সুয়ান জাং-এর বিবরণী থেকে ভারতবর্ষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কী জানা যায়?
সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে চিনা পর্যটক সুয়ান জাং ভারতবর্ষে আসেন। তিনি ভারতবর্ষে ১৪ বছর অতিবাহিত করেন। দেশে ফিরে সি-ইউ-কি নামক একটি গ্রন্থ লেখেন। ওই গ্রন্থ থেকে ভারতবর্ষ সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানা যায়।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
সুয়ান জাং-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, তখন ভারতবর্ষে জাতিভেদপ্রথা ছিল না। তবে সমাজে শূদ্রদের অবস্থা ও ভালো ছিল না। তারা নগরের বাইরে বসবাস করত। নারীজাতি ছিল অবহেলিত। সমাজে সতীদাহপ্রথার চল ছিল। মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের অধিকার ছিল না। বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ ছিল। এসময় ভারতীয়রা ছিল সৎ, নম্র, ধর্মপ্রাণ ও অতিথিপরায়ণ।
এ যুগে মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষি। তবে বাণিজ্যেও উন্নত ছিল। প্রয়াগ, বারাণসী, থানেশ্বর, তাম্রলিপ্ত ছিল তখনকার অন্যতম নগর ও বাণিজ্যকেন্দ্র। হর্ষবর্ধনের রাজত্বে যে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল তার প্রমাণ-প্রথমত, তিনি প্রজাদের কাছ থেকে মাত্র অংশ ভাগ ভূমিরাজস্ব নিতেন। দ্বিতীয়ত,এ ছাড়া তিনি রাজস্বের অংশ খরচ করতেন শিক্ষাখাতে। গুপ্তদের পতনের পর গোটা আর্যাবর্তে হর্ষবর্ধন তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে উত্তর ভারতে রাজনৈতিক ঐকা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই অবস্থা বজায় ছিল সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ।
