আর্যভট্ট সম্পর্কে আলোচনা কর
গুপ্তযুগে শিক্ষা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, শিল্পকলার পাশাপাশি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় এমনকি গণিত ও জ্যোতিষশাস্ত্রে খ্যাতনামা মনীষীদের আবির্ভাব ঘটে। গণিতজ্ঞ ও জ্যোতিষাচার্যের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আর্যভট্ট। ৪৭৫ খ্রিস্টাব্দের এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী পাটলীপুত্র শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রহ, নক্ষত্র, বিজ্ঞান ও অঙ্কশাস্ত্রের ওপর তাঁর অসাধারণ জ্ঞান ছিল। তিনি একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। যেমন- 'সূর্যসিদ্ধান্ত', 'আর্যভট্রীয়', 'দশগীতিকাসূত্র' এবং 'পর্যটিশত'।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
আর্যভট্টের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল 'সূর্যসিন্ধান্ত'। এই প্রশ্নটিতে আর্যভট্ট সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। চন্দ্রের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে যে চন্দ্রগ্রহণ হয় এই সত্য তিনিই প্রথম উদ্ঘাটন করেন। পৃথিবীর আকার সম্পর্কে আধুনিক ধারণা তিনিই দিয়েছিলেন। তিনি প্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে, পৃথিবী গোলাকার এবং তা নিজ অক্ষের ওপর ঘূর্ণায়মান। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত মতামত হল আর্যভট্টের।
সূর্যসিদ্ধান্ত ছাড়াও মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি 'আর্যভট্টীয়' নামক একটি বিখ্যাত প্রশ্ন রচনা করেন। ১২১টি শ্লোকে রচিত এই গ্রন্থটির চারটি ভাগ। এগুলি হল-গীতিকাপান, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপাদ ও গোলপাদ। গ্রন্থটির মূল বিষয় হল জ্যোতির্বিদ্যা, তবে অন্যান্য বিষয়ও আলোচিত হয়েছে। গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল ৪৯৯ খ্রিস্টাব্দে। গ্রন্থটির আলোচিত বিষয় সূচিত রয়েছে মৈরাশির পক্ষতি, ওয়াশ বালি, অনুল বিধাত বহীকরণ, অনুবৃত এ উৎকেন্দ্রিক বৃত্ত।
এছাড়াও তিনি গ্রহ-নক্ষত্রবিজ্ঞানকে অক্ষশাস্ত্রের এক স্বতন্ত্র শাখার মার্যদা দিয়েছিলেন। ৩৬৫.৩৫৮৬৮০৫ দিনে এক বছর হয়। সৌরবছরের এই দৈর্ঘ্যের হিসাব তিনিই প্যাহিলেন। সংখ্যা হিসাবে শূন্যের ব্যবহারের তিনিই পথিকৃৎ। অবশ্য তিনি দশমিক এগতির প্রবর্তন করেছিলেন, এই বিষয় নিয়ে পণ্ডিতমহলে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। পরবতীভাসের গ্রহ-নক্ষত্রবিদযন আর্যভট্টের বৈপ্লবিক মতবাদের বিরোধিতা করেছিলেন। তারা ধর্ম ও ঐতিয্যেই দাবির সঙ্গ্যে আপস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ধারণা ছিল
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আর্যভট্ট সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য