বিদেশনীতি বা পররাষ্ট্র নীতির সংজ্ঞা । ভারতে পররাষ্ট্রনীতি যা প্রধান নির্ধারক সমূহ। Foreign policy

 বিদেশনীতি বা পররাষ্ট্র নীতির সংজ্ঞা । ভারতে পররাষ্ট্রনীতি যা প্রধান নির্ধারক সমূহ।


উত্তর:- আধুনিক বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রই এককভাবে নিজের অস্তিত্ব সজায় রাখতে পারে না। প্রতিটি রাষ্ট্র পারস্পরিক নির্ভরশীলতার দ্বারা আবদ্ধ। তাই প্রতিটি রাষ্ট্রকে অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। এই সুসম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যেই প্রতিটি রাষ্ট তাদের বিদেশনীতি নির্ধারণ করে। ভারতও এক্ষেত্রে বাতিক্রম নয়


বিদেশনীতির সংজ্ঞা: কোনো দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাবরা এপর প্রতিটি জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় লঞ্চন পুরণের জন্য অন্যান্য দেশে ও ওগানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের নীতিকে পররাষ্ট্র নীতি বা বিদেশনীতি বলে।


 নিদেশনীতির নির্ধারক সমূহ: ভারতের বিদেশনীতির প্রধান নির্ধারকগুলি হল-(ক) ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার (খ) ভৌগোলিক অবস্থান (গ) অর্থনৈতিক কাঠামো (ঘ) আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা (৫) সামাজিক পরিস্থিতি (5) সামরিক শক্তি প্রভৃতি।


>(ক) ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার: ভারতের বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হন ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার। ভারত ও ভারতীয়দের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তির নীতি বর্তমান। তাই বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা ভারতের পররাষ্ট্র নীতির মূল বৈশিষ্ট। এই কারণে ভারত জোট নিরপেক্ষতা নীতি অনুসরণ করে চলেছে। আন্তর্জাতিক রেও নীতির দ্বিমের প্রবণতা, আনবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং বিদ্বেষের পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি প্রণীত হয়।


>(খ) ভৌগোলিক অবস্থান: ভারতের বিদেশনীতির অন্যতম নির্ধারক হল ভৌগোলিক অবস্থান। ভারতের উত্তরে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণি হিমালয় এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর গোটা ভারতীয় উপমহাদেশকে প্রাকৃতিক নিরাপত্তা প্রদান করে। হিমালয় পর্বতমালা ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সামরিক, রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে উত্তর প্রান্তের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি থেকে। অন্যদিকে ডগার্ডের বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক বাণিজ্য ভারত মহাসাগরের উপর দিয়ে সরবরাহ করা হয়। তাই ভারতের বিদেশনীতির একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল কোনো একটি বিশেষ রাষ্ট্রকে ভারত মহাসাগরের উপর অত্তাধিক প্রভাব বিস্তার করতে না দেওয়া। >(খ) অর্থনৈতিক কাঠামো একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো কতটা উন্নত তা অনেকটাই প্রভাব ফেলে সেই রাষ্ট্রের বিদেশনীতির উপর। ভারত আধিক দিক থেকে উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের তুলনায় পিছিয়ে থাকার কারণে ভারতের বিদেশনীীতি নানারকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। তাই ভারতের বিদেশনীতির একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল অথনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে দ্রুততর করা।


>(ঘ) আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা: যেকোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক কবস্থা বিদেশনীতি গঠন ও রূপায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যে রাষ্ট্রের অভান্তরে রাজনৈতিক অসুবিধা রয়েছে, সেই রাষ্ট্র বিদেশনীডিকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। ভারতের মতো যেকোনো সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিদেশীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রহণে অনেক সরকারী দপ্তর জড়িত থাকে। বিদেশ ইতি গড়নের ক্ষেত্রে দুষ ভূমিকা গ্রহণ করে ভারজের পরছে মরণ এলে গ্রহণ করে চাবার ভারতের সাগরে উভয়কক্সেই ২০০৫ সময় 'বাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ইস্যুগুলি আলোচিত হন তাই ভারতের সংসদ পাল্লা সময় দলে নীতি গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।


>(৪) সামাজিক পরিস্থিতি: বিদেশনীতি গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অন্তবড়া সামাজিক পরিস্থিতির ভূমিকা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ভারতে বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের সমন্বয়ে ভারতের সমাজব্যবস্থা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। এই বৈচিত্র্য পরিপূর্ণ সামাজিক প্রেক্ষাপট ভারতের বিদেশনীতির উপর প্রভাব বিস্তার করে। ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত বরাবরই কাম্মারকে ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতে পৃথিবীর সবথেকে বেশি মুসলিম সম্প্রদায় বসবাস করে। ভারতে মুসলিম সম্প্রদায় বসবাস করার ফলে ভারত তার বিদেশনীতিতে আরব রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।


(চ) সামরিক শক্তি: বিদেশনীতির আরেকটি নির্ধারক হল সামরিক শক্তি। বর্তমানে ভারও সুবৃহৎ সামরিক শক্তির অধিকারী হওয়ার ফলে এশিয়ার একটি অন্যতম প্রধান সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। এর সুবাদে ভারত এশিয়া তথা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ভারত পারমানবিক শক্তির অধিকারী একটি রাষ্ট্র। ভারতের বিদেশনীতিতে বর্তমানে পারমানবিক প্রভাব লক্ষ্যনীয়।


সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, দেশের বিদেশনীতি বহুবিধ উপাদান নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে কয়েকটি উপাদান মিলিতভাবেই রাষ্ট্রের বিদেশনীতিকে নির্বাচন করে থাকে। তবে স্থান কাল ভেদে কোনো-একটি উপাদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পালে। 

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟