মুসলিম সমাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের অবদান উল্লেখ করো। অথবা, আলিগড় আন্দোলনের প্রসারে স্যার সৈয়দ আহমেদ। খানের কৃতিত্বের পরিচয় দাও। অথবা, মুসলিমদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আলিগড় আন্দোলনের অবদান কী ছিল? অথবা, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ও আলিগড় আন্দোলন সম্পর্কে কী জান লেখো ৷অথবা, ভারতের মুসলমানদের নবজাগরণে স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের ভূমিকা আলোচনা করো। অথবা, আলিগড় আন্দোলনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
সৈয়দ আহমেদ সমাজে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোর জন্য যে সংস্কার আন্দোলন পরিচালনা করেন তা ইতিহাসে আলিগড় আন্দোলন নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ রাজত্বের প্রথমদিকে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। ব্রিটিশ সরকার মহাবিদ্রোহের জন্য মুসলিমদের বেশি দায়ী করেছিল। অপরদিকে, মুসলমানরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তনকে সন্দেহের চোখে দেখত। আলিগড় কলেজের অধ্যক্ষ থিয়োডোর বেকের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে সৈয়দ আহমেদ খান পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের নিয়ে আলিগড় কলেজকে কেন্দ্র করে এক আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
আলিগড় কলেজের প্রথম তিন অধ্যক্ষ-থিয়োডোর বেক, টি. মরিসন, ডব্লিউ.এ.জে. আর্চিবন্ড প্রমুখ আলিগড় কলেজকে আন্দোলনের মূলকেন্দ্রে পরিণত করেন। অধ্যক্ষ থিয়োডোর বেক সম্পাদক 'ইন্সটিটিউট গেজেট' নামক কলেজ পত্রিকাটির দ্বারা বাঙালি, হিন্দু ও কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়। জাতীয় কংগ্রেসের বিকল্প রূপে আলিগড়ে বেকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড ইন্ডিয়ান প্যাট্রিয়টিক অ্যাসোসিয়েশন (১৮৮৮ খ্রি.)। থিয়োভোর বেক পরবর্তী সময়ে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব আপার ইন্ডিয়া (১৮৯৩ খ্রি.)।