সুলতানি আমল থেকে ইতিহাসচর্চার যে ধারণা সূচিত হয়েছিল, মুঘল যুগে তা অনেকটাই পরিমার্জিত ও পরিণত রূপ পেয়েছিল। ঐতিহাসিকগণ মোগলযুগের ইতিহাসচর্চায় তিনটি ধারার কথা বলতে চেয়েছেন। যেমন- সমকালীন ইতিহাস, সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস ও আধুনিক ইতিহাস। মোগল যুগের সমকালীন ইতিহাস সেইযুগের ঐতিহাসিক বা ইতিহাস রচয়িতাদের হাত ধরে প্রবাহিত হয়েছিল। আবুল ফজল, আব্দুল হামিদ লাহোরী, আব্দুল আব্দুল কাদির বদাউনি, নিজামউদ্দিন আহমেদ, কাফি খাঁ, ভীমসেন ও ঈশ্বরদাস প্রমুখ ছিলেন এইধারার ঐতিহাসিক। তারা সমকালীন ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে সরকারী দলিল-দস্তাবেজ ব্যাখ্যা করার সুযোগ পেয়ে ছিলেন। এই কারণে দরবারী লেখকদের রচনার মূল্য অনেক বেশী। তবে তাদের রচনায় যুদ্ধ বিগ্রহ, রাজনীতি, শাসনব্যবস্থা সম্রাট ও অভিজাতদের জীবনযাত্রার কথা বেশি আলোচিত হয়েছে। হ। সাধারণ মানুষের কথা বা সেই যুগের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের কথা তাদের রচনায় স্থান পায়নি বললেই চলে। সামাজিক অবস্থার সেরকম বর্ণনা এদের রচনায় সেভাবে ফুটে ওঠেনি। তা সত্ত্বেও মুঘল যুগের ইতিহাসকার হিসেবে আবুল ফজল আল্লামীর নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয়।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
আবুল ফজল (১৫৫৮-১৬০২ খ্রিঃ) ছিলেন অভিজাত পরিবারের সন্তান। তার পিতা শেখ মুবারক ছিলেন সেকালের একজন শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ও উদারপন্থী সুফিসাধক। আর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ফৈজী ছিলেন একজন স্বনামধন্য কবি। বাল্যকাল থেকেই আবুল ফজল বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিভার পরিচয় দেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নানা শাস্ত্রে তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন। তবে তাঁর পরিবার শিয়াপন্থী হওয়ার কারণে গোঁড়াপন্থীদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। অত্যাচারিত ও নির্যাতিত তার পরিবারের প্রভাব আবুল ফজলের চিন্তা ও মননের উপর গভীর রেখাপাত করেছিল। শেষ পর্যন্ত ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে শেখ মুবারক মুঘল সম্রাট আকবরের দরবারে আশ্রয় পেলে আবুল ফজল তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পান। তার পাণ্ডিত্য ও বিশ্বস্ততায় মুগ্ধ আকবর আবুল ফজলকে উচ্চ রাজপদে নিযুক্ত করেন।
আকবরের নির্দেশে আবুল ফজল সমকালীন রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুস্তক রচনার কাজ শুরু করেন। বিখ্যাত দরবারী ঐতিহাসিক আবুল ফজল ৪টি গ্রন্থ রচনা করেন, যথা- (ক) আকবর নামা; (খ) আইন-ই-আকবরী; (গ) রুকাৎ-ই-আবুল ফজল; (ঘ) ইনশ-ই-আবুল ফজল। এর মধ্যে প্রথম দুটি গ্রন্থ সমধিক বিখ্যাত।
আকবরনামা ফার্সি ভাষায় রচিত। তিনটি খন্ডে এব গ্রন্থটি রচিত। আবুল ফজলের বিখ্যাত আকবরনামা গ্রন্থটি ইংরেজি ভাষাতে অনুবাদ করেছেন এইচ. বেভারিজ। এই বইটির ১ম খন্ডে তৈমুর লং এর সময়কাল থেকে হুমায়ুনের সময়কাল পর্যন্ত মুঘল বংশের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। ২য় এবং ৩য় খন্ডে বর্ণনা করা হয়েছে আকবরের রাজত্বকালের সমস্ত ঘটনাকে। এইসব ঘটনাগুলির পিছনে কি উদ্দেশ্য ছিল তাও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
আইন-ই-আকবরী একটি সুবিখ্যাত গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি তিনটি খন্ডে রচিত। গ্রন্থটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ব্লকম্যান ও গ্যারেট। এই বইটিতে আকবরের আমলের ভারতবর্ষের পরিসংখ্যান বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে। আকবরের সাম্রাজ্যের আয়তন, সম্পদের অবস্থা, শাসন পদ্ধতি, শিল্প, কৃষি ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ আইন-ই-আকবরী তে আবুল ফজল লিপিবদ্ধ করেন ৷ গ্রন্থটিকে জ্ঞানের ভান্ডার বলা যেতে পারে। ইংরেজ অনুবাদক ব্লকম্যান তাই জোর দিয়ে বলেছেন, "আইন-ই-আকবরী হল ফার্সি ভাষায় রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে এক ও অদ্বিতীয় গ্রন্থ।" বইটি থেকে মধ্যযুগের জনসাধারণের জীবন যাপনের ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নিজের বক্তব্যের মধ্যেই পাওয়া গেছে যে, তিনি কতটা কষ্ট স্বীকার করে ও সতর্ক P এন সংগ্রহ করেছিলেন। হয়ে এই গ্রন্থটির উপাদান সংগ্রহ ৷
রোকায়ত-ই-আবুল-ফজল ফার্সি ভাষায় রচিত চিঠিপত্র সম্পর্কিত একটি গ্রন্থ। এই গ্রন্থে সম্রাট আকবর, মুরাদ, দানিয়েল, মরিয়াম মাকানি, সেলিম এবং আকবরের বেগম ও কন্যাদের লেখা চিঠির উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও আবুল ফজলের পিতামাতা, ভাই ও বিশিষ্ট মানুষদের কাছে লেখা চিঠির কথাও এই বইটিতে বলা হয়েছে। চিঠিগুলি মুঘল যুগের এক একটি ঐতিহাসিক দলিল।
আবুল ফজলের চতুর্থ গ্রন্থের নাম হল ইনসা-ই-আবুল ফজল। এই গ্রন্থটির অপর নাম হল মুক্তবাৎ-ই- আল্লামী। গ্রন্থটি দুটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে আছে দেশে, বিদেশে লেখা আকবরের গুরুত্বপূর্ণ পত্রগুলি। দ্বিতীয় অংশে আবুল ফজলের অবশিষ্ট পত্রগুলি সংকলিত আছে। বস্তুত সকল পত্রই সমকালীন ঘটনাবলী, নীতি ও আদর্শের উপ আলোকপাত করে। তাই এদের ঐতিহাসিক মূল্য আপারিসীম।
আকবরনামার দ্বিতীয় খণ্ডে আবুল ফজল ইতিহাস ও দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। পূর্বসূরিদের ইতিহাস রচনা পদ্ধতি সমালোচনা করে তিনি বলেছেন যে, ইতিহাস রচনার লক্ষ্য কেবল মুসলিমদের ভারত জয়ের গৌরব কিংবা পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরা হয়। তার মতে, এই ধরনের ইতিহাস ভারতীয় সভ্যতা তথা ইতিহাসের পক্ষে ক্ষতিকারক। তার ক তার কাছে ইতিহাস হল জ্ঞানদীপ্তির উৎস। ইতিহাসের বিষয়বস্তু যুক্তিবাদের উপর ভিত্তি করে মানুষের দুঃখ জয় করতে পারলেই তার স্বার্থকতা উপলব্ধি হয়। আবুল ফজল ইতি রচনার পদ্ধতি সম্পর্কে লিখেছেন যে, ইতিহাসের বিষয়বস্তু সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপাদানের যৌক্তিকতা ভালোভাবে যাচাই করা আবশ্যিক। কারণ যুক্তি ও তথ্য বিবর্জিত কোনো রচনাকে মাকে গল্পকথা গল্পকথা বলা বলা যায়, প্রকৃত ইতিহাস নয়। তার মতে, ইতিহাসকে ধর্মশাস্ত্রের অঙ্গ করা সঠিক নয়। আবুল ফজল মনে করতেন যে, দর্শনশাস্ত্রের সাথে ইতিহাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এবং এরা পরস্পরের পরিপূরক। আবুল ফজলের ইতিহাসচর্চার ভিত্তি হল ধর্মনিরপেক্ষতা ও যুক্তিবাদ।
হলেন মধ্যযুগের এক আবুল ফজল হলেন মধ্যযুগের একমাত্র ঐতিহাসিক, যিনি বহুমাত্রিক ইতিহাস রচনা পদ্ধতির কথা বলেছেন। একটিমাত্র উপাদান সংগ্রহ নয়, মূল আকর সংগ্রহের উপর তিনি জোর দিয়েছেন। বিভিন্ন উৎস থেকে উপাদান সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সত্যতা করে তিনি ইতিহাস লেখার পক্ষপাতি ছিলেন। প্রতিবেদন, স্মারক ক্ষপাতি ছিলেন। প্রাত লিপি, বাদশাহী ফরমান এবং অন্যান্য তথ্য তিনি সযত্নে ব্যবহার করেছেন। আকবরের সামাজিক ধারণা, শাসনব্যবস্থা, জনকল্যাণকামী নীতি ও ধর্মীয় সহিষঞ্চুতার তিনি ছিলেন উৎসাহী সমর্থক। এজন্য তাঁর রচনা হয়েছে কিছুটা পক্ষ পক্ষ পা পাতিত্বপূর্ণ ও আকবরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি সমকালীন ইতিহাসের তথ্য-পূর্ণ বিবরণ রেখেছেন। অত্যন্ত সহৃদয়তার সঙ্গে হিন্দুদের ধর্ম, দর্শন, সামাজিক আচারণ ইত্যাদি অনুধাবণের চেষ্টা করেছেন।
•তবে আবুল ফজলের রচনা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত ছিল না। তিনি পরিশ্রম করে আকবরের শাসনকালের বহু খুঁটিনাটি তথ্য সরবরাহ করেছেন। কিন্তু বর্ণনা দেওয়ার সময় বস্তুগত চিত্র আবেগপ্রবণতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়েছে। তিনি আকবরের রাজত্বকালের একটি আদর্শ চিত্র তুলে ধরেছেন, বাস্তব চিত্র নয়। আকবরের দুর্বল সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে আবুল ফজল সচেতনভাবে নীরব থেকেছেন। যেমন জায়গির জমি খালিসায় পরিবত তিনি ক্রোড়ীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই পরীক্ষা সফল হয়নি। আবুল ফজল এই বিষয়ে নীরব থেকেছেন। আকবরের ধর্মচেতনা বা দীন-ই-ইলাহি প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাই অনেকেই আবুল ফজলকে রোমান্টিক বা মননধর্মী লেখক বলেছেন। জিয়াউদ্দিন বারাণী বা ফিরিস্তার মতো বস্তুবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি কিছুটা উদাসীন ছিলেন। আকবরের প্রতি ইতিহাসবোধকে গভীর আস্থা তার ইতিহাসবোধকে অনেকটাই আবেগমুখী করেছিল।
স্মিথ আবুল ফজলকে দরবারী ঐতিহাসিক ও স্তাবক বলে মনে করেন। তিনি তাঁর প্রভূর দোষগুলি দেখতে পাননি এবং তিনি তাঁর গ্রন্থে অত্যন্ত আলঙ্কারিক ভাষা ব্যবহার করে সত্য থেকে দূরে সরে গেছেন বলে স্মিথ বলেছেন। আসলে আবুল ফজলের রচনায় পক্ষপাতদুষ্টতা নেই। তিনি নিরপেক্ষ ও নির্মোহ দৃষ্টিতেই তাঁর ইতিহাস গ্রন্থটি রচনা করেছেন। আইন-ই-আকবরীতে তিনি সম্রাটের • ফর্মানংগুলির সঙ্কলন করেছেন। এর মধ্যে পক্ষপাত মনোভাবের অবকাশ নেই। ফার্সী ভাষায় সাধু রচনাভালতে অলঙ্কার বহুলতাই ছিল প্রচলিত রীতি। কাজেই আবুল ফজলের রচনার ভাষাশৈলী এই পথেই যাত্রা করেছে। এজন্য আবুল ফজলকে দোষারোপ করা উচিত হবে না। আবুল ফজলের রচনাগুলি থাকায় আমরা আকবরের আমলের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারি। আকবরের মীর বক্সী খাজা নাজিমুদ্দিন আহমদের রচনা লিখিত। এই গ্রন্থটিতে শুধু ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। তবকৎ-ই- আকবরী আকবরের রাজত্বের ৩৯ বছর পর্যন্ত কোন মন্তব্য নেই। অবশ্য কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আবুল ফজল ধর্মনিরপেক্ষ ও যুক্তিবাদী ইতিহাসচর্চার প্রবর্তক হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। বহুমাত্রিক সমালোচনামূলক ইতিহাস রচনা করে তিনি ইতিহাসচর্চাকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন, একথা স্বীকার করতেই হবে।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
ঐতিহাসিক আবুল ফজল সম্পর্কে যা জানো লেখ?
ভারতবর্ষে মুঘল আমলে যে সকল ঐতিহাসিকের নাম সর্বপ্রথম আলোচিত ও বিবেচিত হয়ে আছেন তাদের মধ্যে আবুল ফজল হলেন অন্যতম ৷ আবুল ফজল রচিত আকবরনামা ও আইন-ই-আকবরী কেবলমাত্র মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের ইতিহাস চর্চার আমূল্য রত্ন নয় ৷ মুঘল সাম্রাজ্যের আয়তন,সম্পদ অবস্থান,শাসন,জনসংখ্যা, শিল্প,কৃষি প্রভৃতি কাজে সহায়তা করেছে ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
মধ্যযুগে ঐতিহাসিকদের মধ্যে আবুল ফজল ছিলেন সবচেয়ে প্রতিভাবান ৷ সম্রাট আকবর আবুল ফজলের পাণ্ডিত্য উদারতা ও যুক্তিবাদ সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন ৷ আবুল ফজলের মতে ইতিহাস হল মানুষের কালানুক্রমিক ধারাবাহিক কাহিনী । পূর্বসূরী ইতিহাস তত্ত্বের সমালোচনা করে আবুল ফজল বলেন এদের মতে ইতিহাস হল মুসলমানদের ভারত জয় এবং তাদের শাসন কাহিনী হিন্দু ও মুসলমানদের দ্বন্দ্ব ছিল এর মূল বিষয় । আবুল ফজল এর মতে এই ধরনের ইতিহাস ভারতের ক্ষতি করেছে । আবুল ফজলের মতে ইতিহাস হল জ্ঞানভিত্তির উৎস এবং যুক্তিবাদের প্রসারে সহায়ক সত্যানুসন্ধান হল মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা এবং এই সাধনার সহায়ক হলো যুক্তি । ইতিহাস পাঠ করলে মানুষ দুঃখ ও বেদনাকে জয় করতে পারত ৷
আবুল ফজল হলেন মধ্যযুগের একজন ঐতিহাসিক যিনি বহুমাত্রায় ইতিহাস রচনার পদ্ধতির কথা বলেছেন ৷ আবুল ফজলের গ্রন্থে আমরা সমকালীন ইতিহাস রচনার নানা উপাদান পাই ৷ ভিনসেন্ট স্মিথ , স্যার হেনরি এলিয়ট দিফারিজ আবুল ফজলের ইতিহাস চর্চার নানা বিভারেজ আবুল ফজলের ইতিহাস চর্চার নানা সমালোচনা করলেও ঐতিহাসিক নিজামী বলেন বিরল উপমা সহ অলংকার বিশিষ্ট এবং জটিল অর্থবহ গদ্য রচনায় আবুল ফজল সিদ্ধ হস্ত ছিলেন ৷ একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ইতিহাসবিদ সমালোচক ও দার্শনিক আবুল ফজলের লেখনীতে গুরুত্ব অনুধাবন করে ৷ আব্দুল্লাহ উদ্বেগ বলেন,"আমি আকবরের তীরকে ততটা ভয় পাই না যতটা ভয় পায় আবুল ফজলের কলমকে ৷"
সম্ভাব্য প্রশ্ন:-
2) তিনি কতগুলি গ্রন্থ লেখেন এবং কি কি?
3) 'আইন-ই-আকবরী' গ্রন্থের বিষয়বস্তু লেখ।
4) 'আকবর-নামা' গ্রন্থের বিষয়বস্তু লেখ।