পাল-সেন যুগে বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতি সম্পর্কে যা জান লেখো।
বাংলার ইতিহাসে পাল ও সেন যুগ ছিল এক ঐতিহ্যশালী অধ্যায়।। এ যুগে বাংলাদেশে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যায়। পাল ও সেন রাজারা শিক্ষার বিশেষ সমাদর করতেন। পাল রাজাদের উৎসাহে স্থাপিত হয়-সোমপুরী, ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল মহাবিহার। আদতে এগুলি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশ-বিদেশের অগণিত ছাত্র এখানে পড়াশোনা করতে আসত।
পাল যুগে চিকিৎসাবিষয়ক অনেক গ্রন্থ রচিত হয়, যেমন বৃন্দের সিদ্ধযোগ, চক্রপাণির ভানুমতী প্রভৃতি। এ যুগেই রচিত হয় সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত। সেন যুগে বল্লাল সেন লেখেন দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর। জয়দেব ছিলেন সেন যুগের প্রখ্যাত কবি। তিনি গীতগোবিন্দম রচনা করে অমর হয়ে আছেন। পবনদূত লেখেন ধোয়ী।
শিল্প-সংস্কৃতিতেও পাল ও সেন যুগ ছিল অগ্রগামী। পাল যুগে শিল্পীরা মন্দির তৈরি করত টেরাকোটা বা পোড়ামাটি দিয়ে। ধীমান ও বীটপাল ছিলেন পাল যুগের শ্রেষ্ঠ স্থাপতি ও ভাস্কর। অষ্টধাতু ও কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি হয় বহু দেবদেবীর মূর্তি। স্থাপত্যশিল্পের শ্রেষ্ঠ নমুনা হল- ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল মহাবিহার। সেন যুগে শ্রেষ্ঠ শিল্পীরা ছিলেন শূলপাণি, কর্ণভদ্র, তথাগতসাগর প্রমুখ।
