বঙ্গোপসাগরেকের চোল সমুদ্রম বলা হয় কেন? বা, বঙ্গোপসাগরের উপর চোলদের কর্তৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর। তুমি কীভাবে চোলদের সামুদ্রিক বিস্তারকে ব্যাখ্যা করবে?
বঙ্গোপসাগরেকের চোল সমুদ্রম কেন বলা হয় তার কারণ :-
প্রাচীন ও আদি মধ্যযুগের ভারতঅর্থে দক্ষিণ ভারতের চোলদের উাল্থান রাজগৈতিক গুরূত্বছাড়াও নৌঅভিযান একটি স্বতন্ত্র দাবি রাখে। আদি মধ্যযুগের ভারতে সামুদ্রিক অভিযান কিছুটা অদ্ভুত- পূর্ব ঘটনা, স্বাাতই চোলদের নৌঅভিযান বিশিষ্টতার দাবি রাখে, 985-1120 খ্রিঃ পর্যন্ত ঢোলরা কার্যত বঙ্গোপসাগরকে একটি চোল হ্রদে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ৷
চোলাদের সামুদ্রিক অভিযানের সূচনা করেন প্রথম রাজরাজ। রাজরাজ যে নৌ অভিযানের সূচনা পারেন তার পুত্র রাজেন্দ্র চোলের আমলে তা আরও ব্যাপকতা লাভ করে। রাজেন্দ্র চোলের রাজত্বের দ্বাদশ বর্ষে একটি লেখতে দেখা যায় ৷ যে তিনি ভারতের পূর্ব উপকূলের উত্তর দিকে এক অভিযান পাঠান। পরবর্তী চোল রাজা রাজাধিরাজ, দ্বিতীয় রাজেন্দ্রবীর রাজেন অধিরাজেন্দ্র প্রমুখ। এদের রাজত্বকালে চোল নৌবহনী ব্যবহার হয়ে ছিল মূল ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, মার্কিন ঐতিহাসিক বার্টনস্টাইন, জর্জ স্পেনসার প্রমুখ চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপকে রাজ নৈতিক কর্মসূচী না বলে অর্থনৈতিক লালআজাত পরিকল্পনা বলে মনে করেন। এদের মতে চোল রাজাদের সামুদ্রিক অভি- যানের লক্ষই ছিল অর্থ সংগ্রহ করা।
অন্যদিকে অধ্যাপক D.N.Jha, বজ্রদুলাল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ দেখিয়েছেন যে স্বায়ও শাসন ব্যবস্থা থাকলে ও গ্রামস্তর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের প্রশাসনিক প্রভাব কাযকর ছিল ৷ অধ্যাপক রণবীর চক্রবর্তী দেখিয়েছেন যে দশম শতক থেকে চোলরা নিয়মিতভাবে ভিয়েতনাম,চিন ও আরব দেশের সাথে বাণিকি সম্পক বজায় রেমেছিল। এই বানিজ্যের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌবানিজ। নীলকন্ঠ শাস্ত্রী মন্তব্য করেছেন যে , রাজেন্দুর গঙ্গা অভিযন জারতের পূর্ব- উপকূল বরাবর চালিত হয়েছিল ৷ কারণ ওই উপকূলের সমৃদ্ধ বন্দর ও তার বানিজ্যের ওপরবা কৃতিত্ব করাই ছিল তর লক্ষ ৷ সধারনভাবে একথাবলা যায় চোলদের সামুদ্রিক অভিযানগুলির বিরুদ্ধে সামুদ্রিক লুণ্ঠন প্রবৃত্তি সংঘাত ছিল না। সুদঃসারী অথনৈতিক সাথ চরিতার্থতার লক্ষ্যে একাধিক চোলনিপতি এই অভিযান কর্মসূচী গ্রহণে তৎপর ছিলেন।