জ্ঞান দীপ্তির উপর একটি টীকা লেখ
![]() |
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
অষ্টাদশ শতক হলো আলোকিত শতক ৷ এই শতকের মানুষের কাছে যুক্তি ও বুদ্ধি ছিল শ্রেষ্ঠ ৷ সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের বৈজ্ঞানিক চর্চা ও যুগান্তকারী আবিষ্কার মানুষের ভাব জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছিল ৷ বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানুষকে শিখিয়েছিল জ্ঞান দীপ্তি থেকে যুক্তিবাদ অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তিবাদ জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিকশিত হয় ৷ জ্ঞান দীপ্তির মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিল কতগুলি আদর্শ যেমন প্রকৃতিবাদ প্রকৃতির রহস্যকে যুক্তির দ্বারা ব্যাখ্যা করা , যুক্তিবাদকে ধর্মের উপর স্থান দেওয়া, মানবতাবাদের দ্বারা মানুষের স্বাভাবিক অধিকারের কথা বলা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানুষের সম অধিকার ।
জ্ঞান দীপ্তি আধুনিক বিশ্ব চিন্তার ছায়া খুলে দিয়েছিল ৷ বিজ্ঞানের হাত ধরে জ্ঞান দীপ্তির পূরণ হয় ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের পর থেকে ফরাসি বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে সাধারণত আলোকিত শতাব্দীর বিস্তৃত কাল বলে ধরা হয় । আবার জেরি বার্নাল ১৬৫০ থেকে ১৬৯০ সাল পর্যন্ত সময়কে বিজ্ঞানের সবালকত্বের সময় বলে বর্ণনা করেছেন ৷ আধুনিক যুগের সূচনায় কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও হারভে প্রমুখ ও বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করেছিলেন ৷ এরপর নিউটন, রবার্ট বয়েল, জোসেফ ব্ল্যাক প্রমুখের হাত ধরে রসায়নবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা শাস্ত্র প্রকৃতির উন্নতি ঘটে । জ্ঞান দীপ্তির প্রভাবে মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন সাধিত হয় এবং প্রতিষ্ঠা পাই যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান চর্চা ৷