হর্ষবর্ধন কীভাবে রাজ্যশাসন করতেন? অথবা, তার শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে কী জান?
হর্ষবর্ধন শুধুমাত্র একজন রাজ্যবিজেতাই ছিলেন না। তিনি ছিলেন সুশাসক। প্রজাকল্যাণ করাই ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
শাসনকার্যের সুবিধার জন্য তিনি তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেন। প্রদেশগুলি কয়েকটি জেলায় বিভক্ত ছিল। জেলাগুলি আবার গ্রামে বিভক্ত ছিল।
শাসনকার্যে সাহায্য করার জন্য তিনি একটি মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁর পরামর্শদাতা। এ ছাড়া মহাসামন্ত, উপরিক, কুমারমাত্য ও অন্যান্য রাজকর্মচারী নিয়োগ করেন। প্রদেশের প্রধান ছিলেন লোকপাল। জেলার প্রধান ছিলেন বিচারপতি এবং গ্রামের দায়িত্বে থাকতেন গ্রামিক।
রাজস্ব হিসেবে ভাগ (ভূমিরাজস্ব), বাণিজ্য শুল্ক (হিরণ্য) ও বলি এই তিন প্রকার কর প্রজাদের কাছ থেকে আদায় করা হত। প্রজাদের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি হর্ষবর্ধনের সজাগ নজর ছিল। তিনি ছদ্মবেশে সাম্রাজ্য পরিদর্শন করতেন। রাজ্যে চোর-ডাকাতের উপদ্রব ছিল না। প্রজারা করভারে কষ্ট পেত না। গুরুতর অপরাধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হত।
