বেসর শৈলী সম্পর্কে আলোচনা কর

 বেসর শৈলী সম্পর্কে আলোচনা কর

বেসর শৈলী সম্পর্কে আলোচনা কর


ভারতের শৈলী  নির্মাণের ইতিহাসে তিনটি প্রধান শৈলীর উপস্থিত দেখা যায় যথাউ উত্তর ভারতের নাগর শৈলী, দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়শৈলী এবং দুই শরীর মিশ্রণে উদ্ভূত এক বিশেষ শৈলী বা বেসর মন্দির শৈলী নামে পরিচিত ৷ আদি মধ্যযুগের পশ্চিম চালুক্য এবং রাষ্ট্রকূট রাজারা একাধিক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন যে মন্দিরগুলি বেসর শিল্প শৈলী দ্বারা প্রভাবিত । তবে সবথেকে বেশি এই রীতি নির্মিত মন্দির দেখা যায় বর্তমান কর্ণাটক রাজ্যে ৷ এই ধরনের শিল্প রীতিতে দ্রাবিড়শৈলী এবং নাগর শৈলী মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়, যেখানে মন্দিরের মূল পরিকল্পনা থাকে দ্রাবিড় শৈলী এবং বাহ্যিক অবয়ব থাকে নাগর শৈলীক।



৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পুলকেশরী বাদামে অঞ্চলে চালুক্য সাম্রাজ্য স্থাপন করেন ৷ পরবর্তীকালে রাষ্ট্রকূট দের উত্থান এবং পশ্চিম চালুক্যদের হাত ধরে বেসর শিল্প শৈলী বিকশিত হয় । যা বিজয়নগরের সাম্রাজ্যকাল পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের টিকে ছিল ৷ সবথেকে বেশি মন্দির নির্মিত হয়েছে চালুক্য রাজ দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্যের আমলে ৷ উত্তরকল অঞ্চলে যেখানে রানী লোকমহাদেবী দিরুপাক্ষ্য মন্দির নির্মাণ করে ৷ এছাড়াও একটি শৈব মন্দির এই অঞ্চলে দেখা যায় এই মন্দিরগুলি দেখতে পূর্বনির্মিত দ্রাবিড় শৈলী হলেও এর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দেখা যায় ৷ যেমন এই মন্দিরগুলি রাজস্থান এবং উড়িষ্যার শৈলী দ্বারা প্রভাবিত ৷ এই প্রসঙ্গে আইহোল এর দুর্গা মন্দির সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ৷ যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের চৈত্র গৃহের মতো হল থাকে ঘিরে আছে গোলাকৃতি বারান্দা সেই সঙ্গে নাগর শৈলীর শিখর দেখা যায় ৷ এছাড়া কর্নাটকের লাদ খান মন্দির এর উল্লেখ করা যায় যেখানে ছাদে পাথরের পরিবর্তে কাঠের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ৷



একটু সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে মন্দির নির্মাণের শৈলীর গত ভিন্নতা বিশেষভাবে প্রতিস্ফুটিত হয় এবং প্রশ্ন আসে কিভাবে এটি সম্ভব হল? এই প্রসঙ্গে বলা যায় এই ধারার মন্দির নির্মাণের শিল্পীগন তাদের সৃজনশীল শিল্পী সত্তার পরিচয় দিয়েছেন, পাশাপাশি সারা ভারতের শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৷ যাই  হোক না কেন এটা পরিষ্কার যে এই শৈলী স্থাপত্য ইতিহাসে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বেসর শৈলী সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟