কালিদাস সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা সম্পর্কে টীকা লেখ বা কালিদাস

 কালিদাস সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা সম্পর্কে টীকা লেখ বা কালিদাস

কালিদাস সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা সম্পর্কে টীকা লেখ বা কালিদাস

সংস্কৃত ভাষায় ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে গুপ্তযুগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আর গুপ্তযুগের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার হিসাবে কালিদাসের নাম খুবই উল্লেখযোগ্য। গুপ্তযুগের এই শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার কালিদাসের আবির্ভাব ঠিক কোন সময়ে ঘটেছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তবে বলা যায় যে, তিনি এমন একসময় আবির্ভূত হয়েছিলেন যখন অগ্নিমিত্রের সম্যাকাল অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল এবং যার পরবর্তী ছিলেন আইহোল প্রশস্তির রচয়িতা রফিকীর্তি। বিভিন্ন তথ্য থেকে বলা যায় যে, তিনি ৪৭৩ খ্রিস্টপূর্বেই আবির্ভূত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারের নবরত্নের মধ্যে উজ্জ্বল এক রত্ন হিসাবে তিনি পরিগণিত হন। বৈদিকসাহিত্য, দার্শনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ধর্মশাস্ত্র, ব্যাকরণ, জ্যোতিষশাস্ত্র পাশাপাশি সংগীত, অঙ্কন, চিত্রকলাতে তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে প্রেম, প্রকৃতি সৌন্দর্যের কবি পাশাপাশি সমাজধর্ম শাসন সম্পর্কে তার যথেষ্ট জানও ছিল।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

কালিদাস একাধিক কাব্য ও নাটক রচনা করেছিলেন। যথা-মালবিকাগ্নিমিতম্, বিক্রমোবর্শী, অভিজ্ঞান শকুন্তলম্, রঘুবংশ, মেঘদূত, কুমারসম্ভব, ঋতুসংহার। এগুলির মধ্যে প্রথম তিনটি নাটক এবং বাকি চারটি কাব্য। মালবিকাগ্নিমিতম্ নাটকে পুষ্যমিত্রের পুত্র অগ্নিমিত্রের দুই রানি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বিদর্ভের রাজকুমারী মালবিকার সঙ্গে বিবাহ সম্পাদিত হল তা তুলে ধরা হয়েছে। বিক্রমাবশী নাটকে স্বর্গের অব্দরা উর্বশী ও মর্ত্যের রাজা মুঘরবার মধ্যে প্রেমই ছিল এই নাটকের বিষয়বস্তু। 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম্' নাটকটি তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এখানে প্রকৃতি ও প্রেমের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কথমুনির পালিত কন্যা শকুন্তলার সঙ্গে দুষ্মন্তের প্রণয়, পতিগৃহে যাত্রা আবার দুষ্মন্তের প্রত্যাখান পরে পুনর্মিলনকে দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।

কালিদাসের কাব্যগুলির মধ্যে রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রঘুবংশের মূল বিষয়বস্তু হল সূর্যবংশীয় রামচন্দ্র ও তার পূর্বপুরুষদের বর্ণনা। এখানে রাষ্ট্রের সপ্ত অঙ্গ-রাজা, অমাত্য, দুর্গ, রাষ্ট্র, কোষ, দন্ড এবং মিত্রর উল্লেখ রয়েছে। 'কুমারসম্ভব' কাব্যটি কালিদাস সমাপ্ত করে যেতে পারেনি।

মেঘদূত কাব্যটি একটি গীতিকাব্য। এটিকে খণ্ডকাব্য হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই কাব্যটির মধ্য দিয়ে ভারতীয় প্রকৃতির বর্ণনা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ঋতুসংহার কাব্যটিতে গ্রীষ্মকাল থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত ছয়টি ঋতুর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই কাব্যটি সাতটি সর্গে বিভক্ত। কাব্যগুলির আলোচনা থেকে বলা যায় যে, একদিকে যেমন সমাজের চরিত্রচিত্রণ হয়েছে পাশাপাশি প্রকৃতি প্রেম সমস্ত বিষয় বর্ণিত হয়েছে, কাব্য ও নাটকে। কালিদাসের নাম শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


তোমাকে অনেক ধন্যবাদ কালিদাস সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা সম্পর্কে টীকা লেখ বা কালিদাস এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟