বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে স্যার আইজ্যাক নিউটন অবদান সম্পর্কে আলোচনা কর
বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের আবির্ভাব ঘটেছিল সপ্তদশ শতাব্দীতে ৷ অধ্যাপক টি.এল.মুর নিউটনের জীবনচরিত লিখতে গিয়ে মন্তব্য করেছেন যে,"পৃথিবীর সকল বৈজ্ঞানিক প্রতিভার জন্ম হয়েছিল তাদের মধ্যে প্রথম স্থান অবশ্যই নিউটনের প্রাপ্য ৷" গনিত, পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা ছিল মৌলিক এবং সুদূর প্রসারী ৷ এই ইংরেজ পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞ সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বিজ্ঞানের বহু অজানা তথ্যের উদ্ভব ঘটিয়ে সুনামধন্য হয়ে ওঠেন । তার বিখ্যাত গ্রন্থ "Mathemetical principal of nature philosophy"(১৮৬৭) আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনবদ্য অবদান হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আছেন ৷ গণিতের ক্ষেত্রে ক্যালকুলাসের বিকাশ ঘটানো তার এক অবিস্মরণীয় কৃতিত্ব, এছাড়াও বীজগণিতের দ্বিরাশি তথ্য ও জ্যামিতির উপপাদ্যের আবিষ্কর্তা হিসাবে তাকে চিহ্নিত করা হয় ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
১৬৬১ সালে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে তিনি কেমব্রিজে যান ৷ বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের স্পূরণ তখন অনেকটাই ঘটে গেছে ৷ নিউটন এতে নতুন সংযোজন ঘটিয়েছিল ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও ও কেপলার প্রমুখ ও বিজ্ঞানী ইতিপূর্বেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সংক্রান্ত পুরানো ধ্যান ধারণার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন ৷ কিন্তু মনে রাখা দরকার যে পুরানো বদ্ধমূল ধারণাকে নাৎসাত করলেও তারা এর পরিবর্তে নতুন কোন পথের সন্ধান দিয়ে যেতে পারেননি, নিউটন এই শূন্যস্থান কেবল পূরণই করেনি তার সুপরিকল্পিত গবেষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে স্তম্বিত করেছিল ৷
নিউটনের বিখ্যাত আবিষ্কার হল মধ্যাকর্ষণ তত্ব ৷ স্বর্গ মর্তের মধ্যে প্রবেশের কথা অ্যারিস্টোটল ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু নিউটন আকাশের উপর ও নিচের মধ্যে কোন স্তরবিন্যাস না করে জগত সর্বোচ্চ যে এক তা তিনি প্রমাণ করেছিলেন ৷ তিনি দেখিয়েছিলেন যে ,"বিশেষ ক্রিয়া গাছ থেকে আপেলকে মাটিতে টেনে আনে সেই একই কি আর প্রভাব পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে ৷" তিনি আলো ও রঙের প্রকৃতি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হন ৷ কেপলারের গন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর আলোক সংক্রান্ত গবেষণা বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে ছিল ৷ নিউটন এতে নতুন গতি সঞ্চারের মাধ্যমে সাদা আলোর বিশ্লেষণ করে দেখায় যে," সাদা আলো হলো সাতটি বর্ণের মিশ্রণ ৷"