কোথায় এবং কবে ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয়? জাতীয় অর্থনীতিতে রেলপথ পত্তনের প্রভাব ব্যাখ্যা কর ?

কোথায় এবং কবে ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয়? জাতীয় অর্থনীতিতে রেলপথ পত্তনের প্রভাব ব্যাখ্যা কর ?

কোথায় এবং কবে ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয়? জাতীয় অর্থনীতিতে রেলপথ পত্তনের প্রভাব ব্যাখ্যা কর ? বা, ভারতের অর্থনীতিতে রেলপথ বিস্তারের প্রভাব আলোচনা কর বা ভারতীয় অর্থনীতির ওপর রেলপথের প্রভাব আলোচনা কর বা,উনবিংশ শতকে ভারতের রেলপথের সম্প্রসারণের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

কোথায় এবং কবে ভারতে প্রথম রেলপথ চালু হয়? জাতীয় অর্থনীতিতে রেলপথ পত্তনের প্রভাব ব্যাখ্যা কর ?
 ভারতে রেলপথের জনক ছিলেন লর্ড ডালহৌসী। ১৮৫৩ সালে রেলপথের প্রতিষ্ঠাকালে তিনি এই আশা ব্যক্ত করেছিলেন যে রেলপথ গড়ে উঠলে ভারতের বাণিজ্যিক ও শিল্পোন্নয়নের অগ্রগতি ঘটবে। ভারতে প্রথম দুটি রেল কোম্পানির নাম ছিল ইস্ট ইন্ডিয়ান ও গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার কোম্পানি। ভারতে ব্রিটিশ পুঁজি লগ্নী করার সর্বাধিক লাভজনক ক্ষেত্র ছিল রেলপথ। প্রথমদিকে ভারতে রেলপথ নির্মাণের ভার ইংল্যান্ডের রেল কোম্পানিগুলিকে দেওয়া হয়। ভারতবাসীর দারিদ্র্যের কারণে রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা বিদেশী কোম্পানিগুলির কাছে উৎসাহজনক ছিল না। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এই ব্যাপারে কতকগুলি প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ইংল্যান্ডের রেল কোম্পানিগুলি এই ব্যাপারে অগ্রসর হয়। যে ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে ভারতে রেলপথের নির্মাণ শুরু হয়, তাকে 'গ্যারান্টি সিস্টেম' (Guarantee System) বা 'প্রত্যাভূতি ব্যবস্থা' বলা হয়। এর শর্ত অনুসারে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানিগুলিকে বিনামূল্যে জমি দিতে এবং মূলধনের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে সুদ দিতে রাজী হন। রেল কোম্পানিকে এই সুদ পরিশোধ করার পর লাভ যা হবে তা সরকার ও কোম্পানির মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে বলে স্থির হয়। এও স্থির হয় যে ২৫ কিংবা ৫০ বছরের পর রেল কোম্পানিগুলিকে খরিদ করার অধিকার সরকারের থাকবে। এই ব্যবস্থা অনুসারে ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে রেলপথের সম্প্রসারণ হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে সরকারের যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয় এবং প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ অর্থ কোম্পানিগুলিকে দিতে হয়। মূল পরিকল্পনা আশানুরূপ সফল না হওয়ায় ১৮৬৯ থেকে ১৮৭৯ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে সরকার একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার মাধ্যমে রেলপথ নির্মাণে ব্রতী হন। ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে কয়েকটি নূতন রেলপথ নির্মিত হয়, যথা-সিন্ধু উপত্যকা রেলওয়ে, পাঞ্জাব-নর্দার্ন রেলওয়ে, রাজপুতানা রেলওয়ে ও নর্থ বেঙ্গল রেলওয়ে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও দ্বিতীয় আফগান যুদ্ধের ফলে ভারতে এক দারুণ অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে এবং রেলপথের পরিচালন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। 

এই অবস্থায় রেলপথ রাষ্ট্রায়ত্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে রেলওয়ে বোর্ড (Railway Board) গঠন করা হয় এবং রেলপথের পরিচালনার দায়িত্ব এই বোর্ডের হাতে রাখা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ভারতে রেলপথের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়। কিন্তু তারপর থেকে ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে যুদ্ধজনিত পরিস্থিতির চাপে রেলপথের সম্প্রসারণ ব্যাহত হয়।

রেলপথের সম্প্রসারণ ও রেলপ্রশাসনের সংস্কারের জন্য ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দে স্যার উইলিয়াম অ্যাকোয়ার্থ-এর সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি নিয়োগ করা হয়। এই কমিটি কয়েকটি সুপারিশ করেন, যথা-রেলপথের উন্নয়নের জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ১৫০ কোটি  টাকার বিনিয়োগ এবং সরকারী এজেন্সীর মাধ্যমে রেলপথের সম্প্রসারণ এবং পৃথক রেলওয়ে বাজেটের প্রবর্তন। ভারতীয় জনগণ বে-সরকারী সংস্থার হাতে রেল পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত রাখার বিরোধিতা করে। কারণ এই সংস্থাগুলির লাভের সিংহভাগই বিদেশে চলে যেত। জনগণের চাপে সরকার কয়েকটি রেলপথের (যথা-ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে, দি গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে, পাঞ্জাব রেলওয়ে ইত্যাদি) পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রেলওয়ে বোর্ডকেও পুনর্গঠন করা হয়। ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দ থেকে দেশের সাধারণ বাজেট (আয়-ব্যয়ের হিসাব) থেকে রেলওয়ে বাজেটকে আলাদা করে দেওয়া হয়।


১৮৫৩ খ্রীষ্টাব্দে সূচনা হয়ে ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রেলপথের ব্যাপ্তি থেকে ভারত বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। যে কোনও দেশের অর্থনীতির ওপর রেলপথের প্রভাব অনস্বীকার্য। ১৮৫৩ খ্রীষ্টাব্দে ভারতে রেলপথের সূচনা হলে মার্কস সেই সূচনাকে ভারতের আধুনিক শিল্পায়ণের অগ্রগামী দূত বলে স্বীকার করেছিলেন। তাঁর ভাষায় "The system (Railways) was truly the forerunner of modern industry" (Marx-Articles on India)। কিন্তু ভারতের শাসকগোষ্ঠী ভারতীয় শিল্পায়ণের ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না। অন্যান্য উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁরা রেলওয়ে নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ সেনাবাহিনীর দ্রুত চলাচল, ভারতীয়দের বিদ্রোহ দমন ও সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন। লর্ড ডালহৌসীর লক্ষ্য ছিল রেলপথের মাধ্যমে ব্রিটিশজাত পণ্যের জন্য বৃহত্তর ভারতীয় বাজারের সৃষ্টি করা এবং ভারত থেকে ব্রিটিশ শিল্পের কাঁচামাল রপ্তানি করার পথ আরও প্রশস্ত করা। রেলপথের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ জড়িয়ে থাকলেও ভারতের অর্থনীতির ওপর রেলপথের প্রভাব অনস্বীকার্য।

ভারতীয় উপমহাদেশে রেললাইনের জাল ছড়িয়ে পড়লে ভারতের চিরাচরিত পরিবহন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। পূর্বে স্থলপথে শকট ও নদীপথে নৌকাই ছিল প্রধান পরিবহন-ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সীমিত, ব্যয়বহুল, সময় সাপেক্ষ ও বিপজ্জনক। রেলপথের প্রবর্তন হলে কম খরচে দ্রুত চলাচল সম্ভব হয়। এতকাল ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্রয়কেন্দ্র বা বাজারগুলি ছিল বিচ্ছিন্ন। ফলে এগুলির পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল খুবই সীমিত। স্থলপথে বা নদীপথে এক অঞ্চলের পণ্যসামগ্রী অন্য অঞ্চলে বহন করার অনেক ঝক্কি ছিল ও তা বিপজ্জনকও ছিল। রেলপথের সম্প্রসারণ ঘটতে থাকলে এই দূর-দিগন্তের বাজারগুলির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপিত হয় যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটে। পরিবহন খরচ অনেক কমে যাওয়ায় বাণিজ্যপ্রসূত লাভের মাত্রা বেড়ে যায়। রেলের মাধ্যমে স্থানীয় বাণিজ্যকেন্দ্রগুলির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপিত হওয়ায় ভারত এক জাতির রূপ পরিগ্রহ করে এবং সেই সঙ্গে বিশ্বের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হয়। এই সব যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতির ওপর তার প্রভাব পড়ে।

রেল পরিবহন খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হওয়ায় তা অর্থনৈতিক ভাবে ভারতের পক্ষে লাভজনক হয়। এর আগে যে সব ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্যের চলাচল হত, সেইসব ব্যবস্থা অন্যান্য অর্থনৈতিক কাজকর্মে নিয়োজিত করা শুরু হয়। অবশ্য অনেকের মতে পরিবহনের খরচ কমে যাওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট গতি সঞ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। কারণ গ্যারান্টি-প্রথা অনুসারে রেল কোম্পানিগুলিকে প্রচুর ভরতুকি এবং পুঁজির লগ্নীর ওপর পাঁচ শতাংশ হারে সুদও দেওয়া হচ্ছিল। ফলে এই খাতে দেশের প্রচুর সম্পদ বিদেশে চলে যায়। এছাড়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে ও বিশেষ করে সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে রেল কোম্পানিগুলি এমন কতকগুলি অঞ্চলে রেলপথ তৈরী করেছিল-যা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ সেখানে দেশীয় পরিবহনব্যবস্থাই যথেষ্ট উপযোগী ছিল। যাইহোক ব্যয়বহুল রেলপথ নির্মাণের জন্য ভারতীয় অর্থনীতির ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এককথায় বলতে গেলে গ্যারান্টি ব্যবস্থার ফলে ভারতীয় রাজস্বের এক বিরাট অংশ বিদেশে চলে যায়। রেলপথের নির্মাণ ও রেলকে চালু রাখার জন্য যে পরিমাণ রাজস্ব ভরতুকি হিসাবে রেল কোম্পানিগুলিকে দেওয়া হত, তা যদি জনকল্যাণমূলক কাজে (যেমন নূতন নূতন রাজপথ তৈরী, সেচ, খাল, জলপথগুলির উন্নয়ন ইত্যাদি) নিয়োজিত করা হত-তাহলে ভারতীয় অর্থনীতির কিছুটা শ্রীবৃদ্ধি ঘটত। কিন্তু তা হয় নি।

তবুও ভারতীয় অর্থনীতির ওপর রেলপথের সার্বিক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। রেলপথে জনগণের চলাচল ও মালবহন খুবই বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতের অবস্থার গুরুতর পরিবর্তন ঘটে। ভারতের কৃষিপণ্যের (যেমন-গম, চাল, তৈলবীজ, পাট, চামড়া, তুলা ইত্যাদি) রপ্তানি অভূতপূর্বভাবে বেড়ে যায়। 

রেলপথের জন্য পরিবহন খরচ কমে যাওয়ায় ভারতের এই পণ্যগুলি বিদেশের বাজারে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। রপ্তানির সঙ্গে সঙ্গে আমদানির পরিমাণও বেড়ে যায়। ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে ব্রিটেন ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ও বিক্রেতার স্থান অধিকার করে। সুতরাং রেলপথ যে শুধু ভারতের বহির্বাণিজ্যের চরিত্রের নবরূপায়ণ ঘটিয়েছিল তাই নয়, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক হয়েছিল। 

ভারতের অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যের ওপরেও রেলপথের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পূর্বে সুষ্ঠু ও দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থার অভাবের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে পণ্যের দর-দামের খুবই বৈষম্য ছিল। বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগান ও সরবরাহের ওঠা-নামার সঙ্গে দর-দামও ওঠানামা করত। কিন্তু রেলপথের সম্প্রসারণের ফলে আঞ্চলিকগত দর-দামের বৈষম্য অনেকটা সংকুচিত হয়। দর-দামে স্থিতিশীলতা আসায় কৃষিপণ্যের চাষ বেড়ে যায় ও সেই সঙ্গে জমির দামেরও ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়ে যায়। জমির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব ও করের পরিমাণও বেড়ে যায়। রপ্তানির প্রসার ঘটায় গ্রামীণ মানুষের আয়ের পথ প্রশস্ত হয়। কৃষির প্রসার ঘটলে ভূমিহীন মজুরদেরও কাজের সংস্থান কিছুটা বেড়ে যায়-বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ ও বিহার অঞ্চলে।


রেলওয়ে সম্প্রসারণের ফলে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায়। শিল্পসংস্থাগুলির মধ্যে রেলেই সর্বাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু আনুপাতিকভাবে অন্যান্য পরিবহন সংস্থায় শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ে।

শিল্পোৎপাদন ও কর্মসংস্থানের দিক থেকে শিল্পের ওপর ছেলের প্রভাব পড়ে। প্রকৃতপক্ষে রেলওয়ের প্রবর্তনের পূর্বে ভারতে আধুনিক শিল্প বলতে কিছু ছিল না। শিল্পে কম খরচে কাঁচামালের যোগান দিয়ে ও উৎপন্ন পণ্য অন্তর্দেশীয় বাজারে সরবরাহ করে রেল ভারতের আধুনিক শিল্পের বিকাশে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু রেলওয়ের সম্প্রসারণের একটা কুফল হল হস্তশিল্পের অবক্ষয়।

রেলওয়ের প্রবর্তন ও সম্প্রসারণের ফলে ভারতে শিল্পের আশানুরূপ অগ্রগতি হয়েছিল-এমন কথা বলা যায় না। প্রধানত ব্রিটেনের শিল্প ও ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের স্বার্থের দিকে নজর রেখে ভারতে রেলপথের প্রবর্তন করা হয়েছিল। ফ্রান্স, জার্মানি প্রভৃতি ইওরোপীয় দেশগুলিতে রেলপথের ফলে শিল্পের অভূতপূর্ব বিকাশ হয়। কিন্তু ভারতে তার বিপরীত হয়। রেলপথগুলিকে ভারতের বৈষয়িক সমৃদ্ধির কাজে না লাগিয়ে তা শোষণের যন্ত্র হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। রেল মাশুলের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে অর্থাৎ বিলাতী মাল বহনের জন্য কম মাশুল এবং দেশীয় মাল বহনের জন্য অতিরিক্ত বেশী মাশুল ধার্য করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট ক্ষতি করা হয়। রেলের মারফৎ বিদেশী পণ্য বাজারে ছড়িয়ে পড়লে কুটিরশিল্পগুলি নিখুঁতভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। কতকগুলি বন্দর ও নগরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল বটে, কিন্তু গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে এবং ভারতবাসীর দারিদ্র্য অনেক বেড়ে যায়।

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟