মেইজি সরকার গৃহীত সামরিক সংস্কার-এর ওপর একটি টাকা লেখো। অথবা, মেইজি যুগের গৃহীত সামরিক সংস্কার গুলি লেখ

মেইজি সরকার গৃহীত সামরিক সংস্কার
১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের জাপানে মেইজি শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে শাসকগণ দেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন । নতুন মেইজি সরকারের আধুনিকরণের প্রয়াসে প্রথম পদক্ষেপ ছিল সামরিক সংস্কার ৷ এই সামরিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের সামরিক শক্তিকে সুদৃঢ় করা ৷ মেইজি সরকার জাপানি মধ্যযুগীয় সামন্ত প্রথার অবসান তৎপর হন অথচ ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আদেশ জারি করে সামন্ত প্রথার অবসর ঘটান । ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে সরকার ও ডায়মিয়দের স্বাক্ষরিত উদার আর্থিক চুক্তি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সুস্থিতির ফলে সহজে সামন্ততন্ত্রের উচ্ছেদ সম্ভব হয়েছিল ৷ ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে শোগুন তন্ত্রের উগ্র সমর্থকদের দমন করার মতো যথেষ্ট সামরিক শক্তি নতুন সরকারের ছিল ৷ অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন এবং বিদেশে শক্তির রাজনৈতিক অর্থনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার তাগিদে জাপানের দ্রুত সামরিক শক্তির বিকাশ ঘটে ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
শোগুনতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তাগিদের সফল হওয়ার সময় নতুন সরকারের সামরিক শক্তি বলতে শুধু স্বেচ্ছাসেবী, কিছু সংগঠনের উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল ৷ তাই সামন্ত বাহীনি বিশেষ করে পশ্চিমে সতসুমা ও চতুগোষ্ঠীর সামরিক সাহায্যের ওপর মেইজি সরকার নির্ভরশীল ছিল ৷ এছাড়াও অমুরাও মাসুজিরো নামক চৌসু গোষ্ঠীর এক সামুরাই এবং ওলন্দাজ চিকিৎসা বিজ্ঞান ও সামরিক কৌশলের ছাত্র, নতুন মেইজি সরকারের সামরিক বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ৷ তিনি অস্ত্রালয় এবং সামরিক একাডেমী গড়ে তোলেন ৷ কিন্তু তিনি বাধ্যতামূলক সৈন্য তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ফরাসি আদলের কেন্দ্রীয় সৈন্যবাহিনী গড়ে তুলতে চাইলে রক্ষণশীল গোষ্ঠীর দ্বারা বাদাপত্তা হয় ৷ ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে একজন রক্ষণশীল চৌসু সমুরাইয়ের হাতে নিহত হন । তার মৃত্যুর পরবর্তীকালে নেতৃত্বে দিকে আসেন ইয়ামাগাতা আরিটোমো ৷
.
১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের প্রথমে ফরাসি সামরিক জাপানি রাজবাহিনীকে গড়ে তোলা হয় । ওই বাহিনীর সাতসমু এবং চৌসার ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে সংগঠন হয় ৷ ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দিকে সামরিক বাহিনীতে শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির জন্য সরাসরি নির্দেশ জারি করা হয় ৷ সার্বভৌম বাহিনীর নাম পাল্টে সার্বভৌম রাজলক্ষ্মী বাহিনী রাখা হয় এবং ইয়ামাগাতা এর সর্ব অধিনায়ক নিযুক্ত হন । ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে সামরিক বিভাগের পুনরায় সংস্কার করে সামরিক বিষয়ক মন্ত্রকে ও নৌমন্ত্রকে বিভক্ত করা হয় এবং ১৮৭১ এর সামন্ততন্ত্রের অবসান ঘটলে সামন্ত প্রভুদের নৌজাহাজ ও বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ স্থলসেনা সংগঠনে ফরাসি পদ্ধতি অবলম্বন করা হলেও মেইজি নৌবাহিনীর প্রথম থেকে ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর আদলে দিয়ে গড়ে তোলা হয় ৷ ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে এনোমোটোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পরে নতুন সার্বভৌম নৌবাহিনী ভাইস এডমিডাল নিযুক্ত হন ৷
মেইজি সরকারের সামরিক সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি পাস করা সকল শ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলক সৈন্য তালিকাভুক্তি আইন । এই আইন অতি সযত্ন সহকারে প্রস্তুত করেছিলেন ৷ ইয়ামানাতা এই আইনে বলা হয় যেকোনো সামাজিক প্রেক্ষাপটে সকল শ্রেণীর মানুষ বাধ্যতামূলক ৷ তিন বছরের সক্রিয় সামরিক পরিষেবা দান করবে এবং পরে আরো চার বছর পরিষেবা সংরক্ষিত করা হবে ৷ যদিও এক দশক আগে প্রায় এই ধরনের সংস্কারের আভাস সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা চৌসুর মিশ্র শ্রেণীর সংগঠনের মধ্যে পাওয়া গেলেও সার্বজনীন বাধ্যতামূলক সেনা গঠন এই প্রথম ৷ এমডন্ড এই ভাবেই সেনা সংগঠনের পদক্ষেপ কে আধুনিক গঠনের পক্ষে এক বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ আখ্যা দেন ৷"
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ মেইজি সরকার গৃহীত সামরিক সংস্কার-এর ওপর একটি টীকা লেখো। অথবা, মেইজি যুগের গৃহীত সামরিক সংস্কার গুলি লেখ এই নোটটি পড়ার জন্য