১৯৯০ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা কর

১৯৯০ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার

১৯৯০ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার

১৯৯০ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার

ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি বিশ্ব রাজনীতি তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তী হয়েছিল সেটি হল দ্বিমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার অবস্থান ৷ আর এই অপসানের ফলে একমেরু বিশ্বের ধারণার উদ্ভব ঘটে এবং এই নতুন কাঠামোর একমাত্র সুপার পাওয়ার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃথিবীব্যাপী তার একাধিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আগ্রাসী হয়ে ওঠে ৷ ইতিপূর্বেই দেখেছি কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এই পরস্পর বিরোধী মহাশক্তি এশিয়া ইউরোপ ও আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার সহ দেশগুলিকে নিজেদের অধীনে আনতে দ্বিপাক্ষিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ আর এর পরিণাম স্বরূপ দ্বিমেরুবিশ্বের উদ্ভব ঘটেছিল ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রাধীন প্রাচ্যে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে ওয়ারশ চুক্তি গড়ে উঠেছিল ৷ বলা যায় এই দ্বিমেরুবিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্বকে একদিকে যেমন উত্তপ্ত করেছিল ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষমতা ও ভারসাম্য বজায় রেখেছিল ৷ তবে সৌভিক ইউনিয়নের পতন প্রচলিত ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন ঘটায় ৷ ন্যাটো টিকে থাকলেও অবলুপ্ত হয় সমাজতান্ত্রিক শিবিরের ওয়ারশ চুক্তি জোট ৷ দ্বিমেরুকতার স্থান দখল করে নেয় একমেরুকথা মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন নয়া বিশ্ব বিন্যাস ৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে পুঁজিবাদ ও সামন্তান্ত্রিক দুটি জোটে বিভক্ত বিশ্ব পরিস্থিতিকে  দ্বিমেরুকরণ বলেছিলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞান আর্লন্ট টয়েনবি ,তেমনি সোভিয়েত পরবর্তী একমেরু বিশ্বের ধারণা উদ্বুদ্ধ ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির জর্জ বুশ ১৯৯০ এর দশকে ভাঙ্গনের দিকে এগোলে সোভিয়েত ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট আমেরিকান এই রাষ্ট্রের প্রধান প্রার্থনা করেছিলেন যে এটির এই অচিরেই দ্বিমেরুকরণ বিশ্ব বিন্যাসের স্থান দখল করে নেবে একমেরু বিশ্ব ৷" ১৯১২ সাল নাগাদ সোভিয়েত রাষ্ট্রের চূড়ান্ত বিলুপ্তের পর একমাত্র পরশক্তি হিসাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে বিশ্ব রাজনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল ।

এই সময় থেকে আজ অব্দি বিশ্ব রাজনীতিতে একমাত্র সুপার পাওয়ার হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ করে গেছে ৷ আন্তর্জাতিক রাজনীতি সংক্রান্ত যেকোনো পদক্ষেপ একটা সত্যই হোক না কেন আমেরিকা কে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি ৷ বলা বাহুল্য আমেরিকা আজ বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম প্রবাহ শক্তি । ১৯৯০ থেকে ৯১ খ্রিস্টাব্দের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের পরিপেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই শব্দটি ব্যবহার করে উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাকের বিরুদ্ধে বিশাল জয়লাভ করার পর তারা আরো জানান যে এই নতুন আস্থা জাগায় ৷ যে এই নতুন ব্যবস্থা পুরো সহযোগিতা নির্ভর ও যৌথ নিরাপত্তার ভিত্তিক একমেরু কেন্দ্র বিশ্বে মার্কিন অস্ত্র সন্ত্রাস নতুনত্ব অস্ত্রের কারখানা গুলি ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের সত্তার করে পড়লেও দ্রুত তা কাটিয়ে উঠলো ৷ অস্ত্র- শিবিরের সংবাদ সেনাগত করার পদ্ধতি যুদ্ধ বিবৃতি যুদ্ধ ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো সবমিলিয়ে বলা হয় সোভিয়েত পরবর্তীকালে পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও আধিপত্য পতিরক্ষা বহু অংশ সফল হন ৷

বিংশ শতক শেষ হওয়ার আগে এবং নতুন আমেরিকা আত্মপ্রকাশ করেছিল এই সময় থেকে আজ অব্দি পরিস্থিতি সবাই একই রকম আছে । সমালোচকদের কাছে মার্কিন প্রচলিত নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা আসলেই ছিল নয়া বিশ্ব নির্ভরতার সূচনা এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র নতুন দেশ ধনী দেশগুলির সন্ধান উপস্থাপন ছিল ৷ আর দরিদ্র দেশগুলির উপস্থিতির পেছনে আমেরিকা একাজে ১০০ ভাগ সাফল্য পেতে বিশ্ব ব্যাংক আন্তর্জাতিক অর্থ মোচন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রভৃতি অর্থনৈতিক ধারণা ও ব্যবস্থাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পাওয়া সম্ভব ছিল বিশ্বযুদ্ধে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ৷ মিত্র রাষ্ট্র ও শত্রু রাষ্ট্রের তালিকা কে সংযুক্ত করে বসে আছে ৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে একটির পর একটি শত্রু রাষ্ট্রকে বিধ্বংস করতে মার্কিন প্রশাসকগণ তার ক্ষমতার প্রচলন আগ্রাসনের করে আসছে ৷ বলা যায় উপসাগরীয় যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের ইরাক কে দুমড়ে মুছরে দেবার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও এক প্রভুত্ব রাষ্ট্র চলেছে নানা ক্ষেত্রের যুগশ্লাভাবিয়া, রোমানিয়া, চিলি, লাউস, সুদান, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভিয়েতনাম প্রভৃত দেশের ওপর তার একমাত্র লক্ষ্য বিশ্বযুদ্ধের বিপর্যয় অনুশীলনের অঞ্চলে মার্কিন অনুরাগী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা ৷ যেখানে মার্কিন বিরোধিতা নামমাত্র থাকবে না ৷

মার্কিন প্রভুত্ববাদের প্রতিফলন পাওয়া যাওয়া ১৭৯৭ সালে ক্লিনটন কতৃক গৃহীত project for new amarican country" নামে সরকারি নথিতে যেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে আমেরিকা বিশ্বকে শাসন করবে এবং সমাজে কেউ থাকবে না ৷ আর মার্কিন জনগণের সার্থেই এত নতুন রণনীতি প্রস্তুত হয়েছে ৷ আর একটি নতুন বিষয় নতুন করে হলে যে এই নয়া জামনর এক অদ্বিতীয় মহা শক্তিধর রাষ্ট্রটি হল আমেরিক এবং তারা যেন কেউ চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস না দেখায় ৷ ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান করে থর হয়ে গেছে তাও আমেরিকায় nato  জোটকে আজও ব্যবহার করে চলেছে নিজের অশুভ উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য ৷ নানারকম অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক সার্বভৌম দেশ এর উপর হামলা চালিয়ে এসেছে আরও এই নির্জনতার প্রকাশ্য লক্ষ্য করা যায় সাম্প্রদায়িক অতীতে আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণের মধ্য দিয়ে ৷ প্রায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশ মার্কিন হুমকির ভয়ে কম্পমান আর ৷ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য মার্কিন সহযোগী ব্রিটেন জার্মানি জাপান অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী ও পুঁজিবাদী দেশগুলির ভূমিকা কোন অংশ কম নয় ৷

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি মার্কিন আধিপত্য রোধের উদ্ধার অনেক আগেই ঘটেছিল বিংশ শতাব্দীর ৭ এর দশকে আমরা দেখেছি কিভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যদিও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ তারপরও ১৯৭০ থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত একের পর একটা দুর্বল অনুন্নত দেশের উপর আঘাত এনে চলেছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে এই লক্ষ্য ছিল মার্কিন প্রতিপক্ষের বিস্তার ঘটানো ৷ ওই সমস্ত দেশগুলির মধ্যে মধ্যে ছিল ওমান, লাউস, চিলি ইরান, লিবিয়া ,পানামা, ইরাক, যুগশ্লাভিয়া, সুদান প্রভৃতি

উপরিউক্ত দেশগুলির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে আমেরিকা কোন কোন ক্ষেত্রে তার ন্যাটো জোটকে ব্যবহার করেছিল ৷ নতুন শতাব্দিতে দিতে মার্কিন প্রভুত্ববাদের চেহারা আরও বেশি আক্রমণাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে উর্ধ্বে বিগত শতাব্দীতে তার যুদ্ধকে সংকোচ ও ছিল তার মাত্র এ ধর অবশিষ্ট নেই ৷

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟