সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজ্যবিস্তার সম্পর্কে কী জান?
রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধনের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে 'শিলাদিত্য' উপাধি নিয়ে হর্ষবর্ধন থানেশ্বরের রাজা হন। তিনি বাহুবলে উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাঁর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
কনৌজের বিরুদ্ধে অভিযান: ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসে প্রথমেই হর্ষবর্ধন শশাঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তবে এই যুদ্ধের ফল জানা যায় না। এরপর তিনি সাম্রাজ্য-বিস্তারের জন্য দুর্বল রাজ্যগুলি আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। যেমন-মগধ, উত্তরবঙ্গ, কঙ্গোদ জয় করেন। পশ্চিম ভারতে বলভিরাজ ধ্রুবসেনকে পরাজিত করেন এবং তাঁর সুন্দরী কন্যাকে বিবাহ করেন।
হর্ষচরিত অনুযায়ী তিনি কাশ্মীর জয় করেছিলেন। চালুক্য রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান: তিনি চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর বিরুদ্ধেও অস্ত্র ধারণ করেন। কিন্তু এই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন। ফলে দক্ষিণে তাঁর রাজ্যসীমা গোদাবরী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাজ্যবিস্তার শেষ করে হর্ষবর্ধন 'সকলোত্তর-পথনাথ' উপাধি গ্রহণ করেন। জানা যায় তিনি 'পঞ্চভারতের' অধীশ্বর হয়েছিলেন। এই পঞ্চভারত বলতে বোঝায়-পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা ও ওড়িশার কঙ্গোদ অঞ্চল।
