উগ্র জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে কী জান।
প্রকৃত জাতীয়তাবাদের মুলনীতি হল 'নিজে বাঁচো, অপরকে বাঁচতে দাও'। জাতীয়তাবাদ কখনও অন্য জাতি যা দেশকে ঘৃণা করতে শেখায় না, বরং বিভিন্ন জাতি ও দেশের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও সহমর্মিতা প্রসারের কথা বলে।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
উগ্র জাতীয়তাবাদ
বিংশ শতকে কোনো কোনো রাষ্ট্রে জাতীয়তাবাদ উগ্র বিকৃত রূপ ধারণ করেছে। যে জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতি সহযোগিতার সম্পর্ক ধ্বংস করে জাতিবিদ্বেষের মতাদর্শ প্রচার করে এবং সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ প্রভৃতি শোষণমূলক ধারণাকে সমর্থন করে তাকে উগ্র জাতীয়তাবার বলে।
উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল, উগ্র জাতীয়তাবাদ- [1] নিজের জাতি, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে এবং অন্যান্য জাতিকে নিকৃষ্ট-বলে মনে করে। [2] নিকৃষ্ট জাতিগুলির উপর শ্রেষ্ঠ জাতির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বল প্রয়োগ করে। (3) সাজাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ প্রভৃতি প্রগতি-বিরোধী নীতিকে সমর্থন করে।
![]() |
রুডইয়ার্ড কিপলিং |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জার্মান চ্যান্সেলন হিটলার জার্মানদের খাঁটি আর্য জাতির বংশধর বলে ঘোষণা করে এবং অন্যান্য সব অনার্য আতিগুলির ওপর তাদের কর্তৃত্ব করার অধিকার আছে বলে প্রচার করেন । অষ্টাদশ শতকে ইংরেজরা যুক্তি দেয় যে, তারা সুসভ্য জাতি, সুতরাং তাদের কর্তব্য হল অসভ্য ও বর্বর ভারতীয়দের ওপর শাসন চালিয়ে ভারতীয়দের সুসভ্য করে তোলা । ইংরেজ কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং ছিলেন উগ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক । তিনি তাঁর 'শ্বেতাঙ্গদের বোঝা" (white men's burden') কবিতায় বলেন যে, বিশ্বের অনুন্নত কৃষ্নাঙ্গ জাতিগুলির উন্নতি ঘটানোর দায় রয়েছে শ্বেতাঙ্গ দের ওপর ৷