জুনাগড় শিলালেখ বা গীর্ণার প্রশস্তির বিষয়বস্তু বর্ণনা কর।

জুনাগড় শিলালেখ বা গীর্ণার প্রশস্তির বিষয়বস্তু বর্ণনা কর।

 জুনাগড় শিলালেখ বা গীর্ণার প্রশস্তির বিষয়বস্তু বর্ণনা কর।

জুনাগড় শিলালেখ বা গীর্ণার প্রশস্তির বিষয়বস্তু বর্ণনা কর।


              -- রুদ্রদামার জুনাগড় শিলালেখ --

প্রাপ্তিস্থানঃ গুজরাটের জুনাগড় নগর থেকে মাইন খানেক পূর্বে গির্নার পাহাড়। তার পশ্চিম পাশের গায়ে চূড়ার প্রায় কাছাকাছি এই প্রশস্তি উৎকীর্ণ রয়েছে ।

লিপিঃ দক্ষিণভোরতীয় ব্রাহ্মী।

প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের। প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন কালপর্বের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান থেকে সেই সময়কালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভ করা যায়। আর এই রকমই একটি ঐতিহাসিক উপাদান হল মহাক্ষত্রপ রুদ্রবামনের জুনাগড় শিলালেখ। গিরনারে জুনাগড় পর্বতের পাদদেশে ১২ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের গায়ে লেখটি উৎকীর্ণ হয়েছিল। মহাক্ষত্রণ রুদ্রদামনের রাজত্বকাল সম্পর্কে প্রধান ঐতিহাসিক উপাদান ছিল এটি। লেখটি আদ্যোপান্ত সংস্কৃত গদ্যে কিন্তু লেখটি লেখা হয়েছিল কাব্যরীতিতে। ১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে উৎকীর্ণ এই লেখটি থেকে রুদ্রদামনের ব্যক্তিগত গুণাবলি, রাজ্যজয় ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়।

রুদ্রদামনের সামগ্রিক কার্যাবলি বোঝার জন্য অন্যতম প্রধান উপাদান ছিল এই জুনাগড় শিলালিপি। এই লিপি থেকে জানা যায় যে, সমস্ত শ্রেণির মানুষ তাঁকে তাদের রক্ষাকর্তাকারী ইসাবে নির্বাচিত করেছিলেন এবং তিনি নিজেই মহাক্ষত্রপ উপাধিটি গ্রহণ করেছিলেন। সম্ভবত গৌতমীপুত্রের আক্রমণে তাঁর বংশের গৌরব ক্ষুন্ন হয়েছিল এবং নিজের যোগ্যতা ও পরাক্রম দ্বারা রুদ্রদামন হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করেন। অর্থাৎ, প্রথম বক্তব্যটির মধ্যে জনসমর্থনের ইঙ্গিত ধ্বনিত হয়েছে। জুনাগড় লেখ থেকে জানা যায় যে, পশ্চিম ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল রুদ্রদামনের অধিকার ভুক্ত ছিল যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল পূর্ব মালব, অবন্তী, অনুপনিবৃত, নিম্নসিন্ধু অববাহিকা ইত্যাদি।

জুনাগড় লেখ থেকে জানা যায় যে, রুদ্রদামন তাঁর বংশের লুপ্ত গৌরব পুনরুদ্ধার করেন। লেখ থেকে আরও জানা যায় যে, রুদ্রদামন সাতবাহনদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হন এবং দুবার সাতবাহন রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। কারণ এক জায়গায় তিনি দাবি করেছেন যে 'দক্ষিণাপথপাত' সাতকণীকে তিনি প্রকাশ্য যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। লেখ থেকে আরও জানা যায় যে, শতদ্রু নদীর তীরে অবস্থিত বৌধেয়দের এলাকা তিনি দখল করেছিলেন। লেখ থেকে জানা যায় যে, কেবল রাজ্য বিজেতা হিসাবেই নয় সুদক্ষ ও জনকল্যাণময়ী শাসক হিসাবেও তিনি যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দেন।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ জুনাগড় শিলালেখ বা গীর্ণার প্রশস্তির বিষয়বস্তু বর্ণনা কর। এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟