মোগল যুগের বিভিন্ন ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত সংক্ষেপে লেখো।
আকবরের দেওয়ান টোডরমল ভূমিরাজস্ব সংগ্রহের জন্য একটি নতুন বন্দোবস্ত চালু করেন। তিনি জমিকে তিনভাগে ভাগ করেন, যথা-জাবতি বা দহশালা, গল্লাবকস এবং নাস্ক প্রথা।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
জাবতি প্রথা অনুসারে জমির উৎপাদিত শক্তির ভিত্তিতে চারভাগে ভাগ করা হত, যথা-পোলাজ, পরৌতি, চাচর ও বানজার। এই প্রথায় জমি জরিপ করা হত না। কেবল উৎপন্ন ফসলের এক-তৃতীয়াংশ সরকারকে দিতে হত।
নাস্ক প্রথা অনুসারে একটি অনুমান করে রাজস্ব নির্ধারিত হত। মোগল যুগে কৃষি জমির আরও ৩টি ভাগ ছিল, যথা-খালসা জমি (সরকারি জমি), জায়গির জমি (মনসবদারকে প্রদত্ত জমি) এবং দাতব্য জমি (ইনামস্বরূপ প্রদত্ত জমি)।
যদিও সম্রাট আকবরের পরবর্তী সময়ে কৃষকদের ওপর শোষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। শাহজাহান ও ঔরঙ্গজেবের আমলে ভূমিরাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। মানুচি, বার্নিয়ে প্রমুখ পর্যটকদের বিবরণে কৃষক নির্যাতনের চিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।
