চীনে মুসলিম বিদ্রোহ সম্পকে একাট টীকা লেখো।

চীনে মুসলিম বিদ্রোহ সম্পকে একাট টাকা লেখো।

 চীনে মুসলিম বিদ্রোহ সম্পকে একাট টীকা লেখো।

চানে মুসলিম বিদ্রোহ সম্পকে একাট টাকা লেখো।

কটি জাতি বা গোষ্ঠী যখন শাসক শ্রেণী কর্তৃক অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়, তখনই তারা বিদ্রোম ও উবাদের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করেছে একথা ইতিহাস বারে - বারে প্রমাণ করেছে। আধুনিক হীনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে উন্নান অঞ্চলের মুসলিম বিদ্রোহ (১৮৫৫-১৮৭৩) ছিল এমনই এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যা, চীনা প্রশাসনের ভিতকে নাড়িয়ে তুলেছিল।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

মোঙ্গল শাসনের সময় (১২৮০-১৩৬৮) পশ্চিমাঞ্চলের সিনকিয়াং থেকে মুসলিমরা উন্নান অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এই মুসলিমরা উন্নানের মোট জনসংখ্যার ২০ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি ছিলেন না। কিন্তু তাঁরা ছিলেন অসম্ভব ঐক্যবদ্ধ। ফলে উন্নান অঞ্চলে তাঁরা একটি শক্তিশালী সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। চীনা এবং মাঙ্গুরা মুসলিম সম্প্রদায়ের পৃথক ধর্ম ও ভিন্ন ধরনের জীবনযাত্রার কারণে তাদের ঘৃণার চোখে দেখতেন। নিপীড়িত মুসলিমরা প্রায়ই আদালতের শরণাপন্ন হতেন, কিন্তু কখনোই সুবিচার পেতেন না। এইসব কারণে তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ খনিজ সম্পদের অধিকার ও মালিকানাকে কেন্দ্র করে চীনা ও মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় চীনা প্রশাসন ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর গণহত্যা চালায়। মুসলিমরা তখন প্রতিষ্ঠান বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। উন্নান অঞ্চলের মুসলিম অভ্যুত্থানে: দুজন নেতার নাম পাওয়া যায়। একজন ছিলেন মাভেশন। তিনি ছিলেনএকজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মক্কা, কনস্টান্টিনোপল,আলেকজান্দ্রিয়া ইত্যাদি লিখল ভ্রমণ করেছিলেন। আর একজন ছিলেন তুং ওয়েন-২ই। তিনি ছিলেন মুসলিম বংশোদ্ভূত এক তরুণ পণ্ডিত। সাঞ্চ ও চীনদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুসলিমদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ওয়েন-শুই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ।

তুং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তুং ওয়েন-শুই সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে টালি অঞ্চল দখল করেন এবং একটি স্বতন্ত্র রাজ্য গঠনের কথা ঘোষণা করেন। তারপর তিনি সুলতান সুলেমান উপাধি ধারণ করেন। মুসলিম বিদ্রোহ এতটাই জঙ্গি রূপ নিয়েছিল যে প্রাদেশিক সামরিক বাহিনীর পক্ষে এই বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হয়নি। মুসলিম বিদ্রোহ চিং রাজদরবারকে বিব্রত করে তুলেছিল। তখন চিং রাজদরবারের নীতি নির্ধারকরা স্থানীয় প্রশাসন ও সামরিক ক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন আনেন।

১৮৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে সাফল্যের চাকা চীন সরকারের দিকে ঘুরতে শুরু করে। মুসলিম বিদ্রোহ তার শক্তি হারাতে মাকে। তুং-এর পুত্র এই সময় সামরিক সাহায্যের আশায় তুক ও ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন। কিন্তু তাঁর এই প্রয়াস পুরে। নূরি ব্যর্থ হয়। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তুং ওয়েন-শিউ নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যা কবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর তিনি আত্মসমর্পণ করেন উন্নানের মুসলিম বিদ্রোহ সমাধিস্থ হয়।

তুং ওয়েন-শিউ এর মৃত্যুর পর চীনের মুসলিম বিদ্রোহ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলস্বরূপ চীনের মুসলিম বিদ্রোহ দমিত হয়ে পড়ে। তবে, চীনা মুসলিমরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সন্ধিবাদের প্রেরণা ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ চীনে মুসলিম বিদ্রোহ সম্পকে একাট টীকা লেখো। এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟