ইংল্যান্ডের জেন্ট্রি শ্রেণীর উত্থান
ইংল্যান্ডের টিউটর যুগে সামাজিক ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল জেন্ট্রি শ্রেণির উত্থান ৷ ষোড়শ শতকে ইংল্যান্ডে যে সম্পদশালী ভূমধ্য কারী শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছিল তারাই জেন্ট্রি নামে পরিচিত ৷ এদেরকে গ্রামীণ ভদ্র শ্রেনি বলে উল্লেখ করেছেন ৷ অধ্যাপক আর.এইচ. টনি তার "The rise of Gentry" গ্রন্থে দেখেছেন ষোড়শ শতকে ইংল্যান্ডের জমির সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে জেন্ট্রি শ্রেনির অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হয় ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
অধ্যাপক ট্রেভর রোপার দেখিয়েছেন ষোড়শ শতকে যে সব সম্পত্তির অধিকারীরা উচ্চপদস্থ কর্মচারীর পদে বা অফিসে কর্মরত ছিলেন তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটতে এবং তারাই জেন্ট্রি শ্রেণীতে পরিণত হয় ৷ জি আর এলটন মনে করেন ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পাঁচশত বৎসর ছিল ভদ্র সম্প্রদায়ের যুগ ৷ তাই তার ভাষায় "The age of Genty" ৷ এই যুগটিই ছিল সামন্ততন্ত্রের অবলুপ্তি থেকে শিল্পভিত্তিক শহরের সমাজ গড়ে ওঠার যুগ ৷ এই যুগে বিশেষ করে ষোড়শ শতকে জেন্ট্রি এক অভিনব ক্ষমতা সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছিল ৷
ষোড়শ শতকে চার্চের উপর রাজকীয় প্রভূত প্রতিষ্ঠিত হলে চার্চে বিশাল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির রাজ শক্তির নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ রোমের সঙ্গে বিচ্ছেদের ফলে নতুন ভদ্রশ্রেনীর সমর্থক আদায় ও অন্যান্য কারণে সম্রাট অষ্টম হেনরি চার্চ এর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ভুল সম্পত্তির এক বিরাট অংশ ওই ভদ্র শ্রেনিকের বই ভদ্র শ্রেনীর কাছে বিক্রয় করে দেন ৷ এই নতুন ভূ মধ্যকারী ভদ্র শ্রেনীর মধ্যে থেকেই জেন্ট্রি শ্রেনীর উদ্ভব হয় বলে অনেকেই মনে করেন ৷ এই জেন্ট্রিশেনি ষোড়শ শতকে ইংল্যান্ডের শাসন, শিক্ষার সমাজ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে ৷
