বাংলায় স্বাধীন সুলতানের প্রতিষ্ঠার রূপে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহর ভূমিকা আলোচনা কর
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইলিয়াস শাহ বংশ নামে পরিচিত ৷ তিনি ছিলেন অরিভক্ত বাংলার প্রধান স্বাধীন মুসলিম শাসনকর্তা ৷ তার সিংহাসন আরোহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন পর্যায়ে সূচনা হয়েছিল ৷ দিল্লির অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই স্বাধীন সুলতানের প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করে দেয় ৷ এই সময় ইলিয়াস শাহ বাংলায় দক্ষতার সাথে শাসনব্যবস্থার পরিচালনা করেন ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
"তারিখ-ই-ফিরোজশাহী", 'তবকাত-ই-আকবরী' 'তারিক-ই-ফিরিস্তা', 'সিরাৎ-ই-ফিরোজশাহি' প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের রাজত্বকালের বিবরণ জানা যায় ৷ তিনি একে একে চম্পারন গোরখপুর,কাশী প্রভৃতি অঞ্চল জয় করেন ৷ নেপালের বিরুদ্ধেও তিনি সফল অভিযান করেন এবং নেপাল থেকে বহু অর্থ সংগ্রহ করে ইলিয়াসসহ স্বরাজ্যে প্রবর্তন করেন ৷ ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে গাজী শাহোকে পরাজিত করে ইলিয়াস শাহ পূবঙ্গের সোনারগাঁও অঞ্চল দখল করেন ফলে বাংলায় রাষ্ট্রীয় ঐক্য স্থাপিত হয় ৷
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সামরিক সাফল্য ও ক্ষমতার দ্রুত বিস্তার দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ কে সংকিত ও ক্ষুদ্ধ করেছিল ৷ ইলিয়াস শাহকে দমন করার জন্য বিশাল বাহিনী সহ তিনি বাংলাদেশ আক্রমণ করেন ৷ কিন্তু ইলিয়াস শাহ ও একজলা দুর্গে আশ্রয় নেয় ৷ দীর্ঘ একজলা দুর্গ অবরোধ করে রেখেও ফিরোজ-শাহ-তুঘলক ইলিয়াস শাহকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে বিফল হন ৷ ঐতিহাসিক বরণী,ইসামি প্রমুখ ও মনে করেন সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক ইলিয়াস শাহুকে বিধ্বস্ত করেছিলেন ৷ রমেশ চন্দ্র মজুমদার রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ইতিহাসবিদ মনে করেন এই যুগে কোন পক্ষই চূড়ান্তভাবে জয়ী হতে পারেনি ৷ যাইহোক শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের আমলে বাংলার যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছিল বলে মনে করা হয় ৷