেইল দেবে। তিয়েনসিন কথ বিদেশিদের অবাধ বাণিজ্য ও বসবাসের জন্য খুলে দেওয়া হবে। চিনে আাসি ভিতরে ফরাসি ক্যাথোলিক মিশনারিরা ভূ-সম্পত্তি কেনার এবং গৃহ তৈরির অধিকার লাভ করবে। কুলি ব্যাবসা আইনসিদ্ধ হবে । ব্রিটল লবাসা চিনের মূল ভূখণ্ডের কাওলিন উপদ্বীপটির অধিকার পাবে । ১৭২০ লদি খ্রিস্টাব্দ থেকে যাবতীয় বাজেয়াপ্ত ক্যাথোলিক সম্পত্তি চিনা সভা রোমান ক্যাথোলিক চার্চকে ফিরিয়ে দেবেন ।টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব আলোচনা কর

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ টিয়েন্টসিনের সন্ধির গুরুত্ব আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟